International

হামাসের হামলার প্রশংসা করায় হিজবুত-তাহরীরকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ করবে ইউকে হোম অফিস

হামাসের হামলার প্রশংসা করার কারণে যুক্তরাজ্যের অন্যতম বিতর্কিত ইসলামপন্থি সংগঠন হিজবুত-তাহরীরকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ করা হবে। সোমবার এ কথা বলেছেন বৃটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লেভারলি । তিনি বলেছেন,  এই গোষ্ঠীটি সাম্প্রদায়িক এবং সক্রিয়ভাবে সন্ত্রাসবাদের প্রচার ও উৎসাহ দেয়। গাজাপন্থি সমাবেশে অনুগামীদের জিহাদ স্লোগান দেয়ার অভিযোগে যুক্তরাজ্যের সন্ত্রাসবাদ আইনের অধীনে  তাদের উপর নিষেধাজ্ঞা আসবে। নিষেধাজ্ঞার আদেশ সোমবার পার্লামেন্টের সামনে পেশ করা হয়েছে  এবং পাস  হলে শুক্রবার থেকে তা কার্যকর হবে। এর মানে হল কেউ এই গোষ্ঠীর জন্য সমর্থন দেয়ার আহ্বান জানালে বা এমন উপাদান প্রদর্শন করলে, যা এই গোষ্ঠীর জন্য জনসমর্থন দেখাবে- সে আইন ভঙ্গ করবে। 
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, হিজবুত-তাহরীর একটি  আন্তর্জাতিক সংগঠন, যা দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাজ্যে সক্রিয়। কিন্তু এটি সবসময় সহিংসতার সাথে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে।  তিনি আরও বলেন, হিজবুত-তাহরীর একটি ইহুদি-বিরোধী সংগঠন- যা সন্ত্রাসবাদকে সক্রিয়ভাবে প্রচার করে এবং উৎসাহিত করে। এর মধ্যে গত ৭ই  অক্টোবর হামাসের ভয়াবহ হামলার প্রশংসা করছে  এবং এটি উদযাপন করেছে । এই গোষ্ঠীটিকে নিষিদ্ধ করা নিশ্চিত করবে যে, কেউ তাদের সাথে যুক্ত এবং তাদের সমর্থনে আমন্ত্রণ জানায় তারা পরিণতি ভোগ করবে।

হিযবুত-তাহরীরের বর্তমানের মতো কাজ করার ক্ষমতাকে নিয়ন্ত্রণ করবে। 
এই নিষিদ্ধ সংগঠনের সাথে জড়িত থাকা গুরুতর অপরাধ। এর  জন্য ১৪ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে। একবার নিষিদ্ধ হওয়ার পর কোনো গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত যে কোনো ব্যক্তির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে পারবে  সরকার । সরকার বলেছে যে, ৭ই  অক্টোবরের হামলার পর থেকে হিজবুত-তাহরীর তার কেন্দ্রীয় ওয়েবসাইটে হামাস যোদ্ধাদের ‘বীর’ হিসাবে বর্ণনা করেছে এবং এ ধরনের প্রশংসা সন্ত্রাসবাদকে প্রচার এবং উৎসাহিত করার সমান। তবে নিষিদ্ধের বিষয়ে বৃটিশ নেতৃত্বের পক্ষ থেকে এখনো কোনো মন্তব্য করা হয়নি।
কিন্তু ছায়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইভেট কুপার প্রস্তাবিত নিষেধাজ্ঞাকে সমর্থন করেছেন। তিনি হাউস অফ কমন্সকে বলেছেন, এটা ঠিক যে সরকার হিযবুত তাহরীরের হুমকির বিষয়ে তাদের কাছে উপলব্ধ প্রমাণ এবং গোয়েন্দা তথ্যের দিকে জরুরীভাবে নজর দিয়েছে এবং আমরা তাদের নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই এবং সমর্থন করি।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী স্যার টনি ব্লেয়ার ২০০৫  সালের লন্ডন বোমা হামলার পর এই গোষ্ঠীটিকে নিষিদ্ধ করার দিকে ঝুঁকেছিলেন। কিন্তু অন্য কর্মকর্তারা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছিলেন যে,  গোষ্ঠীটি সন্ত্রাসবাদের সাথে জড়িত ছিল না। তখন যুক্তরাজ্যে এর নেতারা পূর্বে বলেছেন যে এই নিষেধাজ্ঞাগুলি রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং সন্ত্রাসবাদে জড়িত থাকার প্রমাণ দ্বারা সমর্থিত নয়।
গ্রুপটিকে নিষিদ্ধ করা অন্য দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে জার্মানি, মিশর, বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং মধ্য এশীয় ও আরব দেশ।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button