১২০০ কিলোমিটার পাল্লার অত্যাধুনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সামনে আনলো ইরান

ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় রোববার (৫ এপ্রিল) একটি অত্যাধুনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উন্মোচন করেছে। পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হুমকির পটভূমিতে নতুন এই ক্ষেপণাস্ত্র উন্মোচন করা হলো।
এপির প্রতিবেদন অনুসারে, ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেনারেল আজিজ নাসিরজাদেহের সঙ্গে একটি সাক্ষাৎকারের সময় টিভিতে ‘কাসেম বাসির’ নামক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রটি দেখানো হয়।
এ সময় প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, এই ক্ষেপণাস্ত্রটিতে প্রতিরক্ষা স্তরগুলো ভেদ করার জন্য এবং সহজেই অ্যান্টি-ব্যালিস্টিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে এড়িয়ে যাওয়ার জন্য ‘নির্দেশনা ও চালচলন’ উভয় প্রযুক্তিরই উন্নতি করা হয়েছে।
ক্ষেপণাস্ত্রটি সর্বশেষ পরীক্ষা করা হয়েছিল ১৭ এপ্রিল। রাষ্ট্রীয় টিভিতে ক্ষেপণাস্ত্রটিকে কমপক্ষে ১২০০ কিলোমিটার পাল্লার বলে বর্ণনা দেওয়া হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্রটি জিপিএস নির্দেশনা ছাড়াই নির্ভুলতার সঙ্গে একাধিক লক্ষ্যবস্তুর মধ্যে একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তু সনাক্ত করতে এবং আঘাত করতে পারে।
গত ১ মে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ এক্স-পোস্টে ইয়েমেনে হুতিদের প্রতি ইরানের সমর্থন সম্পর্কে সতর্ক করেছিলেন। প্রতিক্রিয়ায় ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, যদি যুক্তরাষ্ট্র বা ইসরায়েল যুদ্ধ শুরু করে, তাহলে ইরান শত্রুদের স্বার্থ, ঘাঁটি এবং বাহিনীতে ‘যেখানেই এবং যখনই প্রয়োজন হবে’ আঘাত করবে।
প্রতিবেশী আরব দেশগুলোর প্রতি ইঙ্গিত করে নাসিরজাদেহ বলেন, তাদের সঙ্গে আমাদের কোনো শত্রুতা নেই এবং আমরা ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ক চাই। তবে কোনো আক্রমণের ক্ষেত্রে, এই অঞ্চলে মার্কিন ঘাঁটিগুলোকে বৈধ লক্ষ্যবস্তু হিসাবে বিবেচনা করা হবে।
ইসরায়েলের ওপর ইয়েমেনের হুতিদের সাম্প্রতিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার বিষয়ে নাসিরজাদেহ বলেন, ইয়েমেন একটি স্বাধীন জাতি, যারা নিজস্ব সিদ্ধান্ত নেয়। সেখানকার সংঘাতের সঙ্গে ইরানকে জড়িত করার মার্কিন প্রচেষ্টা প্রত্যাখ্যান করেন তিনি।