Trending

৮০ শতাংশ মানুষ মনে করেন দেশের জনপ্রশাসন ব্যবস্থা জনবান্ধব নয়: জরিপ

এছাড়া ৫২ শতাংশ উত্তরদাতার মতে, জবাবদিহি নিশ্চিত করা হবে জনপ্রশাসন সংস্কারের প্রধান কাজ এবং ৩৬ শতাংশের মতে দুর্নীতি দূর করতে পারা হচ্ছে আসল কাজ।

জনপ্রশাসন ব্যবস্থা জনবান্ধব নয় বলে মনে করেন দেশের ৮০ শতাংশ মানুষ। আজ শনিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ওয়েবসাইটে কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। সেখানে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

জরিপের ফলাফলে বলা হয়েছে, ৮৪.৪ শতাংশ নাগরিক মনে করেন যে দেশের জনপ্রশাসনে সংস্কার প্রয়োজন। ৮০ শতাংশ মনে করেন, দেশের জনপ্রশাসন ব্যবস্থা জনবান্ধব নয়। আর ৬৮.৮ শতাংশের ধারণা- বিগত ১৫ বছরে জনপ্রশাসনে নিরপেক্ষতার অভাব ছিল।

জরিপের তথ্যমতে, দেশের ৫৬ শতাংশ মানুষ মনে করেন, জনপ্রশাসনকে জনবান্ধব করার প্রধান প্রতিবন্ধকতা হচ্ছে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ । আর ৪২ শতাংশ মনে করেন, দুর্নীতিই হচ্ছে প্রধান বাধা।

জনপ্রশাসন সংস্কারকে কেন্দ্র করে করা এক জরিপে এমন মতামত উঠে এসেছে। জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন অনলাইনে এক লাখ পাঁচ হাজার নাগরিকের মতামত নিয়ে এই জরিপ করেছে। নির্ধারিত প্রশ্নের বাইরে উন্মুক্তভাবে মতামত দেওয়ারও সুযোগ ছিল জরিপে।

এছাড়া ৫২ শতাংশ উত্তরদাতার মতে জবাবদিহি নিশ্চিত করা হবে জনপ্রশাসন সংস্কারের প্রধান কাজ এবং ৩৬ শতাংশের মতে দুর্নীতি দূর করতে পারা হচ্ছে আসল কাজ।

প্রায় ৯৬ শতাংশ মানুষের অভিজ্ঞতা হচ্ছে জনপ্রশাসনে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির অভাব রয়েছে। ৬৬.৪ শতাংশ মানুষ মনে করেন, সরকারি কর্মচারীরা নাগরিকদের সাথে শাসকের ন্যায় আচরণ করেন এবং এর মধ্যে ৩১ শতাংশের মতে তারা অসৌজন্যমূলক ব্যবহার করেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জরিপে অংশগ্রহণকারী ৫২ শতাংশ উত্তরদাতা জানিয়েছেন, ঘুষ ছাড়া কোনো সেবা পাওয়া যায় না এবং ৪৬ শতাংশের মতে- তারা সেবা চাইতে গিয়ে হেনস্তার শিকার হয়েছেন।

প্রায় ৭৬ শতাংশ উত্তরদাতার মতে, বিদ্যমান উপজেলা পদ্ধতি শক্তিশালী করে ভালো সেবা পাওয়া যেতে পারে। তবে ৬৮ শতাংশ উত্তরদাতা মনে করেন, বিদ্যমান জেলা পরিষদব্যবস্থা মোটেই কার্যকর নয়। ৪৭ শতাংশ মনে করেন যে বিদ্যমান ইউনয়িন পরিষদ ও পৌরসভাকে শক্তিশালী করে জনপ্রশাসনের সাথে সম্পৃক্ত করা যেতে পারে।

এছাড়াও এমন আইন প্রণয়ন করা উচিত যাতে সরকারি কর্মচারীরা রাজনৈতিক চাপে প্রভাবিত না হয় বলে মত ৫৭ শতাংশ মানুষের। আর ২৩ শতাংশ উত্তরদাতার মতে, জনপ্রশাসনে ডিজিটাল পদ্ধতির ব্যাপক প্রসার সমতাভিত্তিক সেবা প্রদানের সহায়ক হতে পারে।

এদিকে বেতন ও সুযোগ-সুবিধা বাড়ালে ঘুষ-দুর্নীতি কমে যেতে পারে বলে মত দিয়েছেন ৪ শতাংশ উত্তরদাতা।  

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

bacan4d slot toto