১০১ আসনে নৌকার ‘জয়ে বাধা’ স্বতন্ত্র
নানা কৌশলের পরও জাতীয় নির্বাচনের অর্ধেক সংখ্যক আসনও ‘প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ’ করা যাচ্ছে না। প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত হওয়ার পর সারাদেশের ৩০০ আসনের মধ্যে ১০১টিতে লড়াইয়ের আভাস মিলেছে। বাকি আসনে ভোট হতে যাচ্ছে অনেকটাই একতরফা। এবার ২৭টি নিবন্ধিত দল অংশ নিলেও মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। অন্তত ১১ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর জয়ের পথে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছেন এই স্বতন্ত্ররাই।
গতকাল রোববার প্রার্থিতা প্রত্যাহারের পর আজ সোমবার প্রতীক বরাদ্দের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিক প্রচারে নামবেন চূড়ান্ত প্রার্থীরা। বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট এ নির্বাচন বর্জন করছে। এই জোটের বাইরেও কট্টর ডানপন্থি ও কট্টর বামপন্থি হিসেবে পরিচিত একাধিক রাজনৈতিক দল নির্বাচন বর্জন করছে। ফলে কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি নিয়ে শঙ্কিত ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। ভোটার উপস্থিতি বাড়াতে স্বতন্ত্র প্রার্থী মাঠে ধরে রাখছে তারা। অবশ্য নির্বাচন কমিশনের (ইসি) হিসাবে ৪৪ নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের মধ্যে ২৭টি দল নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে ভোটের মাঠের চিত্র ভিন্ন। কারণ আওয়ামী লীগ ও সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টি (জাপা) ইতোমধ্যে আসন বণ্টন করেছে। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের শরিক দলের মধ্যেও আসন সমঝোতা হয়ে গেছে। ফলে ভোটের মাঠে যতটুকু প্রতিদ্বন্দ্বিতা হওয়ার সম্ভাবনা, তার সবটুকুই আওয়ামী লীগের স্থানীয় পদধারী স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ঘিরে। এবারের নির্বাচনে ‘কিংস পার্টি’খ্যাত তৃণমূল বিএনপি, বিএনএম এবং বিএসপি অনেক আসনে প্রার্থী দিলেও মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এখনও কেউ আসতে পারেনি। প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত হওয়ার পরে হাতেগোনা দু-একটি আসন ছাড়া তাদের কেউ আলোচনায় নেই।
ইসির হিসাবে ২৮ রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মিলে ৩০০ আসনে ২ হাজার ৭১৬টি মনোনয়নপত্র জমা পড়ে। এর মধ্যে বাছাইয়ে বাদ পড়ে ৭৩১টি। মনোনয়নপত্র বাছাই শেষে মোট বৈধ প্রার্থী ছিলেন ১ হাজার ৯৮৫ জন। আপিল নিষ্পত্তি শেষে সব মিলিয়ে বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছিল ২ হাজার ২৬০-এ।
গতকাল সারাদেশে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন ৩৪৭ জন। এখন মোট বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা ১ হাজার ৮৯৬। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ২৯৮ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিল। এর মধ্যে বাছাই ও আপিল শেষে পাঁচটি আসন প্রার্থীশূন্য হয়ে পড়ে দলটির। জাতীয় পার্টির সঙ্গে সমঝোতায় ২৬টি আসনে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করা হয়। অন্যদিকে ১৪ দলীয় জোটের শরিকদের ৬টি আসনে নৌকা প্রতীক বরাদ্দ দেওয়ায় এসব আসনেও আওয়ামী লীগের কোনো প্রার্থী থাকছে না।
সব মিলিয়ে এখন আওয়ামী লীগ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে ২৬৩ আসনে। তবে শরিকদের নিয়ে নৌকা থাকছে ২৬৯ আসনে। অন্যদিকে জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা ২৮৩ আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল করলেও গতকাল অনেক আসন থেকেই প্রার্থিতা প্রত্যাহারের খবর পাওয়া গেছে। তবে কতটি আসনে তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার হয়েছে, তা জানাতে পারেনি দলটি।
অবশ্য ইসির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সংক্ষুব্ধ বেশ কয়েকজন প্রার্থী উচ্চ আদালতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
রাজশাহীর ৩৯ আসনের ১৪টিতে লড়াই
রাজশাহী-১ আসনে আওয়ামী লীগের ওমর ফারুক চৌধুরীর সঙ্গে দলীয় স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম রাব্বানী ও অভিনেত্রী মাহিয়া মাহির লড়াই হবে। রাজশাহী-৪ আসনে বর্তমান এমপি এনামুল হকের সঙ্গে লড়াই হবে দলীয় স্বতন্ত্র প্রার্থী আবুল কালাম আজাদের। রাজশাহী-৫ আসনে আওয়ামী লীগের আবদুল ওয়াদুদ দারার সঙ্গে দলীয় স্বতন্ত্র প্রার্থী ওবায়দুল হকের। রাজশাহী-৬ আসনে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের বিরুদ্ধে আছেন আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি, দলীয় স্বতন্ত্র প্রার্থী রায়হানুল হক।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শামিম উদ্দিন আহমেদ শিমুলের বিরুদ্ধে লড়ছেন দলীয় স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ নজরুল ইসলাম। চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনে বর্তমান এমপি জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে আছেন সাবেক এমপি গোলাম মোস্তফা। চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনে বর্তমান এমপি আবদুল ওয়াদুদের সঙ্গে লড়ছেন বিএনএফের আবদুল মতিন।
নাটোর-১ আসনে সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদ ও জেলা আওয়ামী লীগ নেতা কাজল রায়ের বিরুদ্ধে লড়তে হবে নৌকার প্রার্থী শহিদুল ইসলাম বকুলকে। নাটোর-২ আসনে নৌকার প্রার্থী শফিকুল ইসলাম শিমুর বিরুদ্ধে শক্তিশালী প্রার্থী হিসেবে মাঠে আছেন সাবেক ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী আহাদ আলী সরকার। নাটোর-৩ আসনে নৌকার প্রার্থী আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের বিরুদ্ধে রয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা শফিকুল ইসলাম শফিক।
নাটোর-৪ আসনে নৌকার প্রার্থী ডা. সিদ্দিকুর রহমানের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগ নেতা আসিফ আবদুল্লাহ বিন কুদ্দুস শোভন ও গুরুদাসপুর পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি, সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম।
বগুড়া-২ আসনে জাপার বর্তমান এমপি শরিফুল ইসলাম জিন্নাহর সঙ্গে লড়াই হবে বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী বিউটি বেগমের। বগুড়া-৩ আসনে আদমদীঘি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি স্বতন্ত্র প্রার্থী অজয় কুমার সরকারের সঙ্গে লড়ছেন জাপার প্রার্থী বর্তমান এমপি নূরুল ইসলাম তালুকদার। বগুড়া-৪ আসনে বিএনপির সাবেক এমপি স্বতন্ত্র প্রার্থী ডা. জিয়াউল হক মোল্লা মুখোমুখি হবেন জাসদের রেজাউল করিম তালুকদারের।
রংপুরে ৩৩টির মধ্যে লড়াই মাত্র দুই আসনে
রংপুর-৫ আসনে বর্তমান এমপি আশিকুর রহমানের ছেলে আওয়ামী লীগের রাশেক রহমানের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন দলীয় নেতা জাকির হোসেন সরকার।
রংপুর-১ আসনে জাপা চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের ভাতিজা সাবেক এমপি হোসেন মকবুল শাহরিয়ারের বিরুদ্ধে লড়ছেন আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী আসাদুজ্জামান বাবলু ও সাবেক জাপা নেতা মসিউর রহমান রাঙ্গা এমপি।
খুলনায় ৩৬টির মধ্যে ১০টিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা
কুষ্টিয়া-২ আসনে জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু নৌকা পেলেও তাঁর শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে মাঠে আছেন মিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদ্য পদত্যাগকারী উপজেলা চেয়ারম্যান কামারুল আরেফিন। কুষ্টিয়া-৩ আসনে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল-আলম হানিফকে লড়তে হবে আরেক শক্ত স্বতন্ত্র প্রার্থী পারভেজ আনোয়ার তনুর বিরুদ্ধে।
মেহেরপুর-১ আসনে জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ফরহাদ হোসেন এমপির সঙ্গে দলের নেতা ও সাবেক এমপি অধ্যাপক আবদুল মান্নানের প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। মেহেরপুর-২ আসনে নৌকার প্রার্থী আবু সালেহ মো. নাজমুল হক সাগরের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মকবুল হোসেনের।
চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে ত্রিমুখী প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। নৌকার প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বর্তমান এমপি সোলায়মান হক জোয়ার্দার ছেলুনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে স্বতন্ত্র প্রার্থী কেন্দ্রীয় নেতা ব্যবসায়ী দিলীপ কুমার আগরওয়াল এবং মিনিস্টার-মাইওয়ান গ্রুপের চেয়ারম্যান এমএ রাজ্জাক খানের।
যশোর-১ (শার্শা) আসনে সরকারি দলের তিনবারের সংসদ সদস্য শেখ আফিল উদ্দিনের বিপক্ষে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বেনাপোলের সাবেক পৌর মেয়র আশরাফুল আলম লিটন।
যশোর-২ আসনে নৌকার প্রার্থী ডা. তৌহিদুজ্জামান তুহিনের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন সাবেক এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম এবং চৌগাছা উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এসএম হাবিবুর রহমান।
যশোর-৩ আসনে কাজী নাবিল আহমেদের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী নিজ দলের স্বতন্ত্র প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোহিত কুমার নাথ। যশোর-৫ আসনে নৌকার স্বপন ভট্টাচার্য্যের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ইয়াকুব আলী। যশোর-৬ আসনে আওয়ামী লীগের শাহীন চাকলাদারের বিপক্ষে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এইচএম আমির হোসেন।
বরিশালে ২১টির মধ্যে ৫ আসনে লড়াই
বরিশাল-৬ আসনে ত্রিমুখী লড়াই হবে। জাপার বর্তমান এমপি নাসরিন জাহান, নৌকার প্রার্থী মেজর জেনারেল (অব.) হাফিজ মল্লিক ও বাকেরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সামশুল আলম চুন্নু এ আসনে শক্ত প্রার্থী। বরিশাল-৩ আসনে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি মনিরুল ইসলাম মনি ও স্বতন্ত্র প্রার্থী শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হকের নাতি ফাইয়াজুল হকের লড়াই হবে।
পিরোজপুর-২ আসনে আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর বিপক্ষে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন মহারাজ শক্ত প্রার্থী। পিরোজপুর-১ আসনে বর্তমান এমপি শ ম রেজাউল করিমের সঙ্গে সাবেক এমপি আবদুল আউয়াল লড়ছেন দলীয় স্বতন্ত্র হিসেবে। পটুয়াখালী-৪ আসনে সাবেক এমপি মাহবুবুর রহমান তালুকদারের সঙ্গে লড়াই হবে বর্তমান এমপি মহিবুর রহমানের।
ময়মনসিংহের ২৪ আসনের মধ্যে ৮টিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা
ময়মনসিংহ-১ আসনে বর্তমান এমপি নৌকা প্রতীকের জুয়েল আরেংয়ের সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী সদ্য পদত্যাগ করা উপজেলা চেয়ারম্যান মাহমুদুল হক সায়েমের লড়াই হবে। ময়মনসিংহ-৩ এ নৌকার প্রার্থী নীলুফার আনজুম পপির বিপক্ষে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সোমনাথ সাহা স্বতন্ত্র হিসেবে দাঁড়িয়েছেন। ময়মনসিংহ-৪ এ আওয়ামী লীগে প্রার্থী মহিত-উর রহমান শান্তর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে ময়মনসিংহের মেয়রের বড় ভাই ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আমিনুল হক শামীমের। ময়মনসিংহ-৭ এ লড়াই হবে নৌকার প্রার্থী বর্তমান এমপি হাফেজ রুহুল আমিন মাদানী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী পদত্যাগকারী পৌর মেয়র এবিএম আনিসুজ্জামানের মধ্যে। ময়মনসিংহ-১১ আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে বর্তমান এমপি কাজীম উদ্দিন আহমদ লড়বেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি স্বতন্ত্র প্রার্থী এমএ ওয়াহেদের সঙ্গে।
নেত্রকোনা-১ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মোশতাক আহমেদ রুহীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে জান্নাতুল ফেরদৌস আরা ঝুমা তালুকদারের। নেত্রকোনা-২ আসনে নৌকা প্রতীকে সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরুর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে সাবেক ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়ের। নেত্রকোনা-৩ আসনে আওয়ামী লীগের অসীম কুমার উকিলের সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে সাবেক এমপি ইফতেখার উদ্দিন তালুকদার পিন্টুর।
সিলেটের ১৯ আসনের ৯টিতে লড়াই
সিলেট-৩ এ নৌকার হাবিবুর রহমান লড়বেন জাতীয় পার্টির আতিকুর রহমান এবং আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র বিএমএ মহাসচিব ইশতেশামুল হক চৌধুরীর সঙ্গে। সিলেট-৬ আসনে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ নৌকার প্রার্থী হয়েছেন। তাঁর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন তৃণমূল বিএনপির চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী ও আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী সরওয়ার হোসেন। সিলেট-৫ এ আওয়ামী লীগের মাসুক উদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছেন আঞ্জুমানে আল ইসলামের সভাপতি মাওলানা হুচামুদ্দীন চৌধুরী।
সুনামগঞ্জ-৫ আসনে নৌকা প্রতীকে বর্তমান এমপি মুহিবুর রহমান মানিক লড়াই করবেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা শামীম আহমদের সঙ্গে। সুনামগঞ্জ-১ আসনে নৌকার প্রার্থী রনজিৎ চন্দ্র সরকারের সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বর্তমান এমপি মোয়াজ্জেম হোসেন রতন। সুনামগঞ্জ-২ আসনে নৌকা প্রতীকে চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মাহমুদের সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রয়াত নেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের স্ত্রী বর্তমান এমপি ড. জয়া সেনগুপ্তা।
মৌলভীবাজার-২ আসনে নৌকার শফিউল আলম, তৃণমূল বিএনপি প্রার্থী এমএম শাহীন এবং আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী শফি আহমদ সলমানের মধ্যে ত্রিমুখী লড়াই হবে।
হবিগঞ্জ-৪ আসনে নৌকার প্রার্থী বিমান প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলীর লড়াই হবে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমনের সঙ্গে। হবিগঞ্জ-২ এ আওয়ামী লীগ প্রার্থী ময়েজ উদ্দিন শরীফ রুয়েলের লড়াই হবে স্বতন্ত্র প্রার্থী দলের চারবারের এমপি আবদুল মজিদ খানের সঙ্গে।
ঢাকার ৭০ আসনের মধ্যে ২৫টিতে লড়াই
ঢাকা-১ আসনে নৌকার প্রার্থী বর্তমান এমপি সালমান এফ রহমানের সঙ্গে লড়াই হবে জাতীয় পার্টির সালমা ইসলামের। নরসিংদী-১ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী লে. কর্নেল (অব.) নজরুল ইসলাম হিরুর বিপক্ষে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন কামরুজ্জামান কামরুল। নরসিংদী-৩ আসনে নৌকার প্রার্থী ফজলে রাব্বি খানের সঙ্গে লড়াই হবে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সিরাজুল ইসলাম মোল্লার। নরসিংদী-৪ আসনে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা আওয়ামী লীগের নেতা সাইফুল ইসলাম খান বীরু। নরসিংদী-৫ আসনে সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজুর বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন রায়পুরা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান চৌধুরী।
মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনে নৌকা প্রতীকের মৃণাল কান্তি দাশ এমপির সঙ্গে লড়াই করবেন স্বতন্ত্র প্রার্থী পদত্যাগকারী পৌর মেয়র ফয়সাল বিপ্লব।
নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে নৌকার প্রার্থী বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, তৃণমূল বিএনপির তৈমূর আলম খন্দকার এবং আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহজাহান ভূঁইয়ার ত্রিমুখী লড়াই হবে।
মানিকগঞ্জ-২ আসনে নৌকার প্রার্থী বর্তমান এমপি মমতাজ বেগমের সঙ্গে লড়াই হবে স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা দেওয়ান শফিউল আরেফিন ও দলের জেলা শাখার কোষাধ্যক্ষ জাহিদ আহমেদের।
কিশোরগঞ্জ-১ আসনে নৌকার প্রার্থী বর্তমান এমপি সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপির লড়াই হবে তাঁর আপন বড় ভাই মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ সাফায়েতুল ইসলামের। কিশোরগঞ্জ-২ আসনে নৌকার প্রার্থী সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি আবদুল কাহার আকন্দের সঙ্গে লড়াই হবে আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি সোহরাব উদ্দিন ও বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা সাবেক এমপি মেজর (অব.) আখতারুজ্জামানের। কিশোরগঞ্জ-৫ আসনে নৌকার প্রার্থী বর্তমান এমপি আফজাল হোসেন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী যুবলীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুব্রত পালের মধ্যে লড়াই হবে।
টাঙ্গাইল-২ আসনে বর্তমান এমপি ছোট মনিরের সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী ইউনুস ইসলাম তালুকদারের তুমুল লড়াই হতে যাচ্ছে। এ ছাড়া টাঙ্গাইল-৩ আসনে আওয়ামী লীগের কামরুল হাসান খানের সঙ্গে সাবেক এমপি আমানুর রহমান খান রানার, টাঙ্গাইল-৫ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মামুনুর রশীদের সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান এমপি ছানোয়ার হোসেন এবং টাঙ্গাইল-৭ আসনে আওয়ামী লীগের খান আহমেদ শুভর সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী মীর এনায়েত হোসেন মন্টুর কঠিন লড়াইয়ের আভাস পাওয়া গেছে।
গাজীপুর-১ আসনে নৌকার প্রার্থী মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম মোজাম্মেল হকের সঙ্গে লড়াই হবে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজাউল করিম রাসেলের। গাজীপুর-২ আসনে নৌকার প্রার্থী যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলের সঙ্গে লড়াই হবে আওয়ামী লীগ নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী আলিম উদ্দিনের। গাজীপুর-৩ আসনে নৌকার প্রার্থী রুমানা আলীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেনের।
ফরিদপুর-১ আসনে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রহমান নৌকা নিয়ে লড়বেন বিএনএমের শাহ মোহাম্মদ আবু জাফরের সঙ্গে। ফরিদপুর-২ আসনে বর্তমান এমপি লাবু চৌধুরী নৌকা প্রতীকে লড়বেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা জামাল হোসেন মিয়ার সঙ্গে।
ফরিদপুর-৪ আসনে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য নৌকার প্রার্থী কাজী জাফরউল্লাহর সঙ্গে লড়াই হবে বর্তমান এমপি স্বতন্ত্র প্রার্থী নিক্সন চৌধুরীর।
মাদারীপুর-৩ আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে বর্তমান এমপি ড. আবদুস সোবহান গোলাপের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি তাহমিনা আক্তার।
রাজবাড়ী-১ আসনে নৌকার কাজী কেরামত আলীর সঙ্গে লড়াই হবে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ইমদাদুল হক বিশ্বাসের। রাজবাড়ী-২ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী বর্তমান এমপি জিল্লুল হাকিমের সঙ্গে লড়বেন কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক নূরে আলম সিদ্দিকী হক। শরীয়তপুর-২ আসনে নৌকার প্রার্থী পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীমের সঙ্গে লড়াই হবে দলটির স্বতন্ত্র প্রার্থী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য খালেদ শৌকত আলীর।
চট্টগ্রাম বিভাগে ৫৮ আসনে লড়াই ২৮টিতে
চট্টগ্রাম-১ আসনে নৌকার প্রার্থী মাহবুব রহমান রুহেলের সঙ্গে লড়াই হবে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিনের। চট্টগ্রাম-৩ আসনে নৌকার প্রার্থী মাহফুজুর রহমান মিতার সঙ্গে লড়াই হবে স্বতন্ত্র প্রার্থী জামাল উদ্দিন চৌধুরীর। চট্টগ্রাম-৫ আসনে জাপার ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদের সঙ্গে লড়াই হবে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি শাহজাহান চৌধুরীর। চট্টগ্রাম-৮ আসনে জাপার সোলায়মান আলম শেঠের সঙ্গে লড়াই হবে আওয়ামী লীগ নেতা আবদুচ ছালামের। চট্টগ্রাম-১০ আসনে নৌকার প্রার্থী মহিউদ্দিন বাচ্চুর সঙ্গে সাবেক সিটি মেয়র মোহাম্মদ মনজুর আলম ও নগর যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ফরিদ মাহমুদের ত্রিমুখী লড়াই হবে।
চট্টগ্রাম-১১ আসনে নৌকার প্রার্থী আবদুল লতিফের সঙ্গে লড়াই হবে স্বতন্ত্র প্রার্থী সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর জিয়াউল হক সুমনের। চট্টগ্রাম-১২ আসনে নৌকার প্রার্থী মোতাহেরুল ইসলামের সঙ্গে লড়াই হবে স্বতন্ত্র প্রার্থী সামশুল হক চৌধুরীর। চট্টগ্রাম-১৪ আসনে নৌকার নজরুল ইসলামের সঙ্গে লড়াই হবে স্বতন্ত্র প্রার্থী পদত্যাগী উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল জব্বার চৌধুরীর।
চট্টগ্রাম-১৫ আসনে নৌকার প্রার্থী আবু রেজা মোহাম্মদ নেজামউদ্দীন নদভীর সঙ্গে লড়াই হবে স্বতন্ত্র প্রার্থী পদত্যাগী উপজেলা চেয়ারম্যান এমএ মোতালেবের। চট্টগ্রাম-১৬ আসনে নৌকার প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে লড়াই হবে আওয়ামী লীগ নেতা মজিবুর রহমান ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল্লাহ কবির লিটনের।
কুমিল্লা-২ আসনে নৌকার প্রার্থী সেলিনা আহমেদ মেরির সঙ্গে লড়াই হবে স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল মজিদের। কুমিল্লা-৪ আসনে নৌকার প্রার্থী রাজী মোহাম্মদ ফখরুলের সঙ্গে লড়াই হবে সদ্য পদত্যাগী চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদের। কুমিল্লা-৫ আসনে নৌকার প্রার্থী আবুল হাসেম খানের সঙ্গে লড়াই হবে স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা সাজ্জাদ হোসেন স্বপনের। কুমিল্লা-৬ আসনে নৌকার প্রার্থী আ ক ম বাহার উদ্দীন বাহারের সঙ্গে লড়াই হবে সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি আনজুম সুলতানা সীমার।
নোয়াখালী-১ আসনে নৌকার প্রার্থী এইচএম ইব্রাহিমের সঙ্গে লড়াই হবে স্বতন্ত্র প্রার্থী পদত্যাগী উপজেলা চেয়ারম্যান খন্দকার রুহুল আমিনের। নোয়াখালী-২ আসনে নৌকার প্রার্থী মোরশেদুল আলমের সঙ্গে লড়াই হতে পারে তমা গ্রুপের মালিক স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান মানিকের। নোয়াখালী-৩ আসনে নৌকার প্রার্থী মামুনুর রশীদ কিরনের সঙ্গে লড়াই হবে সাবেক সেনাপ্রধান মইন ইউ আহমেদের ছোট ভাই স্বতন্ত্র প্রার্থী মিনহাজ আহমেদ জাবেদের। নোয়াখালী-৪ আসনে নৌকার প্রার্থী একরামুল করিম চৌধুরীর সঙ্গে লড়াই হবে স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা সিহাব উদ্দিন শাহিনের।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনে নৌকার প্রাথী বিএম ফরহাদ হোসেনের সঙ্গে লড়াই হবে স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ একে একরামুজ্জামানের। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে জাপার প্রার্থী রেজাউল ইসলাম ভুঁইয়ার সঙ্গে লড়াই হবে আওয়ামী লীগ নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী মঈন উদ্দীন মঈনের। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনে নৌকার প্রার্থী র আ ম উবায়দুল মোকতাদীর চৌধুরীর সঙ্গে লড়াই হবে সদ্য পদত্যাগী উপজেলা চেয়ারম্যান ফিরোজুর রহমানের।
ফেনী-৩ আসনে জাপার প্রার্থী জেনারেল (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরীর সঙ্গে লড়াই হবে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক এমপি রহিম উল্লাহর।
চাঁদপুর-৩ আসনে নৌকার ডা. দীপু মনির সঙ্গে লড়াই হবে স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি শামসুল হক ভূঁইয়ার। চাঁদপুর-৫ আসনে সাবেক মন্ত্রী বর্তমান এমপি মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম বীরউত্তমের সঙ্গে লড়াই হবে স্বতন্ত্র প্রার্থী গাজী মাঈনুদ্দিনের।
লক্ষ্মীপুর-১ আসনে নৌকার আনোয়ার হোসেন খানের সঙ্গে লড়াই হবে স্বতন্ত্র প্রার্থী যুবলীগ নেতা হাবিবুর রহমানের। লক্ষ্মীপুর-৩ আসনে নৌকার গোলাম ফারুকের সঙ্গে লড়াই হবে স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা আবদুস সাত্তারের। লক্ষ্মীপুর-৪ আসনে নৌকার প্রার্থী মোশাররফ হোসেনের সঙ্গে লড়াই হবে আওয়ামী লীগ নেতা মো. আবদুল্লাহর।
কক্সবাজার-১ আসনে কল্যাণ পার্টির মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিমের সঙ্গে লড়াই হবে বর্তমান সংসদ সদস্য জাফর আলমের।
নৌকা পেয়েও হারালেন যারা
শরিকদের কারণে আওয়ামী লীগের ৩০ নেতা নৌকা পেয়েও ধরে রাখতে পারেননি।
তারা হলেন– ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের ইমদাদুল হক, নীলফামারী-৩ আসনের গোলাম মোস্তফা, নীলফামারী-৪ আসনের জাকির হোসেন, রংপুর-১ আসনের রেজাউল করিম, রংপুর-৩ আসনের তুষার কান্তি মণ্ডল, কুড়িগ্রাম-১ আসনের আছলাম হোসেন সওদাগর, কুড়িগ্রাম-২ আসনের জাফর আলী, গাইবান্ধা-১ আসনের আফরুজা বারী, গাইবান্ধা-২ আসনের মাহবুব আরা বেগম (গিনি), বগুড়া-২ আসনের তৌহিদুর রহমান, বগুড়া-৩ আসনের সিরাজুল ইসলাম খান, সাতক্ষীরা-২ আসনের মো. আসাদুজ্জামান, পটুয়াখালী-১ আসনের আফজাল হোসেন, বরিশাল-৩ আসনের সরদার খালেদ হোসেন, পিরোজপুর-৩ আসনের আশরাফুর রহমান, ময়মনসিংহ-৫ আসনের আব্দুল হাই আকন্দ, ময়মনসিংহ-৮ আসনের আব্দুছ ছাত্তার, কিশোরগঞ্জ-৩ আসনের নাসিরুল ইসলাম খান, মানিকগঞ্জ-১ আসনের আব্দুস সালাম, ঢাকা-১৮ আসনের হাবিব হাসান, হবিগঞ্জ-১ আসনের মুশফিক হুসেন চৌধুরী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের শাহজাহান আলম, ফেনী-৩ আসনের আবুল বাশার, চট্টগ্রাম-৫ আসনের আবদুস সালাম, চট্টগ্রাম-৮ আসনের নোমান আল মাহমুদ, বগুড়া-৪ আসনের হেলাল উদ্দিন কবিরাজ, লক্ষ্মীপুর-৪ আসনের ফরিদুন্নাহার, বরিশাল-২ আসনের তালুকদার মোহাম্মদ ইউনূস, রাজশাহী-২ আসনের মোহাম্মদ আলী এবং পিরোজপুর-২ আসনের কানাই লাল বিশ্বাস।