Hot

হাত বদলেই দাম দ্বিগুণ

রাজধানীর বাদামতলী পাইকারি বাজারে সাধারণ মরিয়ম খেজুরের দাম ৪৪০ টাকা। সেই খেজুর কারওয়ান বাজারে দ্বিগুণের বেশি, আর রামপুরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে তিন গুণের বেশি দামে। মহাখালীতে এই খেজুরের দাম পৌঁছেছে এক লাফে চার গুণে। বাদামতলী বাজারের ১৮০ টাকা কেজির লাল আপেল কারওয়ান বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৩২০ টাকায়। শুধু খেজুর ও লাল আপেলই নয়, এভাবেই হাত বদল হয়ে পাইকারি থেকে খুচরা বাজারে দ্বিগুণ থেকে চার গুণ হয়ে যায় ফলের দাম। রমজানকে পুঁজি করে একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী পকেট কাটছে ক্রেতার। নিম্ন মধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্ত মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে ফল। গতকাল সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রতিবেদকরা রাজধানীর বাদামতলী, যাত্রাবাড়ীর পাইকারি বাজার এবং কারওয়ান বাজার, রামপুরা, মহাখালী, মিরপুর-১০ ও মিরপুর সাড়ে এগারো খুচরা বাজার ঘুরে তুলে এনেছেন ফলের দামের এই আকাশ-পাতাল পার্থক্য।

গতকাল বাদামতলী পাইকারি বাজারে লাল আপেল প্রতি কেজি বিক্রি হতে দেখা যায় ১৮০ টাকায়। সেই লাল আপেল কারওয়ানবাজারে ৩২০ টাকা, রামপুরা বাজারে ২৯০ টাকা, মিরপুরে ৩০০ টাকা, মহাখালী কাঁচাবাজারে ২৮০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। যাত্রাবাড়ী ও বাদামতলী বাজারে ৫-৭ কেজি ওজনের ২০০ টাকার তরমুজ অন্যান্য বাজার ও অলিগলিতে কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে ৮০-৯০ টাকা থেকে ১১০ টাকায়। বাদামতলীতে মাল্টা বিক্রি হতে দেখা যায় ২১২ টাকা। সেই মাল্টা রামপুরায় ৩৪০-৩৬০, মহাখালী কাঁচা বাজারে ৩২০-৩৪০ টাকা, কারওয়ান বাজারে ৩৪০, মিরপুরে ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। রমজান মাসে এসব ফলের বেশি চাহিদা থাকায় নাভিশ্বাস উঠেছে ক্রেতাদের। এ ছাড়া তরমুজ, মাল্টা, আঙ্গুর, আনার, আনারস, বরই, পেয়ারা, কলা, লেবু, পেঁপে, বেল, কমলা, নাশপাতিসহ বিভিন্ন ফলের দাম দ্বিগুণ থেকে চার গুণ বিক্রি হতে দেখা যায়। পাইকারি ও খুচরা বাজারে তরমুজের দামের পার্থক্যের বিষয়ে জানতে চাইলে যাত্রাবাড়ীর ভাই ভাই বাণিজ্যালয়ের স্বত্বাধিকারী মো. নান্নু হাওলাদার বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘একটি তরমুজ আড়ত থেকে দোকান পর্যন্ত পৌঁছতে সর্বোচ্চ ৩০ টাকা খরচ হয়। সে ক্ষেত্রে ৩০০ টাকার তরমুজ খুচরা বাজারে ৪০০ টাকায় বিক্রি করলেও খুচরা বিক্রেতাদের প্রতি পিসে ৭০ টাকা লাভ থাকে। এর চেয়ে বেশি লাভ করা ক্রেতাদের সঙ্গে জুলুম করার সমান।’ রামপুরা বাজারের খুচরা বিক্রেতা শরিফুল ইসলাম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘মোকামে জিনিসপত্রের দাম বেশি। তাছাড়া ভ্যান ভাড়া, কর্মচারীর বিল, বিভিন্ন জায়গায় চাঁদা দিতে হয়। সে কারণে ফলের দাম খুচরা বাজারে একটু বেশি।’

বাদামতলী বাজার : লাল আপেল ২০ কেজির দাম ৩ হাজার ৫০০ থেকে ৪ হাজার টাকা। সে হিসেবে প্রতি কেজি প্রায় ১৮০ টাকা। ভুটানের কমলা ৯ কেজির দাম ১ হাজার ৯০০ টাকা। প্রতি কেজি পড়ে ২১০ টাকা। বড় সাইজের ১০ কেজি চায়না কমলা ২ হাজার ১০০ টাকা। প্রতি কেজির দাম পড়ে ২১০ টাকা। মাল্টা ১৬ কেজির ৩ হাজার ২০০ থেকে ৪০০ টাকা। প্রতি কেজি পড়ে ২১২ টাকা। দেশি কমলা ২৮ কেজির দাম ৪৮০০ টাকা। প্রতি কেজির দাম পড়ে ১৭২ টাকা। সবুজ আপেল ১৮ কেজি ৪ হাজার ৫০০ থেকে ৫ হাজার টাকা। আর প্রতি কেজির দাম প্রায় ২৭৫ টাকা। নাশপাতি ৯ কেজি ২ হাজার টাকা। প্রতি কেজির দাম ২২২ টাকা। সবুজ আঙ্গুর ২০ কেজির দাম ৪ হাজার ৫০০ টাকা। প্রতি কেজির দাম ২২৫ টাকা। কালো আঙ্গুর ১০ কেজি ৩ হাজার ৪০০ টাকা। প্রতি কেজির দাম ৩৪০ টাকা। পেয়ারা ৪০ থেকে ৪৫ টাকা কেজি। বড় আনার ২০ কেজি ৫ হাজার টাকা। প্রতি কেজি ২৫০ টাকা। সফেদা বড় সাইজের ৭০ টাকা কেজি। তরমুজ মাঝারি সাইজের ১০০ পিস ২৫ হাজার টাকা। আর প্রতি পিসের দাম হয় ২৫০ টাকা। বড় সাইজের তরমুজ ১০০ পিসের দাম ৩৫ হাজার টাকা। সেই হিসেবে প্রতি পিসের দাম প্রায় ৩৫০ টাকা। বাদামতলী খেজুরের বাজারে দেখা যায়, বস্তা খেজুর ৪০ কেজি ৬ হাজার টাকা। আর প্রতি কেজির দাম ১৫০ টাকা। দাবাস ১০ কেজির খেজুর বিক্রি হচ্ছে ৪ হাজার টাকা। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকা করে। নাগাল ৫ কেজির দাম ১ হাজার ৩০০ টাকা। প্রতি কেজি ২৬০ টাকা। মরিয়ম ৫ কেজির দাম ২ হাজার ২০০ টাকা। প্রতি কেজির দাম ৪৪০ টাকা। ছড়া খেজুর ৫ কেজি ২ হাজার ৫০০ টাকা। প্রতি কেজির দাম ৫০০ টাকা। মাসরুক ৫ কেজি ২ হাজার ৫০০ টাকা। প্রতি কেজির দাম ৫০০ টাকা। চুক্কারি ৫ কেজি ২ হাজার ৫০০ টাকা। প্রতি কেজির দাম ৫০০ টাকা। ফরিদা ৫ কেজির ২ হাজার ৫০০ টাকা। প্রতি কেজির দাম ৫০০ টাকা। মেডজুল ৫ কেজি ৭ হাজার ৫০০ টাকা। প্রতি কেজির দাম হয় ১৫০০ টাকা। বড় মরিয়ম ৫ কেজি ৪ হাজার ৬০০ টাকা। প্রতি কেজির দাম ৯২০ টাকা। মাসদুর ৫ কেজি ৪ হাজার ২০০ টাকা। প্রতি কেজির দাম ৮৪০ টাকা। কালনী ৩ কেজি ২ হাজার ৭০০ টাকা। প্রতি কেজির দাম ৯০০ টাকা। আজোয়া ৫ কেজি ৫ হাজার ৩০০ টাকা। প্রতি কেজির দাম ১ হাজার ৬০ টাকা করে। মাব্রুম ৫ কেজি ৫ হাজার টাকা। প্রতি কেজির দাম ১ হাজার টাকা। আলজেরিয়া ৫ কেজি ২ হাজার ২০০ টাকা। প্রতি কেজির দাম ৪৪০ টাকা। বারনি খেজুর ১০ কেজি ৩ হাজার ১০০ টাকা। প্রতি কেজি ৩১০ টাকা। ফরিদা ৫ কেজি ২ হাজার ৮০০ টাকা। প্রতি কেজি ৫৬০ টাকা। কালমি ৫ কেজি ৪ হাজার ৭০০ টাকা প্রতি কেজি ৯৪০ টাকা। জিহাদি ১০ কেজি ২ হাজার ৬০০ টাকা। প্রতি কেজি ২৬০ টাকা। লুলু ৫ কেজি ৩ হাজার ৯০০ টাকা। প্রতি কেজি ৩৯০ টাকা। আলজেরিয়া ৫ কেজি ২ হাজার ৩০০ টাকা প্রতি কেজি ৪৬০ টাকা।

যাত্রাবাড়ী বাজার : রাজধানীর যাত্রাবাড়ী ফলের আড়তে গিয়ে দেখা যায়, ৮ থেকে ১২ কেজি ওজনের বড় তরমুজ পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা পিস। ৫ থেকে ৮ কেজি ওজনের মাঝারি তরমুজ প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায়। এই বাজারে ৩ থেকে ৫ কেজি ওজনের ছোট তরমুজ প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৮০ টাকা দরে। এই আড়তের মক্কা-মদিনা এন্টারপ্রাইজ ও ভাই ভাই বাণিজ্যালয়ে একই ধরনের দাম দেখা গেছে। যাত্রাবাড়ীর এই পাইকারি ফলবাজারে আনারস আকার ভেদে ২০ টাকা প্রতি পিস বিক্রি করতে দেখা গেছে। এখানকার রিজভী ফল ভান্ডারে প্রতি কেজি পেয়ারা ৩৫ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি করা হয়েছে গতকাল। এ ছাড়া পেঁপে আকার ভেদে ৭০ থেকে ১২০ কেজি, বাঙ্গি আকার ভেদে ৮০ থেকে ১২০ পিস এবং বেল আকার ভেদে ২০ টাকা থেকে ৮০ টাকা প্রতি পিস দরে পাইকারি বিক্রি করতে দেখা গেছে। খুচরা হিসেবে সাধারণ মরিয়ম খেজুর প্রতি কেজি ১ হাজার টাকা, লাল আপেল ২৫০, মাল্টা ৩৬০, সবুজ আপেল ৩৪০, দেশি কমলা ২৮০, আনার ৩৬০, আঙ্গুর ২৫০ ও পেয়ারা ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

কারওয়ানবাজার : কারওয়ানবাজারে প্রতি কেজি তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা দরে। পাকা পেঁপে বিক্রি হচ্ছে কেজি হিসেবে। প্রতি কেজির দাম নেওয়া হচ্ছে ১৫০ থেকে ২০০ টাকায়। দেড় কেজির বাঙ্গি বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়। রাঙামাটি থেকে আনা মাঝারি আকারের আনারস বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা পিস হিসেবে। বড়মানের প্রতিটি বেল বিক্রি করা হচ্ছে ২০০ থেকে ২৫০ টাকায়। প্রতি ডজন চাম্পা কলা ৭৫ টাকা, সবরি ১২০ টাকা, বাংলা ১০০ টাকা ও সাগর কলা বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়। বড় মানের বরই পাওয়া যাচ্ছে ১৬০ টাকা কেজি। প্রতি হালি লেবু বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। পেয়ারা ১২০ টাকা, বড় ড্রাগন ৫০০ টাকা, সবুজ আপেল ৩০০ টাকা, লাল (গালা) আপেল ৩২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে দেশি কমলা পাওয়া যাচ্ছে ২৫০ টাকায়। দক্ষিণ আফ্রিকার কমলা ২৮০ টাকায় কেজি হিসেবে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া মাল্টা ৩২০ টাকা, সাদা আঙ্গুর ৩৮০ টাকা, কালো আঙ্গুর ৪০০ টাকা, নাশপাতি ২৮০ টাকা, সফেদা ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া ভালোমানের (কাশ্মীরি) ডালিম ৩৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ভালোমানের মেডজুল খেজুর বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৬০০ টাকায় (বড় সাইজ)। মেডজুল মাঝারি সাইজ ১ হাজার ৪০০ টাকা, আম্বার ১ হাজার টাকা, কালমি ৯৫০ টাকা ও মরিয়ম খেজুর বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার টাকায়।

মিরপুর : রাজধানীর মিরপুর-১০ নম্বর ফলপট্টির বাজার এবং মিরপুর সাড়ে এগারো ফল বাজার ঘুরে দেখা যায়, ১ কেজি মরিয়ম খেজুর বিক্রি হচ্ছে ১১ শ টাকায়, যা বাদামতলী ফলের আড়তে ৪৪০ টাকা। অর্থাৎ ৬৬০ টাকা বেশি। মিরপুরে প্রতি কেজি তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। পিস হিসেবে এখানে তরমুজ বিক্রি হতে দেখা যায়নি। আর বাদামতলীতে মাঝারি সাইজের একটি তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৮৩ টাকায়। মিরপুরের ফল বাজারে দেশি পেঁপে প্রতি কেজি ১৭০ টাকায়। আর যাত্রাবাড়ী ফলের আড়তে তা বিক্রি হয় ৭০ থেকে ১২০ টাকায়। অর্থাৎ ৫০ থেকে ১০০ টাকা বেশি। আর মিরপুরে বাঙ্গি বড় আকারের প্রতিটি ৩০০ টাকা বিক্রি হয় যা যাত্রাবাড়ী ফলের আড়তে বিক্রি হয় ৮০ থেকে ৯০ টাকায়। ২১০-২২০ টাকা বেশি। মিরপুরে আনারস প্রতিটি ৭০ থেকে ৮০ টাকা। যাত্রাবাড়ী ফলের আড়তে বিক্রি হয় ৮ টাকা থেকে ২০ টাকায়। অর্থাৎ প্রায় ৬০ থেকে ৬২ টাকা বেশি। মিরপুরে বড় বেল প্রতিটি ১০০ থেকে ১৫০ টাকা। আর যাত্রাবাড়ীতে প্রতিটি বিক্রি হয় ২০ থেকে ৮০ টাকায়। অর্থাৎ ৭০ থেকে ৮০ টাকা বেশি। মিরপুরে সবুজ আপেল প্রতি কেজি ৩২০ টাকা। আর বাদামতলীতে প্রতি কেজির দাম ২৭৫ টাকা। অর্থাৎ ৪৫ টাকা বেশি। মিরপুরে লাল আপেল কেজি প্রতি ৩০০ টাকা। বাদামতলীতে লাল আপেলের দাম ১৮০ টাকা। অর্থাৎ ১২০ টাকা বেশি। মিরপুরে চায়না কমলা প্রতি কেজি ২৮০ টাকা। আর বাদামতলীতে ২১০ টাকা। অর্থাৎ ৭০ টাকা বেশি। মিরপুরে মাল্টা প্রতি কেজি ৩৫০ টাকা। আর বাদামতলীতে ২১২ টাকা। অর্থাৎ ১৩৮ টাকা বেশি। মিরপুরে সবুজ আঙ্গুর ৩৬০ টাকা প্রতি কেজি। আর বাদামতলীতে ২২৫ টাকা। অর্থাৎ ১৩৫ টাকা বেশি। মিরপুরে কালো আঙ্গুর প্রতি কেজি সাড়ে ৪০০ টাকা। আর বাদামতলীতে ৩৪০ টাকা। অর্থাৎ ১১০ টাকা বেশি। মিরপুরে নাশপাতি কেজি প্রতি ৩০০ টাকা। আর বাদামতলীতে ২২২ টাকা। অর্থাৎ ৭৮ টাকা বেশি। মিরপুরে আনার প্রতি কেজি (বড়) ৪০০ টাকা। আর বাদামতলীতে ২৫০ টাকা। অর্থাৎ ১৫০ টাকা বেশি।

রামপুরা বাজার : রামপুরা বাজারের বড় আকারের তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকা থেকে শুরু করে ১২০ টাকা কেজি। পেঁপে ৯০ টাকা কেজি থেকে ১০০ টাকা। বাঙ্গি পিস হিসেবে ১৬০ টাকা থেকে ২০০ টাকা। আনারস ছোট ৪০ টাকা, বড় ৭০ টাকা পিস। বেল প্রকারভেদে ৪০ থেকে ৭০ টাকা। সবরি কলা ৬০ টাকা হালি, চাম্পা কলা ২০ টাকা হালি। বরই (আপেল কুল) ১২০ টাকা। কাগজি লেবু ৪০ টাকা হালি, লেবু বড় ৬০-৭০ টাকা হালি। পেয়ারা ৬০ টাকা থেকে ১০০ টাকা কেজি পর্যন্ত বিক্রি হতে দেখা যায়। ড্রাগন ফল ৩৬০ টাকা। মরিয়ম খেজুর ১ হাজার ৬০০ টাকা, কাজুয়া খেজুর ১ হাজার ২০০ টাকা, সাধারণ খেজুর (ভ্যানের ওপর বিক্রি) ২৫০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা। কাঁচা আম ২৫০ টাকা। সবুজ আপেল থেকে ৩০০ টাকা ৩২০ টাকা, লাল আপেল ২৯০ টাকা। দেশি কমলা ২২০ টাকা থেকে ২৪০ টাকা। ভুটানের কমলা ৩২০ টাকা থেকে ৩৪০ টাকা। মাল্টা ৩২০ টাকা। সাদা আঙ্গুর ২৫০-২৬০ টাকা। কালো আঙ্গুর ৩৮০-৩৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। নাশপাতি ৩৩০ টাকা থেকে ৩৪০ টাকা। সফেদা ১৫০-১৬০ টাকা কেজি। আনার বড় আকারের প্রতি কেজি ৩৬০ টাকা। স্ট্রবেরি বড় ও প্যাকেটজাত ২ হাজার ২০০ টাকা কেজি। দেশি স্ট্রবেরি ২৫০ টাকা কেজি।

রামপুরা বাজারের ক্রেতা মফিজুল সাদিক বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘বিক্রেতাদের ইচ্ছেমতো দাম নেওয়ার কারণে নিম্ন মধ্যবিত্ত বা মধ্যবিত্তদের ফল দিয়ে ইফতারি করার আশা ফিকে হয়ে যাচ্ছে। সরকারের ঊর্ধ্বতন ব্যক্তিরা বাজার মনিটরিং করার কথা বললেও কার্যত কিছুই হচ্ছে না। ফলে পাইকারি বাজার থেকে হাত বদল হলেই দাম দিগুণ থেকে তিন গুণ হচ্ছে।’ উপরোক্ত পণ্যের অনেকগুলোই রামপুরা বাজার সংলগ্ম রাস্তায় অথবা অলিগলিতে ভ্যানে করে বিক্রি হচ্ছে। ভ্যানে প্রত্যেক জিনিসের দাম কিছুটা কম। ভ্যানের ফল বিক্রেতা সাদিক আবুল্লাহ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, কারওয়ান বাজার থেকে মালামাল সংগ্রহ করি। কম লাভেই বিক্রি করি। ভ্যানে ফল বিক্রি করলেও স্থান লাইনম্যানদের টাকা দিতে হয় বলেও জানান তিনি।

মহাখালী কাঁচাবাজার : মহাখালী বাজারে বড় আকারের তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা থেকে ১৩০ টাকা কেজি দরে। পেঁপে ৯০ টাকা কেজি থেকে ১২০ টাকা। বাঙ্গি পিস হিসেবে ১৮০ টাকা থেকে ২০০ টাকা। আনারস ছোট ৪০ টাকা, বড় ৭০ টাকা। বেল প্রকারভেদে ৪০ থেকে ৭০ টাকা। সবরি কলা ৬০-৬৫ টাকা হালি, চাম্পা কলা ১৫-২০ টাকা হালি। বরই (আপেল কুল) ১১০ টাকা। কাগজি লেবু ৪০ টাকা হালি, লেবু বড়টা ৬০-৮০ টাকা হালি। পেয়ারা ৮০ টাকা থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হতে দেখা যায়। ড্রাগন ফল ৩৫০-৩৬০ টাকা। মরিয়ম খেজুর ১ হাজার ৮০০ টাকা, কাজুয়া খেজুর ১ হাজার ৪০০ টাকা, সাধারণ খেজুর (ভ্যানের ওপর বিক্রি) ২৫০ টাকা থেকে ৩২০ টাকা। কাঁচা আম ২৪০ টাকা। সবুজ আপেল থেকে ২৯০ টাকা ৩২০ টাকা, লাল আপেল ২৮০ টাকা। দেশি কমলা ২১০ টাকা থেকে ২৪০ টাকা। ভুটানের কমলা ৩৪০ টাকা থেকে ৩৬০ টাকা। মাল্টা ৩২০ টাকা। সাদা আঙ্গুর ২৪০-২৬০ টাকা। কালো আঙ্গুর ৩৮০-৩৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। নাশপাতি ৩৩০-৩৪০ টাকা। সফেদা ১৪০-১৬০ টাকা কেজি। আনার বড় আকারের প্রতি কেজি ৩৪০ টাকা। স্ট্রবেরি বড় ও প্যাকেটজাত ২ হাজার ২০০ টাকা কেজি। দেশি স্ট্রবেরি ২৫০ টাকা কেজি। মহাখালী কাঁচাবাজারের এনাম আবেদীন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, আমরা নির্ধারিত দামেই ফল বিক্রি করছি। বাড়তি কোনো দাম রাখা হচ্ছে না। মোকামের চেয়ে সামান্য লাভে বিক্রি করছি।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button
Situs Toto
toto togel
slot toto
Toto slot gacor
bacan4d
totoslotgacor
bacan4d
bacan4d slot gacor
bacan4d login
Bacan4d
bacan4d
bacan4d bonus
Toto gacor
Toto gacor
slot gacor hari ini
bacan4d toto
bacan4d toto
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d link alternatif
slot gacor bett 200
situs toto
SITUS TOTO
toto 4d
toto gacor
Slot Toto
Slot Toto
Slot Toto
Situs toto
Slot toto
Slot Dana
Slot Dana
Judi Bola
Judi Bola
Slot Gacor
toto slot
bacan4d toto
bacan4d akun demo slot
bacantogel
bacan4d
bacan4d
slot gacor
bacantoto
bacan4d
Bacan4d Login
slot demo
Bacan4d Toto
toto gacor
Slot Gacor
Live Draw
Live Draw Hk
toto slot
Bacan4d slot gacor
toto macau
toto slot
Toto Gacor
slot dana
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
Slot Dp Pulsa
Bacan4d Login
toto slot
Bacansports/a>
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
toto slot
bacansport
bacansport
bacansport
bacansport
bacansport
bacansport
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
slot gacor
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
toto slot
slot demo
toto slot gacor
bacansports Slot toto toto slot Slot toto Slot dana Slot toto slot maxwin slot maxwin toto slot toto slot slot dana
Toto Bola
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
bacan4d
ts77casino
situs toto
slot pulsa
bacansports
situs toto
slot toto
situs toto
slot toto
situs toto
toto slot
bacansport
bacansport
bacansports
slot toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
situs toto
situs toto
xx1toto
toto slot
xx1toto
xx1toto
slot qriss
Slot Toto
slot dana
situs toto
slot toto
slot dana
Situs Toto Slot Gacor
xx1toto
xx1toto
bacan4d
xx1toto
xx1toto
toto slot
situs toto slot gacor
toto gacor
toto gacor
toto gacor
toto gacor
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
situs toto
Slot Toto
Toto Slot
Slot Gacor
Slot Gacor
Slot Gacor
slot toto
Toto Slot
slot gacor