১০০ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্রচুক্তির প্রস্তাব নিয়ে সৌদি সফরে যাচ্ছেন ট্রাম্প

এর আগে বাইডেন প্রশাসন সৌদি-ইসরাইল সম্পর্ক স্বাভাবিক করার উদ্যোগের অংশ হিসেবে রিয়াদের সাথে প্রতিরক্ষা চুক্তি করার চেষ্টা করেছিল। তবে সেই প্রচেষ্টা সফল হয়নি। ট্রাম্প প্রশাসনের প্রস্তাবে একই রকম শর্ত রয়েছে কিনা তা রয়টার্স নিশ্চিত করতে পারেনি।
সৌদি আরবের সাথে ১০০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি মূল্যের অস্ত্রচুক্তির ঘোষণা দিতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। আগামী মে মাসে ট্রাম্পের রিয়াদ সফরের সময় এই প্রস্তাব আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হতে পারে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট ছয়টি সূত্র।
শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
এর আগে বাইডেন প্রশাসন সৌদি-ইসরাইল সম্পর্ক স্বাভাবিক করার উদ্যোগের অংশ হিসেবে রিয়াদের সাথে প্রতিরক্ষা চুক্তি করার চেষ্টা করেছিল। তবে সেই প্রচেষ্টা সফল হয়নি। ওই প্রস্তাবে চীনের কাছ থেকে অস্ত্র কেনা বন্ধ এবং চীনা বিনিয়োগ সীমিত করার শর্তে উন্নত মার্কিন অস্ত্র সরবরাহের কথা ছিল। ট্রাম্প প্রশাসনের প্রস্তাবে একই রকম শর্ত রয়েছে কিনা তা রয়টার্স নিশ্চিত করতে পারেনি।
সূত্রগুলো জানিয়েছে, প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা শিল্পের বড় বড় সংস্থাগুলো যুক্ত থাকছে। লকহিড মার্টিন করপোরেশন সৌদি আরবকে সি-১৩০ পরিবহন বিমান, ক্ষেপণাস্ত্র ও রাডার সরবরাহ করতে পারে। এছাড়া আরটিএক্স করপোরেশন, বোয়িং, নর্থরপ গ্রুমম্যান ও জেনারেল অ্যাটমিক্সের নামও রয়েছে সম্ভাব্য সরবরাহকারী হিসেবে।
তিনটি সূত্র আরো জানিয়েছে, প্রস্তাবিত চুক্তি চূড়ান্ত হলে প্রতিরক্ষা শিল্পের শীর্ষ কর্মকর্তারা ট্রাম্পের সফরসঙ্গী হিসেবে সৌদি সফরে যেতে পারেন।
যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন ধরেই সৌদি আরবকে অস্ত্র সরবরাহ করে আসছে। ট্রাম্প ২০১৭ সালে সৌদি আরবকে প্রায় ১১০ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির প্রস্তাব করেছিলেন। তবে ২০১৮ সালে সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যাকাণ্ডের পর কংগ্রেস অস্ত্র বিক্রিতে বিধিনিষেধ আরোপ করে। এরপর বাইডেন প্রশাসন ২০২১ সালে ইয়েমেন যুদ্ধ ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের কারণে সৌদির ওপর চাপ বাড়ায়।