Bangladesh

২০২৫ সাল হবে আ. লীগ ও শেখ হাসিনার বিচারের বছর চিফ প্রসিকিউটর

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেছেন, ২০২৫ সাল হবে জুলাই-আগস্ট গণহত্যা এবং গত ১৬ বছরের আওয়ামী লীগের শাসনামলে সংঘটিত ঘৃণ্য মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের বছর। বুধবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এ কথা বলেন তিনি।

অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম বলেন, ‘এক রক্তাক্ত বিপ্লবের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে একটা নতুন সূর্যোদয় হয়েছে। ২০২৫ সাল আমরা শুরু করতে পেরেছি স্বৈরশাসন মুক্ত পরিবেশে। এই বছরে বাংলাদেশের অনেক বড় বড় অগ্রাধিকার আছে। সবচেয়ে বড় অগ্রাধিকার এবং যারা আজকে রাষ্ট্রের দায়িত্বে আছেন সকলের ঐক্যমত আছে, জনগণের মধ্যেও ঐক্যমত আছে সবাই চান, গত ১৬ বছর ধরে বাংলাদেশে যে সমস্ত মানবতাবিরোধী অপরাধ হয়েছে, গণহত্যা হয়েছে, জুলুম-নির্যাতন-নিপীড়ন হয়েছে সেগুলোর সঠিক ও সুষ্ঠু বিচার শেষ করা।’ 

তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ওপর প্রত্যাশার অনেক বড় চাপ আছে। ৫৬ হাজার বর্গমাইলজুড়ে দীর্ঘ সময় ধরে দেশে যে অপরাধগুলো হয়েছে তার ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা প্রয়োজন। আগামীর ভবিষ্যৎ পুনঃনির্মাণে এবং বাংলাদেশের নতুন প্রজন্মকে আলোকিত ভবিষ্যৎ উপহার দেয়ার জন্য। এই বিচার প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য প্রয়োজন সঠিক তদন্ত রিপোর্ট বা তদন্তকার্য। সে তদন্তকার্য এখন চলমান আছে। তদন্তকার্য সমাপ্ত হওয়ার সাথে বিচার প্রক্রিয়া শুরু এবং শেষ হওয়ার একটা সম্পর্ক আছে। আমাদের বা রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে ২০২৫ সাল হবে এই সমস্ত ঘৃণ্য অপরাধ যারা করেছে সেই সব অপরাধীদের বিচারের বছর। সে আকাঙ্খাকে অগ্রাধিকার দিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছে। আমরা চেষ্টা করব ২০২৫ সাল যেন বাংলাদেশের সুবর্ণ ইতিহাসের বছর হয় এবং এই বছরের মধ্য দিয়ে যে বড় বড় অপরাধী আছে, বড় বড় অপরাধ আছে সেগুলোর বিচার প্রক্রিয়ার একটা সমাপ্তি ঘটানো যায়।’  

শেখ হাসিনার বিচার প্রসঙ্গে এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের প্রত্যাশার কথা বলেছি। আমরা যদি সুনির্দিষ্ট তারিখ বলে দেই এটা নানাভাবে ভুল ব্যাখ্যা হতে পারে। কারণ তদন্ত শেষ করা তদন্ত সংস্থার কাজ। এরপর সাক্ষী উপস্থাপন আমাদের কাজ এরপর আদালতকে একটা প্রক্রিয়ার মধ্য শেষ করতে হবে এবং আমরা চেষ্টা করব ২০২৫ সালের মধ্যে এই বিচার প্রক্রিয়ার একটা শুভ সমাপ্তি ঘটানোর জন্য। কিন্তু এটা কোনো সুনির্দিষ্ট ডেডলাইন নয়।’ 

চিফ প্রসিকিউটর  আরও বলেন, ‘আমরা একটা কঠিন যাত্রাপথ শুরু করেছি। এই যাত্রাপথ নানা কারণে দুর্গম হবে, আমাদের নানাভাবে চাপে ফেলার চেষ্টা হবে, কিন্তু সকল বাধা উপেক্ষা করে ২০২৫ সালের মধ্যেই আমাদের মূল যে আকাঙ্খা যেন পূরণ করতে পারি সে ব্যাপারে আমরা সচেষ্ট থাকবো। যদিও এটা অনেক বড় কঠিন কাজ। সুনির্দিষ্ট তারিখ বেঁধে দেওয়া যায় না। আমরা শুধু আশাবাদ ব্যক্ত করছি ২০২৫ সাল অবশ্যই অপরাধীদের বিচারের বছর হবে’

প্রধান বিচারপতির অনুমতি পেলেই সংস্কারকৃত পুরনো হাইকোর্ট ভবনে জুলাই-আগস্টে গণহত্যার বিচারকাজ শুরু হবে বলে জানান তিনি। 

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button