Science & Tech

২০২৮ সালে বাজারে আসতে পারে অ্যাপলের ইলেকট্রিক গাড়ি

প্রথমে পুরোপুরি চালকবিহীন গাড়ি তৈরির লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও অ্যাপল বর্তমানে সীমিত বৈশিষ্ট্যযুক্ত ইলেকট্রিক গাড়ি নিয়ে কাজ করছে। অ্যাপলের এই প্রকল্পের নাম ‘প্রজেক্ট টাইটান’।

দীর্ঘদিন ধরে ইলেকট্রিক গাড়ি নিয়ে কাজ করছে অ্যাপল। তবে তা এখনো আলোর মুখ দেখেনি। ২০২৫ সালে অ্যাপলের ইলেকট্রিক গাড়ি বাজারে আসার কথা থাকলেও এটি আরেক দফা পেছানো হয়েছে।

বিখ্যাত অ্যাপল বিশ্লেষক এবং মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গের প্রতিবেদক মার্ক গারম্যান জানিয়েছেন, পরিবর্তিত তারিখ অনুসারে অ্যাপলের ইলেকট্রিক গাড়ি ২০২৮ সালে বাজারে আসতে পারে।

প্রথমে পুরোপুরি চালকবিহীন গাড়ি তৈরির লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও অ্যাপল বর্তমানে সীমিত বৈশিষ্ট্যযুক্ত ইলেকট্রিক গাড়ি নিয়ে কাজ করছে। অ্যাপলের এই প্রকল্পের নাম ‘প্রজেক্ট টাইটান’।

হালে আইফোন নির্মাতা হিসেবে বিশেষ সুনাম অর্জনকারী প্রতিষ্ঠান অ্যাপলের পুরোপুরি চালকবিহীন ইলেকট্রিক গাড়ি তৈরির প্রকল্প সম্পর্কে ২০১৪ সালে প্রথম গুঞ্জন শুরু হয়।

এরপর এক দশক পেরিয়ে গেছে, কিন্তু এখনো ইলেকট্রিক গাড়ির কোনো ডিজাইনও প্রকাশ করেনি বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ এই প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানটি। যদি অ্যাপল কখনও ইলেকট্রিক গাড়ি তৈরি করতে পারে, তবে এটি সম্ভবত তাদের মূল পরিকল্পনার চেয়ে অনেকটাই ভিন্ন হবে।

মার্ক গারম্যানের প্রতিবেদন অনুসারে, ‘প্রজেক্ট টাইটান’ ২০১৫ সালে শুরু হয়েছিল। এরপর প্রকল্পটি বারবার পেছানো হয় এবং এর নেতৃত্বেও একাধিকবার পরিবর্তন আসে। প্রথমে পুরোপুরি চালকবিহীন গাড়ি তৈরির লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও সম্প্রতি তা ‘আরও বাস্তবসম্মত ইলেকট্রিক গাড়ির নকশায়’ পরিবর্তিত হয়েছে।

ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে, ২০২৮ সালে যে গাড়িটি বাজারে আসতে যাচ্ছে, তাতে টেসলার মতো বর্তমানে বাজারে সহজলভ্য ইলেকট্রিক গাড়ির আদলে সীমিত আকারে স্বচালিত (অটোনোমাস) বৈশিষ্ট্য থাকবে।

মূল পরিকল্পনায় স্টিয়ারিং হুইল ছাড়া সম্পূর্ণ স্বচালিত গাড়ি তৈরির লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি এমন এক ধরনের গাড়ি নির্মাণ করছে, যেখানে চালককে সজাগ থাকতে হবে এবং প্রয়োজনমতো গাড়ির নিয়ন্ত্রণ নিতে হবে।

প্রতিবেদন মতে, ২০২১ সাল থেকে এই প্রকল্পের নেতৃত্ব দিচ্ছেন অ্যাপলের ভাইস প্রেসিডেন্ট কেভিন লিঞ্চ। লক্ষ্য পরিবর্তন করে অ্যাপল এখন যে ইলেকট্রিক গাড়ি তৈরি করছে, তার উদ্ভাবনী প্রযুক্তি নিয়েও প্রতিষ্ঠানটির কর্মীদের ভেতর উদ্বেগ আছে।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button