International

২৪ ঘণ্টা যেভাবে কাটে বিশ্ববাসীর 

বাংলাদেশেও ২৪ ঘণ্টায় কোন কাজে কত সময় ব্যয় হয়, তা নিয়ে বিবিএসের ছোট পরিসরে জরিপ আছে। 

বৈশ্বিকভাবে দৈনিক ৮০০ কোটি মানুষের 

  • ৯.১ ঘণ্টা যায় ঘুমিয়ে
  • ২.৬ ঘণ্টা অর্থনৈতিক কাজে
  • ০.২ ঘণ্টা স্বাস্থ্যসেবায়

‘এক কাঠা জমির জন্য আমরা লাঠালাঠি করি, কিন্তু সুদূরবিস্তৃত সময়ের স্বত্ব অনায়াসেই ছাড়িয়া দিই, একবারও তাহার জন্য দুঃখ করি না।’ সময়ের গুরুত্ব নিয়ে এই বক্তব্য রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের।

সময় নিয়ে প্রবচন, উপদেশ বিশ্বজুড়ে। জীবিকার জন্য মানুষ এখন প্রাণপাত করছে। বলা হচ্ছে, ‘টাইম ইজ মানি’ অর্থাৎ প্রতিটি মুহূর্তেরই আর্থিক মূল্য আছে। সময় নষ্ট করার মানে দাঁড়ায় উপার্জন-অর্থ-সম্পদ হাতছাড়া হয়ে যাওয়া। হাল আমলে ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞদের একটি প্রিয় বিষয় সময় ব্যবস্থাপনা। এ নিয়ে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান হচ্ছে, বই লেখা হচ্ছে। একটাই উদ্দেশ্য, দিনে সময় মাত্র ২৪ ঘণ্টা, এই সময় নষ্ট করা যাবে না।

বিশ্বে ৮০০ কোটি মানুষ। ৮০০ কোটি মানুষের একটা দিন কী করে কাটে? ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মানুষ বেশ কিছুটা সময় ঘুমিয়ে কাটায়। এটি সর্বজনীন। তবে জেগে থাকার সময়টুকু মানুষ কীভাবে ব্যবহার করে, তার অনুপুঙ্খ বিশ্লেষণ খুব একটা পাওয়া যায় না। একজন মানুষ সারা দিনে অর্থনৈতিক ও অ-অর্থনৈতিক কাজের কোন খাতে কত সময় ব্যয় করে, তার হিসাব বের করা তুলনামূলকভাবে সহজ। বিশ্বের বেশ কিছু দেশে সময় ব্যবহারের হিসাব রাখা হয়। 

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) দেশে প্রথমবারের মতো সময় ব্যবহার জরিপ করেছিল ২০২১ সালে। জরিপে আট বিভাগের ১৫ বছরের বেশি বয়সী আট হাজার মানুষের সময় ব্যবহারের তথ্য বের করার চেষ্টা করা হয়েছিল। ওই জরিপের অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল, এই বয়সী নারী ও পুরুষ সংসারে ও সমাজে দৈনিক কোন কাজে কত সময় ব্যয় করেন, সেই তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করা। জরিপে দেখা গেছে, মজুরিহীন গৃহকাজে দৈনিক নারী ৪.৬ ঘণ্টা এবং পুরুষ ০.৬ ঘণ্টা ব্যয় করেন। অন্যদিকে চাকরি ও চাকরি–সম্পর্কিত কাজে দৈনিক নারী ১.২ ঘণ্টা এবং পুরুষ ৬.১ ঘণ্টা ব্যয় করেন। 

তবে বিশ্বের ৮০০ কোটি মানুষের বেলায় কাজটি কঠিন।

বিশ্বে ৮০০ কোটি মানুষ। ৮০০ কোটি মানুষের একটা দিন কী করে কাটে? ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মানুষ বেশ কিছুটা সময় ঘুমিয়ে কাটায়। এটি সর্বজনীন। তবে জেগে থাকার সময়টুকু মানুষ কীভাবে ব্যবহার করে, তার অনুপুঙ্খ বিশ্লেষণ খুব একটা পাওয়া যায় না।

আছে গবেষণা

এই কঠিন কাজটি করার চেষ্টা করেছেন কানাডার ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয়, স্পেনের বার্সেলোনা বিশ্ববিদ্যালয়, যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় এবং ফ্রান্সের বোঁখদো বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য, পরিবেশ, জনসংখ্যা, উন্নয়নবিষয়ক গবেষকেরা। ‘দ্য গ্লোবাল হিউম্যান ডে’ বা ‘বৈশ্বিক মানব দিবস’ শিরোনামে তাঁদের একটি প্রবন্ধ গত জুন মাসে প্রকাশিত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্সেসের বিজ্ঞান সাময়িকী পিএনএএসে। 

 প্রযুক্তির দ্রুত পরিবর্তন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ক্রমবর্ধমান ব্যবহার—এসবের ফলে মানুষের সময় ব্যবহারের বৈশ্বিক ধরন বোঝার জন্য তাঁরা এই গবেষণা করেছেন। গবেষকেরা ১৪০টির বেশি দেশের জাতীয় পরিসংখ্যান সংস্থা, আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান এবং গবেষকদের গবেষণার তথ্য নিয়েছেন। তাঁরা গবেষণার সময়কাল হিসাবে ২০০০ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত বিবেচনায় নিয়েছেন।

বৈশ্বিক মানদণ্ড ধরে সারা দিনের কাজকে আটটি প্রধান শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে। শ্রেণিগুলো হচ্ছে: খাদ্য প্রস্তুত, খাদ্য নয় এমন জিনিস প্রস্তুত, প্রযুক্তির বিষয়গুলো সংশোধন বা পরিবর্তন, পারিপার্শ্বিক রক্ষণাবেক্ষণ, দৈহিক রক্ষণাবেক্ষণ, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বা সুচিন্তিত স্নায়বিক পুনর্গঠন, সাংগঠনিক এবং অভিজ্ঞতা অর্জন।

আটটি শ্রেণির আবার ২৪টি উপশ্রেণি আছে। যেমন খাদ্য প্রস্তুতের তিনটি উপশ্রেণি: খাদ্য উৎপাদন ও সংগ্রহ, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং খাওয়ার জন্য খাদ্য প্রস্তুতকরণ। প্রতিটি উপশ্রেণির সংজ্ঞা নির্দিষ্ট করার পাশাপাশি উদাহরণ দেওয়া হয়েছে। খাদ্য উৎপাদন ও সংগ্রহের সংজ্ঞা হচ্ছে: ভোজ্য অর্থাৎ খাওয়া যায় এমন জৈব বস্তু উৎপাদনের সঙ্গে সম্পর্কিত সব ধরনের কর্মকাণ্ড, সেগুলো সংগ্রহ এবং প্রাথমিক সংরক্ষণ। উদাহরণ: শস্য ও প্রাণী উৎপাদন; মাছ ধরা, শিকার করা ও ফাঁদ পাতা; চাষ করা, মাঠ পরিষ্কার করা, বীজ ছিটানো, চারা রোপণ বা গাছ লাগানো, কলপ করা; রান্নার জন্য বাগান তৈরি; কৃষিপণ্য সংগ্রহ, বাছাই ও গুদামজাত করা; মাছ চাষ; বন্য বা প্রাকৃতিক জীব-জন্তু-পাখি ও ফলমূল সংগ্রহ। এভাবে প্রতিটি উপশ্রেণির সংজ্ঞা ও উদাহরণের দীর্ঘ তালিকা গবেষকেরা প্রকাশ করেছেন। 

অভিজ্ঞতা হয় এমন সব কাজে ৬.৫ ঘণ্টা, সাংগঠনিক কাজে ২.১ ঘণ্টা, খাদ্যের কাজে ১.৮ ঘণ্টা, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বা সুচিন্তিত স্নায়বিক পুনর্গঠন (শিক্ষা, গবেষণা ইত্যাদি) কাজে ১.৩ ঘণ্টা, পারিপার্শ্বিক রক্ষণাবেক্ষণে ০.৮ ঘণ্টা, প্রযুক্তির সংশোধন বা পরিবর্তনে ০.৭ ঘণ্টা এবং খাদ্য নয় এমন জিনিস প্রস্তুত করার কাজে ০.১ ঘণ্টা সময় ব্যয় হয়।

সবার ওপরে ঘুম

কাজের দৈহিক রক্ষণাবেক্ষণের চারটি উপশ্রেণির মধ্যে একটি হচ্ছে ঘুম ও নিরবচ্ছিন্ন বিশ্রাম (বেডরেস্ট)। গবেষকেরা বলছেন, বিশ্ববাসী দিনের মধ্যে এই খাতেই সবচেয়ে বেশি সময় ব্যয় করে। ৮০০ কোটি মানুষ দৈনিক ৯.১ ঘণ্টা ব্যয় করে ঘুমিয়ে। 

ঘুমের সময়টুকু বাদ দিয়ে দৈহিক রক্ষণাবেক্ষণ বা পরিচর্যায় বিশ্বের মানুষ আরও ১.৬ ঘণ্টা ব্যয় করে। এর মধ্যে ১.১ ঘণ্টা যায় স্নান করা, শরীর পরিষ্কার করা, পোশাক পরা, ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা, ব্যক্তিগত সেবায়। ০.৩ ঘণ্টা যায় শিশুকে খাওয়াতে, শিশুর যত্ন নিতে, শিশুর নিরাপত্তা দিতে। ০.২ ঘণ্টা সময় যায় পেশাজীবীদের কাছ থেকে নিজের ও পরিবারের সদস্যদের চিকিৎসা নিতে, রোগ নির্ণয় করাতে। ঘুমসহ দৈহিক রক্ষণাবেক্ষণের জন্য মানুষ দৈনিক ১০.৭ ঘণ্টা ব্যয় করে।

দিনের বাকি ১৩.৩ ঘণ্টা সময় মানুষ কোন কোন খাতে ব্যয় করে, তার হিসাব গবেষকেরা দিয়েছেন। অভিজ্ঞতা হয় এমন সব কাজে ৬.৫ ঘণ্টা, সাংগঠনিক কাজে ২.১ ঘণ্টা, খাদ্যের কাজে ১.৮ ঘণ্টা, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বা সুচিন্তিত স্নায়বিক পুনর্গঠন (শিক্ষা, গবেষণা ইত্যাদি) কাজে ১.৩ ঘণ্টা, পারিপার্শ্বিক রক্ষণাবেক্ষণে ০.৮ ঘণ্টা, প্রযুক্তির সংশোধন বা পরিবর্তনে ০.৭ ঘণ্টা এবং খাদ্য নয় এমন জিনিস প্রস্তুত করার কাজে ০.১ ঘণ্টা সময় ব্যয় হয়।

সময় হচ্ছে পরিমিত সম্পদ, চাইলেও এই সম্পদ বাড়ানো যায় না। ব্যক্তিগত, পারিপার্শ্বিক ও রাষ্ট্রীয় কারণে এই সম্পদ নষ্ট হয়। যেমন যানজটে আটকে থেকে বহু সময় নষ্ট হওয়ার দায় রাষ্ট্রের। উন্নত জাতি হিসেবে গড়ে উঠতে হলে কোথায় সময় অপচয় হয়, কীভাবে সময়ের সদ্ব্যবহার বাড়ানো যায়, তা জানা-বোঝা চাই। জাতীয়ভাবে সময় ব্যবহারের হিসাব থাকা প্রয়োজন।

অর্থনীতিবিদ হোসেন জিল্লুর রহমান

খাদ্য উৎপাদনে সময় বেশি

২৪ ঘণ্টায় মানুষ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে যেমন যুক্ত থাকে, আবার এমন অনেক কাজ করে, যা অর্থনৈতিক মানদণ্ডে মাপা যায় না, মাপা হয় না। গবেষকেরা আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার সংজ্ঞা অনুযায়ী অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে শ্রেণিভুক্ত করেছেন। এ ক্ষেত্রে কর্মসংস্থান বা চাকরি, কাজের জন্য মূল্য, মুনাফার জন্য কাজ—এ ধরনের বিষয়কে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। গবেষকেরা বলছেন, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য দৈনিক ২.৬ ঘণ্টা বা ১৫৮ মিনিট সময় বিশ্বের মানুষ ব্যয় করে। পরিবারের সবাই অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকে না। তিন সদস্যের একটি পরিবারের কথা ধরা যাক। একজন সদস্য অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে ৯ ঘণ্টা ব্যয় করেন। অন্য দুজন কোনো অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে নেই। ওই পরিবারে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে দৈনিক ব্যয় হয় তিন ঘণ্টা। 

এখন প্রশ্ন হচ্ছে, ১৫৮ মিনিটের মধ্যে কোন অর্থনৈতিক কাজে কত সময় যায়। সবচেয়ে বেশি সময় যায় খাদ্যের পেছনে, মূলত কৃষিতে। খাদ্যের পেছনে দৈনিক ৫২ মিনিট সময় মানবজাতি ব্যয় করে। এর মধ্যে ৪৪ মিনিট খাদ্য উৎপাদন ও সংগ্রহে, ৫ মিনিট যায় খাওয়ার জন্য খাদ্য প্রস্তুত করার কাজে এবং ৩ মিনিট ব্যয় হয় খাদ্য প্রক্রিয়াজাত করার কাজে। 

অর্থনৈতিক মূল্য আছে এমন সাংগঠনিক কাজে দৈনিক ৪৭ মিনিট সময় ব্যয় হয়, প্রযুক্তির বিষয়গুলো সংশোধন বা পরিবর্তনে ব্যয় হয় ৩৬ মিনিট, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বা সুচিন্তিত স্নায়বিক পুনর্গঠন কাজে ব্যয় হয় ৭ মিনিট, খাদ্য নয় এমন জিনিস প্রস্তুত করার কাজে ৫ মিনিট, দৈহিক রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ৫ মিনিট, পারিপার্শ্বিক রক্ষণাবেক্ষণে ৫ মিনিট এবং অভিজ্ঞতা নির্মাণ বা অর্জনে ২ মিনিট ব্যয় হয়। 

সময়ের হিসাবে কী লাভ

দেশে ১৭ কোটি মানুষ। এই বিপুলসংখ্যক মানুষ কীভাবে একটি দিন পার করে, তার কোনো পরিসংখ্যান নেই। তবে মানুষের সময় কাটানো বা সময় বরাদ্দ করা নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নানা ধরনের গবেষণা আছে। ক্যানসার রোগীদের কীভাবে সময় কাটে, কীভাবে সময় কাটানো উচিত—এমন গবেষণা আছে। ছুটির দিনগুলো কীভাবে কাটালে শরীর ও মন ভালো থাকে, তা নিয়েও গবেষণা আছে। বসে সময় কাটানোর কারণে শরীরের কী ক্ষতি হয়, এমন গবেষণা হয়েছে নেদারল্যান্ডসের নাগরিকদের নিয়ে। ২০০৬ সালের ওই গবেষণায় দেখা গেছে, নেদারল্যান্ডসের প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকেরা দৈনিক আট ঘণ্টা নানাভাবে বসে কাটায়। এর সঙ্গে দেশটিতে স্থূলতা বেড়ে যাওয়ার সম্পর্ক আছে বলে মনে করা হচ্ছে। ওই গবেষণার গবেষকেরা বলছেন, অহেতুক বসে সময় কাটানো থেকে নেদারল্যান্ডসের নাগরিকদের বিরত রাখতে কৌশলগত নীতিনির্ধারণ করা জরুরি।

সময় ব্যয় বা দিনের কতটুকু সময় কোন কাজে বরাদ্দ থাকে, তা জনস্বাস্থ্যের উন্নতিতে জানার প্রয়োজন। সময়ের বিভাজন থেকে একটি জনগোষ্ঠীর শারীরিক সক্রিয়তা সম্পর্কে, কায়িক পরিশ্রম সম্পর্কে এবং ওই জনগোষ্ঠীর খেলাধুলায় অংশগ্রহণের পরিমাণ ও ধরন সম্পর্কে জানা যায়। এ থেকে জনগোষ্ঠীর মানসিক স্বাস্থ্য ও পুষ্টি পরিস্থিতি সম্পর্কেও ধারণা করা সম্ভব হয়। নীতি নির্ধারণের কাজে সময় ব্যবহারের হিসাবটি জরুরিভাবে প্রয়োজন।

অর্থনীতিবিদ হোসেন জিল্লুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘সময় হচ্ছে পরিমিত সম্পদ, চাইলেও এই সম্পদ বাড়ানো যায় না। ব্যক্তিগত, পারিপার্শ্বিক ও রাষ্ট্রীয় কারণে এই সম্পদ নষ্ট হয়। যেমন যানজটে আটকে থেকে বহু সময় নষ্ট হওয়ার দায় রাষ্ট্রের। উন্নত জাতি হিসেবে গড়ে উঠতে হলে কোথায় সময় অপচয় হয়, কীভাবে সময়ের সদ্ব্যবহার বাড়ানো যায়, তা জানা-বোঝা চাই। জাতীয়ভাবে সময় ব্যবহারের হিসাব থাকা প্রয়োজন।’

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button