অনেক ভুক্তভোগী এখনো ভয়ে মুখ না খোলায় গুমের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।
বিদেশী সংস্থায় অধিকারের প্রকাশনা
- এখনো নিখোঁজ ১৬২ জন
- ৩ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে ভারত থেকে
২০০৯ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৪ এর ৫ আগস্ট পর্যন্ত ৭৩০ জনকে গুম করা হয়। তাদের মধ্যে ৮৩ জনকে বিচারবহির্ভূত হত্যা করা হয়। ৪৮৫ জন জীবিত উদ্ধার হলেও ১৬২ জন এখনো নিখোঁজ রয়েছে। এদের মধ্যে তিনজনকে ভারত থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। তবে অনেক ভুক্তভোগী এখনো ভয়ে মুখ না খোলায় গুমের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।
সম্প্রতি ইউনাইটেড ফর দ্য ভিকটিমস অব এনফোর্সড ডিসঅ্যাপিয়ারেন্স (ইউভিইডি) এবং হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটি (এইচআরএসএস) এবং জাতিসঙ্ঘের বলপূর্বক বা অনিচ্ছাকৃত অন্তর্ধানবিষয়ক ওয়ার্কিং গ্রুপের (ডব্লিউজিইআইডি) সদস্যদের হাতে মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের দেয়া ‘Disappeared by Forced’ শিরনামের প্রকাশনায় এমন তথ্য উঠে এসেছে। বলা হয়েছে গুমের শিকার পরিবারগুলোর নিদারুণ কষ্টের কথা। ভয়াবহ যন্ত্রণা নিয়ে জীবনযুদ্ধের নানা দিক। অধিকার পরিচালক এ এস এম নাসিরউদ্দিন এলান গুমের সাথে জড়িত সব অপরাধীর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে বিচারের দাবি জানান।
প্রতিনিধি দলগুলোর কাছে ১২ সুপারিশ জানায় অধিকার। যার মধ্যে রয়েছে গুম হওয়া সব ঘটনার স্বাধীন, নিরপেক্ষ এবং স্বচ্ছ তদন্ত পরিচালনা করা, নিখোঁজ ব্যক্তিদের অনুসন্ধানের জন্য নির্দেশিকা নীতিমালা বাস্তবায়ন, যার মধ্যে কার্যকর অনুসন্ধান অভিযানের জন্য একটি জাতীয় কৌশল গ্রহণ অন্তর্ভুক্ত করা। অবিলম্বে জীবিতদের বিরুদ্ধে দায়ের করা সব মিথ্যা বা বানোয়াট মামলা প্রত্যাহার করা, গুম হওয়া ব্যক্তিদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, সম্পদ এবং সম্পত্তির জন্য পরিবারের সদস্যদের পরিচালনার ব্যবস্থা করে দিয়ে পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দেয়া। আইনি কার্যক্রমের সময় নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, সন্ত্রাসবিরোধী আইন সংশোধন করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ভেঙে দেয়ার আহ্বান জানানো হয়। গুমের বিষয়ে আন্তর্জাতিক কনভেনশনের (ICPPED) সাথে সম্পূর্ণ সঙ্গতি আইন প্রণয়নের কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। গুমের প্রমাণ ধ্বংসের জন্য দায়ীদের বিচার নিশ্চিত করা, ভুক্তভোগী এবং তাদের পরিবারের দীর্ঘস্থায়ী দুর্ভোগের অবসান ঘটাতে দ্রুততার সাথে ন্যায়বিচার নিশ্চয়তা নিশ্চিত করা। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার মানদণ্ডের সাথে সঙ্গতিপূর্ণভাবে ওঈচচঊউ বাস্তবায়ন এবং ফরেনসিক, আইনি তদন্তমূলক ক্ষমতা উন্নত করাতে বাংলাদেশ সরকারকে কারিগরি সহায়তা দেয়া।
অধিকার বাংলাদেশে বিচারহীনতা মোকাবেলা এবং মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে জাতিসঙ্ঘ ব্যবস্থা এবং অন্যান্য অংশীদারদের সাথে সহযোগিতা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
