মালদ্বীপের চাপের মুখেও সেনা সরাতে গড়িমসি ভারতের
মালদ্বীপ থেকে সেনা সরানোর জন্য ভারতকে সময় বেঁধে দিয়েছে সেদেশের সরকার। সেই খবর প্রকাশ্যে আসার পরেই মালদ্বীপ নিয়ে সরকারিভাবে বিবৃতি দিল ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়। সেখানেই সাফ জানিয়ে দেয়া হয়েছে, মালদ্বীপের জনতার জন্য সেদেশে বিমান পরিষেবা চালিয়ে যেতে চায় ভারত। সেই উপায় বের করতে মালদ্বীপের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।
রোববার দুই দেশের কর্মকর্তাদের মধ্যে সেনা সরানো নিয়ে বৈঠক হয়। মালদ্বীপের এক মন্ত্রী ইব্রাহিম খলিল জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও মুইজ্জুর বৈঠকে যে কমিটি গঠন করা হয়েছিল সেই কমিটির সদস্যরাই হাজির ছিলেন। সেই বৈঠকের পরেই খবর ছড়িয়ে পড়ে, আগামী ১৫ মার্চের মধ্যেই মালদ্বীপ ছাড়তে হবে ভারতীয় সেনাকে। তবে মোহাম্মদ মুইজ্জু প্রশাসনের তরফে সরকারিভাবে এমন কোনও নির্দেশ দেয়া হয়নি। উল্লেখ্য, নির্বাচনে জিতেই মুইজ্জু জানিয়েছিলেন মালদ্বীপ থেকে সেনা সরিয়ে নিতে হবে ভারতকে।
রোববার দুই দেশের কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠকের পরেই সরকারিভাবে বিবৃতি জারি করে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়। সেখানে বলা হয়, ‘দুই পক্ষ যেন এ প্রসঙ্গে সহমত হয়ে কাজ করতে পারে, সেটা নিয়েই আলোচনা হয়েছে বৈঠকে। মালদ্বীপের সাধারণ মানুষকে সাহায্য করতে ভারতীয় বিমান যেভাবে সাহায্য করে, সেটাই আগামী দিনেও কীভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।’
প্রসঙ্গত, ভারতীয় বিমান ব্যবহার করে চিকিৎসা-সহ নানা ক্ষেত্রেই পরিষেবা দেয় মালদ্বীপ। তবে ভারতের তরফে আগেই জানানো হয়েছিল, মালদ্বীপ থেকে সরিয়ে নেয়া হবে সেনা।