১ আগস্ট থেকে কার্যকর হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শুল্ক হার

ট্রাম্প বলেন, ‘১ আগস্টের দিকে আমি এগিয়ে যাবো। এটা খুব তাড়াতাড়িই হবে, তাই না?’
যেসব বাণিজ্য অংশীদার দেশ এখনো যুক্তরাষ্ট্রের সাথে চুক্তিতে পৌঁছাতে পারেনি, তাদের ওপর ঘোষিত নতুন শুল্ক হার ১ আগস্ট থেকে কার্যকর হবে বলে রোববার জানিয়েছেন মার্কিন ট্রেজারিমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট।
সিএনএন-এ দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বেসেন্ট বলেন, এপ্রিলের ২ তারিখে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যে উচ্চ শুল্কের ঘোষণা দিয়েছিলেন, তা ‘বুমেরাংয়ের মতো ফিরে আসবে’ যদি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সমঝোতা না হয়। তবে তখন তা স্থগিত করে ৯ জুলাই পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দেয়া হয়েছিল, যাতে আলোচনার সুযোগ থাকে।
এর আগে শুক্রবার এয়ার ফোর্স ওয়ান-এ সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে ট্রাম্প বলেন, ‘১ আগস্টের দিকে আমি এগিয়ে যাবো। এটা খুব তাড়াতাড়িই হবে, তাই না?’
তিনি জানান, ১২টি দেশকে চিঠি পাঠাতে তিনি সই করেছেন এবং সোমবারই সেই চিঠিগুলো পাঠানো হতে পারে।
এপ্রিলের ঘোষণায় যুক্তরাষ্ট্র প্রায় সব বাণিজ্য অংশীদারের পণ্যের ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে এবং বিশেষ কয়েকটি দেশের ক্ষেত্রে সেই হার আরো বাড়ানো হয়। যদিও তখনই তা জুলাই ৯ পর্যন্ত স্থগিত করা হয় আলোচনার সুযোগ দিতে।
যুক্তরাজ্য ও ভিয়েতনামের সাথে এরই মধ্যে চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। চীন ও যুক্তরাষ্ট্র পারস্পরিকভাবে শুল্ক কমাতে সাময়িক একমত হয়েছে। বাকি দেশগুলো এখনো আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে যাতে বাড়তি শুল্ক এড়ানো যায়।
বেসেন্ট বলেন, ‘আমরা কয়েকটি বড় চুক্তির খুব কাছাকাছি। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে বড় ঘোষণা আসবে বলে আমি আশা করি।’
তবে তিনি নির্দিষ্ট করে বলেননি কোনো দেশগুলোর সাথে আলোচনা চলছে।
সিএনএন সঞ্চালক ডানা ব্যাশ যখন প্রশ্ন তোলেন, যুক্তরাষ্ট্র কী হুমকির মাধ্যমে চুক্তি করতে চাইছে? জবাবে বেসেন্ট বলেন, ‘এটা কোনো নতুন সময়সীমা নয়। আমরা বলছি, এই তারিখেই কার্যকর হবে। তাড়াতাড়ি করতে চাইলে করো, না চাইলে পুরোনো হারে ফিরে যাও।’
তিনি জানান, প্রশাসনের কৌশল ‘সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগ’ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের অগ্রগতি ইতিবাচক, যদিও শুরুটা ধীর ছিল।
ইইউ ও যুক্তরাষ্ট্রের আলোচকরা সপ্তাহান্তে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন। ফ্রান্সের অর্থমন্ত্রী শনিবার আশা প্রকাশ করেন, এই সপ্তাহেই চুক্তি সম্ভব।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা রোববার বলেছেন, ‘আমরা সহজে আপস করবো না।’
রিও ডি জেনেইরোতে ব্রিকস নেতারা এই শুল্ক নীতির নিন্দা জানাতে যাচ্ছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তারা বলছেন, এই শুল্ক ‘অবৈধ ও বৈশ্বিক অর্থনীতির জন্য হুমকি।’