Hot

হাসিনার অলিগার্কদের রি-ফুয়েলিং!

জ্বালানি-বিদ্যুৎ সেক্টর ‘শর্ষের ভেতর ভূত’ রেন্টাল-কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ সেক্টরে ২৯ হাজার কোটি টাকা ঋণ-বিল শোধ : বিদ্যুৎ বিলের টাকা খরচ হচ্ছে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি পালন দিল্লির অনুগত আমলারা চীনা কোম্পানিগুলোর চুক্তি বাতিল করছে এবং বয়েয়া বিল দেয়া বন্ধ রেখেছে

বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতে অন্তর্বর্তী সরকার যেন ‘নিজের পায়ে নিজেই কুড়াল মারছে’। হাসিনাসহ নেতারা বিদেশে পালানোর পর দলটির নেতাকর্মীরা মাটির সঙ্গে মিশে গিয়েছিল; তাদের কোনো অস্তিত্বই ছিল না। কিন্তু খাল কেটে কুমির আনার প্রবাদের মতোই বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতে ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের রেখে যাওয়া ২৯ হাজার কোটি টাকা ঋণ শোধ করা হচ্ছে। সেই টাকা খরচ করে হাসিনার অলিগার্করা নেতাকর্মীদের রাজপথে নামিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে মিছিল করছে। আওয়ামী লীগের ব্যানারে অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে রাজপথ উত্তপ্ত করার চেষ্টা করছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রের দাবি, ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানির প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা, রামপাল, এস আলম, মাতারবাড়ীসহ বিভিন্ন কেন্দ্রের বকেয়া বিল প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা পরিশোধ করা হচ্ছে। অন্যদিকে চীনা কোম্পানিগুলোর চুক্তি বাতিল করছে এবং বয়েয়া বিল দেয়া বন্ধ রয়েছে। হাসিনার আমলে বিদ্যুৎ উৎপাদন খাতে অন্তত ৬০০ কোটি ডলার চুরি হয়েছে। ডলারের বিপরীতে বর্তমান টাকার দর ধরে যা প্রায় ৭২ হাজার কোটি টাকা (১ ডলার সমান ১২০ টাকা ধরে)। এর মধ্যে নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের কাজ দিতে কমিশন হিসেবে লুটপাট হয়েছে ৩০০ কোটি ডলার। আর বিদ্যুৎ কেন্দ্র না চালিয়ে কেন্দ্রভাড়া ও অতিরিক্ত মুনাফা হিসেবে বেসরকারি খাত নিয়ে গেছে বাড়তি ৩০০ কোটি ডলার। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরকারের কাছ থেকে বিদ্যুৎ সেক্টর থেকে বিলের টাকায় হাসিনার অলিগার্করা রি-ফুয়েলিং হয়ে এনার্জি অর্জন করে আওয়ামী লীগের কর্মীদের পেছনে খরচ করছেন। তারা সরকারের বিরুদ্ধে মিছিল করছে, অপপ্রচার চালাচ্ছে।

জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ড. নূরুল আমিন ব্যাপারী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সংগঠিত দল। হাসিনা পালালেও দেশে লাখ লাখ কর্মী রয়ে গেছে। বিদ্যুৎ সেক্টর থেকে আওয়ামী লীগের ব্যবসায়ীরা যে বকেয়া বিল পাচ্ছেন তার একটা অংশ নেতাকর্মীদের মিটিং-মিছিলে খরচ করছেন। সরকার তো নিজেই খাল কেটে কুমির নামাচ্ছে। তাছাড়া বিএনপি রাজপথে নামার ইঙ্গিত দেয়ায় আওয়ামী লীগের কর্মীরা মিছিল করার সাহস দেখাচ্ছে। এনসিপির নেতারাও এখন নিজেদের দল নিয়ে ব্যস্ত। তবে বিএনপি মাঠে না নামলে আওয়ামী লীগ এখন আর মাঠে নামার সাহস দেখাবে না’। জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের নেতা ও গণদলের চেয়ারম্যান এ টি এম গোলাম মাওলা চৌধুরী বলেন, হাসিনার অলিগার্কদের বিদ্যুতের বকেয়া বিল পেয়ে সে টাকা খরচ করে আওয়ামী লীগের মিছিলে ব্যয় করছে। ফলে আওয়ামী লীগকে মিছিল করার আর্থিক শক্তি সঞ্চয়ে রি-ফুয়েলিং করছে সরকারই। মনে রাখতে হবে হাসিনা পালালেও দেশে তাদের লাখ লাখ কর্মী-সমর্থক রয়েছে। আমলাদের মধ্যে যে হাসিনার অনুসারী রয়েছে সেটা এ ঘটনায় প্রমাণ দিচ্ছে। এছাড়াও উপদেষ্টাদের মধ্যেও কেউ কেউ হয়তো আওয়ামী লীগকে পৃষ্ঠপোষকতা করার নেপথ্যে কাজ করছে। তা না হলে আর্থিক সংকটকালে চিহ্নিত আওয়ামী ব্যবসায়ীদের এত বকেয়া বিল পরিশোধ করা হবে কেন?’

ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের আমলে দেড় দশকে পাইকারি পর্যায়ে ১২ বার ও খুচরা পর্যায়ে ১৪ বার বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে। তারপরও বিভিন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে নিয়মিত হিমশিম খেতে হচ্ছে সরকারকে। তারা মানুষের করের টাকা থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি নিয়েও পরিস্থিতি সামাল দিতে পারছে না বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)। গত ১৬ বছরে বিদ্যুৎ উৎপাদন, সঞ্চালন ও বিতরণে বিপুল বিনিয়োগ করা হলেও বিদ্যুতের চাহিদা প্রত্যাশিত হারে বাড়েনি। ফলে উৎপাদন সক্ষমতা ও সর্বোচ্চ চাহিদার মধ্যে ব্যবধান বেড়েছে। অন্তর্বর্তী সরকার যখন ক্ষমতা গ্রহণ করে, তখন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে মোট বৈদেশিক দেনা ছিল ৩ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার (প্রতি ডলার ১২১ টাকা হিসেবে প্রায় ৩৯ হাজার কোটি টাকা)। বর্তমানে তা ৮২৯ মিলিয়ন (প্রতি ডলার ১২১ টাকা হিসেবে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা) ডলারে নেমে এসেছে। এ বছরের মধ্যে এসব দেনা পরিশোধের পরিকল্পনা করা হয়েছে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের মোট বকেয়া ৮২৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের মধ্যে বিদ্যুৎ খাতের বকেয়া ৫২৯ মিলিয়ন ডলার। আর জ্বালানি খাতের বকেয়া ৩০০ মিলিয়ন ডলার। বিদ্যুৎ খাতের বকেয়ার মধ্যে ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানির বিল, কয়লা বিল উল্লেখযোগ্য। আর জ্বালানি খাতের মোট বকেয়ার অধিকাংশই এলএনজি আমদানির বিল। বিদ্যুৎ উৎপাদন খাতে অন্তত ৬০০ কোটি ডলার নয়-ছয় হয়েছে। ডলারের বিপরীতে বর্তমান টাকার দর ধরে যা প্রায় ৭২ হাজার কোটি টাকা (১ ডলার সমান ১২০ টাকা ধরে)। এর মধ্যে নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের কাজ দিতে কমিশন হিসেবে লুটপাট হয়েছে ৩০০ কোটি ডলার। আর বিদ্যুৎকেন্দ্র না চালিয়ে কেন্দ্রভাড়া ও অতিরিক্ত মুনাফা হিসেবে বেসরকারি খাত নিয়ে গেছে বাড়তি ৩০০ কোটি ডলার। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের মোট বকেয়া ৮২৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের মধ্যে বিদ্যুৎ খাতের বকেয়া ৫২৯ মিলিয়ন ডলার। আর জ্বালানি খাতের বকেয়া ৩০০ মিলিয়ন ডলার। বিদ্যুৎ খাতের বকেয়ার মধ্যে ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানির বিল, কয়লা বিল উল্লেখযোগ্য। আর জ্বালানি খাতের মোট বকেয়ার অধিকাংশই এলএনজি আমদানির বিল রয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য বাংলাদেশ ৫৫ হাজার ৩৫৭ কোটি টাকা আনুমানিক ব্যয়ে ৯৬ কার্গো এলএনজি আমদানির পরিকল্পনা করেছে। আর ২০২৫-২৬ সালে এই সংখ্যা ১১৫টিতে উন্নতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যার আনুমানিক মোট ব্যয় দাঁড়াবে ৬৭ হাজার ৬০৭ দশমিক ৩৫ কোটি টাকা, গড়ে প্রতি কর্গো এলএনজির জন্য খরচ পড়বে প্রায় ৫৮৭ কোটি টাকা।

এ বিষয়ে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান গতকাল বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার যখন ক্ষমতা গ্রহণ করে, তখন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে মোট বৈদেশিক দেনা ছিল ৩ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার (প্রতি ডলার ১২১ টাকা হিসেবে প্রায় ৩৯ হাজার কোটি টাকা)। এখন তা ৮২৯ মিলিয়ন (প্রতি ডলার ১২১ টাকা হিসেবে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা) ডলারে নেমে এসেছে। এই বছরের মধ্যে এসব দেনা পরিশোধের পরিকল্পনা করা হয়েছে।

চাহিদার তুলনায় বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা বাড়িয়ে অর্থনীতিকে ঝুঁকিতে ফেলেছে আওয়ামী লীগ সরকার। বিদ্যুৎকেন্দ্র থাকলেও জ্বালানির অভাবে তা চালানো যায়নি। এর ফলে সর্বোচ্চ চাহিদার সময়ে পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যায়নি। লোডশেডিংয়ে ভুগেছে সাধারণ মানুষ, শিল্পকারখানা। বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছে। সরকারের ভুল নীতি ও পরিকল্পনার জন্য বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতে লুটপাট, অপচয়ের সুযোগ তৈরি হয়েছে। চুক্তি অনুসারে প্রতিটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য কেন্দ্রভাড়া নির্ধারিত থাকে। বিদ্যুৎ উৎপাদন করলেও এটি দিতে হয়, না করলেও এটি দিতে হয়। উৎপাদন না করে অলস বসিয়ে রেখে যে কেন্দ্রভাড়া পরিশোধ করা হয়, এটিকে অতিরিক্ত কেন্দ্রভাড়া বলা হয়ে থাকে। অতিরিক্ত কেন্দ্রভাড়া হিসাব করা কঠিন বলে মনে করছে শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি। তাদের প্রতিবেদন বলছে, ২০১০-১১ থেকে ২০২৩-২৪ অর্থবছর পর্যন্ত বেসরকারি খাতে ১ লাখ ১৫ হাজার কোটি টাকা পরিশোধ করা হয়েছে বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভাড়া হিসাবে। এ সময় বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর সক্ষমতা গড়ে ৪২ থেকে ৪৬ শতাংশ পর্যন্ত ব্যবহৃত হয়েছে। এতেই অদক্ষ ব্যবস্থাপনার বিষয়টি বোঝা যায়। তবে সব সীমাবদ্ধতা ধরেও ৬৫ শতাংশ পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা অর্জন করতে পারে বিদ্যুৎকেন্দ্র। চুক্তির মেয়াদ শেষে তেলচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভাড়া রেখেই নবায়ন করা হয়েছে। এতে বাড়তি মুনাফার সুযোগ তৈরি করে দেওয়া হয়েছে তাদের। সব মিলে অন্তত ৩০০ কোটি ডলার (৩৬ হাজার কোটি টাকা) অতিরিক্ত কেন্দ্র ভাড়া নিয়েছে বেসরকারি খাতের বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো। বিদ্যুৎ উৎপাদন ছাড়াও বিতরণ ও সঞ্চালন লাইন নির্মাণে হাজার হাজার কোটি টাকার প্রকল্প হয়েছে। মিটার কেনাকাটা হয়েছে। শতভাগ বিদ্যুতায়নের জন্য সারা দেশে বিদ্যুৎ সুবিধা নিয়ে যাওয়া হয়েছে। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রেও বাড়তি খরচের অভিযোগ আছে। এসব প্রকল্পের অনিয়ম বা দুর্নীতির চিত্র স্পষ্ট করে প্রতিবেদনে আসেনি। জ্বালানি খাতে জ্বালানি তেল আমদানিতে দুর্নীতির বিষয়টিও তুলে ধরা যায়নি। তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানিতেও লুটপাট হতে পারে বলে ধারণা করছে কমিটি। দেশের বিভিন্ন গ্যাসক্ষেত্রে কূপ খননের নামে বাড়তি টাকায় প্রকল্প করা হয়েছে। এসবের সঠিক হিসাব পাওয়া যায়নি।

২০টি কূপের খননকাজ
এদিকে ভারতের আদানি গ্রুপের বকেয়া দাঁড়িয়েছে প্রায় ১০ হাজার ৩০০ কোটি টাকা। কোম্পানিটি গত ১৯ জানুয়ারি পিডিবিকে পাঠানো এক চিঠিতে আগামী জুনের মধ্যে গত ডিসেম্বর পর্যন্ত বকেয়া বিল শোধ করার সময় বেঁধে দিয়েছে। ওই সময়ের মধ্যে বকেয়া দিলে বিলম্ব ফি মওকুফ করার প্রস্তাব করেছে আদানি। পাওনা নিয়ে গত আগস্টের পর থেকে আদানির সঙ্গে অর্ন্তর্বর্তী সরকারের টানাপড়েন চলছে। পাওনা আদায়ে নভেম্বর থেকে একটি ইউনিটের উৎপাদন আদানি বন্ধ রাখে। যদিও আদানির কেন্দ্রের কয়লার বিল নিয়ে বিরোধ আছে। এটি এখনো সুরাহা হয়নি। তারা কয়লার বাড়তি দামে বিল জমা দিলেও পিডিবি বাজার দামে হিসাব করছে। সংকটে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য বিদ্যুৎকেন্দ্র পায়রা। চীন ও বাংলাদেশের যৌথ মালিকানার এই কেন্দ্রটির পিডিবির কাছে পাওনা প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা। এ ছাড়া ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানির প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা, রামপাল, এস আলম, মাতারবাড়ীসহ বিভিন্ন কেন্দ্রের বকেয়া প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা।

কনজুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) জ্বালানি উপদেষ্টা এম শামসুল আলম ইনকিলাবকে বলেন, এ সরকার রাজনৈতিক না তার পিছুটান নেই। বরং সবাই সৎ। কিন্তু বিগত দিনে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের লুণ্ঠনকারীদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নিচ্ছে না সে প্রশ্ন থেকেই যায়। তিনি বলেন, পরিবর্তন বলতে অন্তর্বর্তী সরকার কয়েকটি বিষয়ের কথা বারবার বলছে। সেগুলো হচ্ছে বিশেষ বিধান আইন বাতিল, মূল্য নির্ধারণের ক্ষমতা বিইআরসির হাতে দেওয়া। ফলে জনগণের প্রত্যাশা কতটুকু পূরণ হবে সে বিষয়ে সন্দেহ থেকেই যায়। বিদ্যুৎ-জানানি খাতে নতুন নতুন পরিকল্পনা নিতে হবে। সেটি এখনো করতে পারেনি।

এ বিষয়ে জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. বদরুল ইমাম বলেন, বকেয়ার কারণে বিপাকে পড়েছে জ্বালানি খাত। সরকার এগুলো পরিশোধ করতে দিন শেষ হবে। কিন্তু নতুন পরিকল্পনা গ্রহণের দরকার। বিদ্যুৎ খাতে একমুখী হলে চলবে না। কয়লা, এলএনজি, তেলসহ দেশের জ্বালানি খাত আমদানিনির্ভর। সময়মতো কাজ না হলে নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি মিলবে না। এতে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে সংকট হবে।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button
bacan4d toto
bacan4d toto
Toto Slot
slot gacor
slot gacor
slot toto
Bacan4d Login
bacan4drtp
situs bacan4d
Bacan4d
slot dana
slot bacan4d
bacan4d togel
bacan4d game
slot gacor
bacan4d login
bacantoto 4d
toto gacor
slot toto
bacan4d
bacansport
bacansport
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
slot gacor
slot77 gacor
Bacan4d Login
Bacan4d toto
Bacan4d
Bacansports
bacansports
slot toto
Slot Dana
situs toto
bacansports
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d