১৬ জুলাই-৫ আগস্ট পুলিশ সদর দপ্তরের কর্মকর্তাদের নাম চেয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল
পুলিশ সদর দপ্তরের সূত্র বলছে, চিঠি পাওয়ার পর পুলিশ সদর দপ্তর নিজেদের তালিকা প্রস্তুত করে মহানগর পুলিশ ও রেঞ্জ কার্যালয়ে পাঠিয়েছে। কার্যালয়গুলো ইতিমধ্যে আন্দোলন চলাকালীন সারা দেশে পুলিশের অপারেশন বিভাগে দায়িত্বে থাকা সদস্যদের তালিকা করতে শুরু করেছে।বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় পুলিশ সদর দপ্তরে দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তাসহ পুলিশের অপারেশন বিভাগের কর্মকর্তাদের নাম জানতে চেয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।
এ সংক্রান্ত এক চিঠিতে ট্রাইব্যুনালের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তদন্ত সংস্থায় দায়ের হওয়া মামলার সুষ্ঠু ও যথাযথ তদন্তের স্বার্থে পুলিশ সদর দপ্তরের অপরাধ ও অপারেশন বিভাগের কাঠামো এবং ১৬ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তাদের নাম-পদবি জানা প্রয়োজন।
জানা গেছে, গত ৬ অক্টোবর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার সমন্বয়ক অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মাজহারুল হক সই করা চিঠিটি পুলিশ সদরে পাঠানো হয়।
পুলিশ সদর দপ্তরের সূত্র বলছে, চিঠি পাওয়ার পর পুলিশ সদর দপ্তর নিজেদের তালিকা প্রস্তুত করে মহানগর পুলিশ ও রেঞ্জ কার্যালয়ে পাঠিয়েছে। কার্যালয়গুলো ইতিমধ্যে আন্দোলন চলাকালীন সারা দেশে পুলিশের অপারেশন বিভাগে দায়িত্বে থাকা সদস্যদের তালিকা করতে শুরু করেছে।
জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) মো. ইসরাইল হাওলাদার বলেন, ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিঠিটি ডিএমপি পেয়েছে। এ বিষয়ে প্রাথমিক কাজ শুরু হয়েছে।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় শত শত মৃত্যুর ঘটনাকে ‘গণহত্যা’ হিসেবে বিবেচনা করে ক্ষমতাচ্যুত সরকারের প্রধানমন্ত্রীসহ অনেকের বিরুদ্ধে এ ট্রাইব্যুনালে বেশ কয়েকটি অভিযোগ জমা পড়েছে।
অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ওই চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে সাবেক সরকারের বিভিন্ন বাহিনী এবং দলীয় সশস্ত্র ব্যক্তিরা ১৬ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত হত্যা গণহত্যা, আটক, নির্যাতন, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করেছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল অ্যাক্ট-১৯৭৩ এ দায়ের হওয়া মামলাগুলো তদন্তাধীন রয়েছে।
এ বিষয়ে সাবেক আইজিপি মুহাম্মদ নুরুল হুদা বলেন, পুলিশ কীভাবে কাজ করবে তার নির্দিষ্ট নীতিমালা আছে। ঊর্ধ্বতনদের অবৈধ আদেশ শুনতে পুলিশ বাধ্য নয়। পুলিশ কর্মকর্তাদের সে স্বাধীনতা আইন দিয়েছে।