USA

৪৬ কোটি ডলার জরিমানা পরিশোধে অপারগ ট্রাম্প, বিক্রি হতে পারে সম্পত্তি

নিউইয়র্কে একটি প্রতারণা মামলার রায়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ৪৬ কোটি ৪০ লাখ ডলার জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। তবে ট্রাম্প এ পরিমাণ নগদ অর্থ বা সমমানের বন্ড দিতে অপারগ বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবীরা।

আজ মঙ্গলবার বিবিসি এই তথ্য জানিয়েছে।

এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ট্রাম্প। তবে আপিল আবেদন নিষ্পত্তি হওয়ার আগেই ট্রাম্পকে জরিমানার অর্থ নগদে অথবা একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছ নেওয়া বন্ডের মাধ্যমে পরিশোধ করতে হবে।

আইনজীবীরা জানিয়েছেন, এ পরিমাণ অর্থের সমতুল্য বন্ড দিতে আগ্রহী কোনো বেসরকারি প্রতিষ্ঠান খুঁজে পাচ্ছেন না সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

ট্রাম্প বলেছেন, এত বড় আকারের বন্ড জোগাড় করা ‘প্রায় অসম্ভব’।

যদি তিনি এই অর্থ পরিশোধে ব্যর্থ হন, তাহলে আদালত তার আবাসন ব্যবসার কিছু সম্পত্তি বিক্রি করে বা বন্ধক রেখে সে অর্থের যোগান দিতে পারে।

বন্ড প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো সাধারণ একটি ফি’র বিনিময়ে আদালতকে জরিমানার অর্থ পরিশোধের নিশ্চয়তা দিয়ে থাকে।

ট্রাম্প যদি আপিলে হেরে যান এবং নিজে সেই অর্থ পরিশোধ করতে না পারেন, সে ক্ষেত্রে বন্ডদাতা প্রতিষ্ঠানটিকে জরিমানার অর্থ পরিশোধ করতে হবে। এ কারণে, ট্রাম্পের বিষয়টি বিমা প্রতিষ্ঠানের জন্য বেশ ঝুঁকিপূর্ণ।

ট্রাম্পের আইনজীবীরা আদালতের কাছে দেওয়া আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে বলেছে, তারা ‘বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিমা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে দীর্ঘ সময় ধরে আলোচনা চালিয়েছে।’

কিন্তু ওই পরিমাণ অর্থ পরিশোধে কেউ রাজি হয়নি।

আইনজীবীরা আরও জানান, তারা মোট ৩০টি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কথা বলেও সফল হননি।

এই মামলায় ট্রাম্পের বড় দুই ছেলেকেও লাখো ডলার ক্ষতিপূরণ পরিশোধ করতে বলা হয়েছে।

ক্ষতিপূরণের পাশাপাশি, নিউইয়র্কের বিচারক আর্থার এনগোরান ট্রাম্পকে এই অঙ্গরাজ্যে তিন বছরের জন্য যেকোনো ধরনের ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা থেকে নিষিদ্ধ করেছেন। বিচারে প্রমাণ হয়েছে, ট্রাম্প ভালো ঋণ পাওয়ার জন্য নিউইয়র্কে তার কিছু ভৌত সম্পদের দাম বাড়িয়ে বলেছেন, যা এক ধরনের প্রতারণা।

অপর এক বিচারক এই নিষেধাজ্ঞা স্থগিত করলেও বন্ডের পরিমাণ কমিয়ে ১০ কোটি ডলার করার আবেদন নাকচ করেন।

আদালতে জমা দেওয়া সর্বশেষ নথিতে সাবেক প্রেসিডেন্টের আইনজীবীরা একটি বেসরকারি বিমা প্রতিষ্ঠানের প্রেসিডেন্টের কাছ থেকে পাওয়া একটি মুচলেকা যুক্ত করেছেন। সেখানে সেই কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, ‘এত বড় আকারের বন্ড অত্যন্ত বিরল।’

সাবেক ফেডারেল কৌসুলি ডায়ানা ফ্লোরেন্স মন্তব্য করেন, ট্রাম্পের আইনি পরিস্থিতি নজিরবিহীন এবং সামনে কি হবে, তার পূর্বাভাষ দেওয়া খুবই ঝামেলার।

‘নিউইয়র্কের অ্যাটর্নি জেনারেল খুব শিগগির ট্রাম্পের সম্পত্তিগুলোকে বিক্রি করে বা বন্ধক রেখে জরিমানার অর্থ আদায় করা শুরু করতে পারে’, যোগ করেন ফ্লোরেন্স।

তিনি আরও জানান, যদি কোনো আদালত তাকে আরও সময় দিতে রাজি হয়, তবেই ট্রাম্প কিছুটা স্বস্তি পেতে পারেন।

অপরদিকে নিউইয়র্কের অ্যাটর্নি জেনারেল অঙ্গীকার করেছেন, জরিমানা পরিশোধে ব্যর্থ হলে তিনি ট্রাম্পের সম্পত্তি ক্রোক করার নির্দেশ দিবেন।

যতদিন ট্রাম্প এই জরিমানা পরিশোধ না করছেন, এর বিপরীতে দৈনিক এক লাখ ১২ হাজার ডলার করে সুদ যোগ হচ্ছে।

ট্রাম্পের আইনজীবীরা জানান, বন্ডদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো ‘আবাসন বা এ ধরনের ভৌত সম্পদকে’ গ্যারান্টি হিসেবে গ্রহণ করতে চান না। তারা এমন সম্পদের বিপরীতে বন্ড দিতে আগ্রহী, যেগুলো ‘তরল’, অর্থাৎ খুব সহজে নগদ অর্থে রূপান্তর করা যায় এমন বিনিয়োগ।

ফর্বস এর হিসাব মতে, ট্রাম্পের সম্পদের মোট মূল্যমান ২৬০ কোটি ডলার, যার মধ্যে তরল সম্পদ ৪০ কোটি ডলার।

৪৬ কোটি ৪০ লাখ ডলার জরিমানাই ট্রাম্পের একমাত্র মাথাব্যথার কারণ নয়। এর আগে জানুয়ারি ই জন ক্যারলের কাছে মানহানি মামলায় হেরে যাওয়ার পর আদালত তাকে ৮ কোটি ৩০ লাখ ডলার পরিশোধের নির্দেশ দেয়।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button
bacan4d toto
bacan4d toto
Toto Slot
slot gacor
slot gacor
slot toto
Bacan4d Login
bacan4drtp
situs bacan4d
Bacan4d
slot dana
slot bacan4d
bacan4d togel
bacan4d game
slot gacor
bacan4d login
bacantoto 4d
toto gacor
slot toto
bacan4d
bacansport
bacansport
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
slot gacor
slot77 gacor
Bacan4d Login
Bacan4d toto
Bacan4d
Bacansports
bacansports
slot toto
Slot Dana
situs toto
bacansports
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
slot gacor