২০২৭ সালের মধ্যে সরকারি কাজে শতভাগ ব্লক ইট
পরিবেশ ও কৃষিজমি সুরক্ষায় পোড়ানো ইটের পরিবর্তে ব্লক ইট ব্যবহারের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে নতুন পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছে সরকার। পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০২৭ সালের মধ্যে সরকারি কাজে শতভাগ ব্লক ইটের ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে। এ জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও সরকারি দপ্তরগুলো নিজস্ব রোডম্যাপ প্রণয়ন করছে। এই কাজে বেসরকারি খাতকেও উৎসাহিত করতে একগুচ্ছ সুপারিশ প্রণয়ন করা হয়েছে। সুপারিশগুলো দ্রুত বাস্তবায়নের তাগিদ দিয়েছে সংসদীয় কমিটি।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, পোড়ানো ইটের কারণে সার্বিকভাবে জিডিপির ক্ষতি হচ্ছে ৭.৭ থেকে ৯ শতাংশ। আর বায়ুদূষণের কারণে প্রতিবছর ৯০ হাজার মানুষের অকালমৃত্যু ঘটছে। তার ১৫ শতাংশ ঘটছে ইটভাটাজনিত নিঃসরণে।
এ ছাড়া ১২ কোটি ২৫ লাখ মেট্রিক টন কৃষিজমির মাটি নষ্ট হচ্ছে। এই সংকটময় পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে পরিবেশসম্মত ও সাশ্রয়ী ব্লক ইট ব্যবহারের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ২০২৫ সালের জুনের মধ্যে সরকারি নির্মাণকাজে শতভাগ ব্লক ইট ব্যবহারের লক্ষ্যমাত্রা বা রোডম্যাপ নির্ধারণ করা হলেও করোনাসহ অন্যান্য কারণে সেটা অর্জনে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। পরে সংসদীয় কমিটির সুপারিশ মোতাবেক নতুন পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে মন্ত্রণালয়ের দেওয়া প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, আগামী ২০২৭-২৮ অর্থবছরের মধ্যে সরকারি কাজে শতভাগ ব্লক ইট ব্যবহারের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। চলতি অর্থবছরে ২০ শতাংশ অর্জন সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়েছে। এরপর ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ৪০ শতাংশ, ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ৬০ শতাংশ এবং ২০২৬-২৭ অর্থবছরে ৮০ শতাংশ অর্জিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেন, ২০২৭-২০২৮ অর্থবছরের মধ্যে সরকারি স্থাপনায় শতভাগ পরিবেশবান্ধব ব্লক ইট ব্যবহারের নির্দেশনা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। বিষয়টি টেন্ডারে যুক্ত করতে পরিবেশ মন্ত্রণালয় থেকে সরকারের সব অফিসে চিঠি দেওয়া হয়েছে। বেসরকারি খাতকে উৎসাহিত করতে উন্নত প্রযুক্তির ইটভাটা পরিচালনায় দূরত্বসংক্রান্ত বাধ্যবাধকতা কিছুটা শিথিল করা হয়েছে। এ ছাড়া পরিবেশবান্ধব ইট উৎপাদনে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করা হবে। ভাটা মালিকদের সহজ শর্তে ব্যাংকঋণ পাওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।