Jannah Theme License is not validated, Go to the theme options page to validate the license, You need a single license for each domain name.
Hot

হাসিনার শক্তি পাচারের টাকা: বিশ্বের বহু পলাতক স্বৈরশাসক টাকা দিয়ে রাজনীতিতে ফিরেছে

প্রবাদ রয়েছে- ‘ছাগল নাচে খুঁটির জোরে’। দিল্লিতে বসে শেখ হাসিনা যে একের পর এক হুঙ্কার দিচ্ছেন, দেশে ফিরে প্রতিশোধ নেয়ার ঘোষণা দিচ্ছেন- তার নেপথ্যে রয়েছে ওই খুঁটি। শেখ হাসিনার শক্তি হচ্ছে বিদেশে পাচার করা টাকা। গত কয়েক বছরে তিনি বোন শেখ রেহানা, পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলসহ আত্মীয়-স্বজন ও অনুগত ধনকুবেরদের মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন। সেই টাকার জোরেই তিনি এখন দিল্লিতে বসে দেশের রাজনীতিতে হুঙ্কার দিচ্ছেন।

বিশ্বের বহু দেশের উদাহরণ রয়েছে, স্বৈরশাসকরা গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে বিদেশে পালিয়ে গিয়ে কয়েক বছর পর পাচার করা টাকার জোরেই দেশে ফিরে রাজনীতিতে সক্রিয় হয়েছেন। বয়সের কারণে পতিত স্বৈরশাসকরা প্রেসিডেন্ট-প্রধানমন্ত্রী না হলেও তাদের পুত্র, কন্যা, জামাতাকে ক্ষমতার শীর্ষে বসাতে সক্ষম হয়েছেন। কেউ কেউ ক্ষমতায় যেতে না পারলেও রাজনীতিতে প্রত্যাবর্তন করেছেন টাকার জোরেই। শেখ হাসিনা বিদেশে পাচার করা টাকার জোরে ফের দেশে ফিরে আসতে পারবেন নাÑ এমন কথা জোর দিয়ে বলা সত্যিই দুষ্কর। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাদার অব মাফিয়া শেখ হাসিনার থামাতে চাইলে আগে তার বিদেশে পাচার করা অর্থের খুঁটি ভেঙে দিতে হবে। অর্থনৈতিকভাবে তাকে পঙ্গু করতে হবে। নেতাকর্মীদের বিপদে ফেলে পালিয়ে যাওয়ার কারণে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সাবেক মন্ত্রী-এমপিরা তার ওপর প্রচণ্ড বিক্ষুব্ধ। তারা শেখ হাসিনাকে বেঈমান-বিশ্বাসঘাতক বলে অবিহিত করছেন। কিন্তু ভারতের সহায়তায় টাকার জোরেই তিনি দেশে ফিরতে পারেনÑ এমন আশঙ্কা উড়িয়ে দেয়া যায় না। কারণ এখনো দেশের সিভিল প্রশাসন, পুলিশ-র‌্যাব-সেনাসহ সর্বত্রই তার অনুসারীরা দাপট দেখাচ্ছেন।

পতিত হাসিনার বিদেশে টাকা পাচার নিয়ে বোমা ফাঁটিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। তিনি যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম ‘দ্য ফিন্যান্সিয়াল টাইমস’কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, বাংলাদেশের ব্যাংক খাত থেকে এক হাজার ৭০০ কোটি মার্কিন ডলার লুট করেছেন ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দোসর টাইকুন ধনকুবেররা। তিনি দাবি করেছেন, দেশের শক্তিশালী সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যদের সহায়তায় কয়েকটি ব্যাংক দখলের নেয়ার পর নতুন শেয়ারহোল্ডারদের ঋণ দেয়া এবং আমদানি চালান স্ফীত করার মতো পদ্ধতি ব্যবহার করে আনুমানিক দুই লাখ কোটি টাকা (১৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার) বাংলাদেশ থেকে বিদেশ পাচার করা হয়েছে। তিনি বলেন, যে কোনো আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে এটি সবচেয়ে বড়, সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ব্যাংক লুটপাট। বিশ্বের আর কোথায় এই পরিমাণের অর্থ লুটপাটের ঘটনা ঘটেনি। বাংলাদেশে এই ঘটনায় শেখ হাসিনা ও রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা ছিল। আন্তর্জাতিক আরো কয়েকটি গণমাধ্যম ও সংস্থা শেখ হাসিনা রেজিমে বিদেশে টাকা পাচারের ভয়াবহ তথ্য প্রকাশ করেছে। ওয়াশিংটনভিত্তিক আর্থিক খাতের গবেষণা সংস্থা গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটির (জিএফআই) তথ্য বলছে, হাসিনা রেজিমে বাংলাদেশ থেকে গড়ে প্রতি বছর ৭৫৩ কোটি ৩৭ লাখ ডলার ( ৮০ হাজার কোটি টাক) পাচার হচ্ছে। ১৪ বছরে এই পাচারের পরিমাণ কোন পর্যায়ে গেছে তা হিসাব করলেই বের হয়ে আসবে। দেশে গত কয়েক বছর ধরেই ডলার সংকট, ভঙ্গুর অর্থনীতি, মূল্যস্ফীতিসহ নানাবিধা টানাপড়েনের অন্যতম কারণ অর্থপাচার। বৈশ্বিক বাণিজ্যভিত্তিক কারসাজি, হুন্ডি, আমদানি-রফতানিতে মিথ্য তথ্য, চোরাচালানসহ নানাবিধ পন্থায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পাচার করা হয়েছে বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা। ব্যক্তির পাশাপাশি অর্থপাচার প্রক্রিয়ায় পরোক্ষভাবে যুক্ত ছিল দেশের একাধিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও সরকারি-বেসরকারি ব্যাংক। সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) বলছে, গত ১৫ বছরে দেশীয় ১৯টি ব্যাংকে আত্মসাৎ করা মাত্র ২৪টি ঋণ কেলেঙ্কারির মাধ্যমেই প্রায় একশ হাজার কোটিরও বেশি টাকা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পাচার হয়েছে। বিদেশে পাচারকৃত টাকা খরচ করে শেখ হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় প্রায় আড়াই কোটি টাকা মাসিক খরচে যুক্তরাষ্ট্রে লবিস্ট নিয়োগ করেছেন। মার্কিন প্রশাসনের কর্মকর্তাদের প্রভাবিত করার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে ওয়াশিংটন ডিসির বিশিষ্ট লবিং ফার্ম ‘স্ট্রেক গ্লোবাল ডিপ্লোম্যাসিকে’ নিয়োগ করেন তিনি। ওই লবিস্ট ফার্ম মার্কিন প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদের ব্যক্তিদের শেখ হাসিনার পক্ষে নেয়ার দূতিয়ালি করবে। ভারত সজীব ওয়াজেদ জয়কে সহায়তা করছে।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালসহ বিভিন্ন আদালতে প্রায় দুই শতাধিক হত্যা মামলা হয়েছে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে। অথচ তার বিরুদ্ধে বিদেশে টাকা পাচারের সুনির্দিষ্ট মামলা এখনো হয়নি। অথচ শেখ হাসিনার শক্তি এখন বিদেশে পাচার করা সেই অর্থ। দুই হাতে টাকা খরচ করে তিনি দেশে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ভারতের আশ্রয়ে থাকা শেখ হাসিনার সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া তিনটি অডিও রেকর্ড শুনলেই এটি পরিষ্কার। তিনি মানুষের ঘরে আগুন দেয়ার নির্দেশনা দিচ্ছেন, প্রায় আড়াইশ’ মানুষকে খুন করার ঘোষণা দিয়েছেন। পাশেই আছি চট করে ঢুকে পড়ব, ড. ইউনূস ডিসেম্বর পর্যন্ত থাকতে পারবে নাÑ ইত্যাদি বলছেন। তিনি যে সব কথাবার্তা অডিওতে বলছেন, অন্তর্বর্তী সরকার এখনই সতর্কতা অবলম্বন না করলে তা দেশের জন্য ভয়ঙ্কর বিপদ ডেকে আনতে পারে। কারণ পৃথিবীকে অনেক স্বৈরশাসকের বিদেশে পাচার করা টাকার খরচ করে দেশের রাজনীতিতে পুনপ্রতিষ্ঠার নজির রয়েছে।

মার্কোসের কথা মনে আছে! ফিলিপাইনের প্রভাবশালী প্রেসিডেন্ট ছিলেন মার্কোস। ভয়ঙ্কর স্বৈরশাসক ছিলেন। দুর্নীতিবাজ স্বৈরশাসন মার্কোসের বিরুদ্ধে গণআন্দোলন গড়ে উঠলে ১৯৮৬ সালে ক্ষমতাচ্যুত হন। সে সময় তার স্ত্রী ইমেলদা মার্কোসের হাজার জোড়া জুতার খবর আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে শিরোনাম হয়েছিল। ক্ষমতায় থাকার সময় শেখ হাসিনার মতোই মার্কোস বিপুল পরিমাণ অর্থ যুক্তরাষ্ট্রে পাচার করেছিলেন। সেই টাকা খরচ করে দেশের রাজনীতিতে তার পরিবার ফিরতে চেষ্টা করে। টাকা খরচে কাজও হয়। টাকার জোরেই মার্কোসপুত্র রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে উঠেন। পিতার পদচ্যুতির ৩৬ বছর পর মার্কোসপুত্র ফারদিন মার্কোস ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।

গত ২০ অক্টোবর ইন্দোনেশিয়ার সাবেক জেনারেল প্রাবোও সুবিয়ান্তো দেশটির নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন। ৭৩ বছর বয়সী প্রাবোও সাবেক প্রেসিডেন্ট সুহার্তোর জামাতা। সুহার্তো ১৯৬৮ সালে সে দেশের ক্ষমতা গ্রহণ করেন। দীর্ঘ ৩০ বছর জুলুম-নির্যাতন চালিয়ে হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করে যুক্তরাষ্ট্রের পাচার করেন। ছাত্রদের আন্দোলনে ১৯৯৮ তিনি পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। সুহার্তোর বিদেশে পাচার করা টাকা খবর করে তার জামাতা ও কন্যা দীর্ঘদিন দিন পর সে দেশের রাজনীতিতে ফিরে আসেন। শুধু তাই নয়, জামাতা প্রাবোও সুবিয়ান্তো এখন ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট।

শেখ হাসিনার মতো জনগণের ওপর নিষ্ঠুরতা চালিয়েছিলেন যুগোশ্লাভিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট সেøাভদন মিলোশেভিচ। ১৯৯১ সালে তার বিরুদ্ধে ব্যাপক আন্দোলন হন। তিনি শেখ হাসিনার মতোই গণহত্যা করে করেও ক্ষমতা ধরে রাখতে পারেননি। গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হন ১৯৯১ সালে। তিনি পালানোর আগে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচার করেন। গণহত্যার অভিযোগ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে তার বিচার শুরু হয়। বিচার চলাকালীন সময় ২০০৬ সালে জাতিসংঘের আটক কেন্দ্রে বন্দি অবস্থায় মারা যান মিলোশেভিচ। তার পরিবারের সদস্যরা টাকা খবর করে সে দেশের রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠা পেয়েছেন। রুয়ান্ডার সাবেক প্রধানমন্ত্রী জিন কাবান্দা ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য গণহত্যা চালিয়েছিলেন। ১৯৯৪ সালে গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে তার বিচার হয়। তার পরিণতি বিশ্বাবাসী দেখেছে। জিন কাবান্দার বিদেশে পাচার করা টাকা ফেরত আনায় তাকে করুণ পরিণত ভোগ করতে হয়।

গণআন্দোলনের মুখে ১৯৯৮ সালে চিলির প্রেসিডেন্ট আগস্টো পিনোচেট ক্ষমতাচ্যুত হন। গণহত্যার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলা হয়। ২০০৪ সালে মামলা চলার সময় তিনি কারাগারে বন্দি অবস্থায় মারা যান। তার পাচার করা অর্থ দেশে ফেরত আনায় তাকে এই পরিণতি ভোগ করতে হয়।

২০১১ সালে গণআন্দোলন তথা আরব বসন্তে লিবিয়ার প্রেসিডেন্ট মুয়াম্মার গাদ্দাফি ক্ষমতাচ্যুত হয়েছিলেন। গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হলেও তিনি দেশ থেকে পালাননি। তার মৃত্যুদণ্ড দেয়া হলেও তার পুত্র সাইফ আল গাদ্দাফি কয়েক বছর পর দেশের রাজনীতিতে ফিরে এসে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন টাকার জোরেই। আরব বসন্তে ২০১১ সালে মিসরের হুসনি মোবারক ক্ষমতাচ্যুত হন। গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতা হারানোর ছয় বছর পর তার পুত্র গামাল মোবারক ২০১৭ সাল থেকে পাচার করা টাকার জোরেই দেশের রাজনীতিতে জনপ্রিয় হয়ে উঠেন।

পৃথিবীতে অনেক নজির রয়েছে গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে পুনরায় স্বৈরশাসকরা নিজে, তার পরিবারের সদস্য এবং তার দল ক্ষমতায় ফিরে এসেছে। তাদের এই ফিরে আসার কারণ পাচার করা টাকার ব্যবহার। ক্ষমতায় থাকার সময় বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশে পাচার করেন। ক্ষমতাচ্যুতির পর সেই টাকা খরচ করে দেশের রাজনীতিতে ফেরার চেষ্টা করেছেন। কেউ সফল হয়েছেন, কেউ হয়েছেন ব্যর্থ।

মাদার অব মাফিয়া হাসিনা ১৫ বছর দেশের অর্থনীতিকে পঙ্গু করেছেন। মহাপ্রকল্পের নামে বিদেশি ঋণ নিয়ে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন। দলবাজদের ব্যাংকের লাইসেন্স দিয়ে দেশের ব্যাংকিং সেক্টরকে ধ্বংস করেছেন। মানুষের মধ্যে রাজনৈতিক ও সামাজিক বিরোধ সৃষ্টি করে দেশকে বিভক্ত জাতিতে পরিণত করেছেন। দুর্নীতিকে রাষ্ট্রীয় রূপ দেন। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে দলীয় সদর দফতরে পরিণত করেছেন। জাতীয় সংসদকে বানিয়েছিলেন আওয়ামী ক্লাব আর বিচার বিভাগকে বানিয়েছিলেন আওয়ামী আইনজীবী পুনর্বাসন কেন্দ্রে। সিভিল প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসনকে দলীয় বাহিনীতে পরিণত করেছেন। শত শত মানুষকে গুম করে বছরের পর বছর ‘আয়নাঘরে’ বন্দি রেখেছেন, কাউকে হত্যা করেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর যে টাকা পাচারের তথ্য প্রকাশ করেছেন তা ফিরিয়ে আনতে সহায়তা প্রদানের ইতিবাচক প্রত্যাশা দেখিয়েছে বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফ। অর্থ উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর যুক্তরাষ্ট্র সফরে গেলে তাদের উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা দুটি পাচার হওয়া টাকা ফেরত আনতে বাংলাদেশকে সহায়তার প্রতিশ্রুতি দেয়। এর আগে গত ২৯ সেপ্টেম্বর বিদেশে পাচার করা অর্থ দেশে ফেরত আনতে বিদ্যমান টাস্কফোর্স পুনর্গঠন করেছে সরকার। টাস্কফোর্সের সভাপতি করা হয় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে। এক মাস আগে এ টাস্কফোর্স গঠন করা হলেও দৃশ্যমান কোনো কার্যক্রম দেখা যাচ্ছে না। বিশেষজ্ঞদের অভিমত, শেখ হাসিনার বর্তমান শক্তি বিদেশে পাচার করা টাকা তছনছ করে দিতে না পারলে ১০-২০ বছর পর ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইনের মতো ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। কারণ হিন্দুত্ববাদী ভারত এখনো হাসিনার সঙ্গে রয়েছে। অতএব হাসিনার মেরুদণ্ড বিদেশে পাচার করা মৌচাকে (টাকা) ঢিল ছুড়তেই হবে।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button
bacan4d toto
bacan4d toto
bacan4d
bacantoto4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d toto
slot toto
bacan4d
bacan4d
togel online
Toto Slot
saraslot88
Bacan4d Login
bacantoto
Bacan4d Login
bacan4d
bacan4drtp
bacan4drtp
situs bacan4d
Bacan4d
slot dana
slot maxwin
slot bacan4d
slot maxwin
bacan4d togel
bacan4d login
bacan4d login
bacan4d login
bacantoto 4d
slot gacor
bacansport
slot toto
bacan4d
bacansport
bacansport
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
slot77 gacor
JAVHD
Bacan4d Login
Bacan4d toto
Bacan4d
Bacansports
Slot Dana
situs toto
bacansports
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
slot gacor
bacan4d
bacan4d
bacansport
bacansport
gacor slot
slot gacor777
slot gacor bacan4d
bacan4d
bacansport
toto gacor
bacan4d
bacansports login
slot maxwin
slot dana
slot gacor
slot dana
slot gacor
bacansports
bacansport
bacansport
bacansport
bawan4d
bacansports
bacansport
slot gacor
judi bola
slot maxwin
slot maxwin
bacansport
bacan4d
bacansport
slot gacor
slot demo
slot gacor
slot gacor
slot gacor
toto slot
slot gacor
demo slot gacor
slot maxwin
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacansport
slot gacor
slot toto