সাংবাদিক সাগর-রুনি হত্যা: ১ যুগেও এলো না তদন্ত প্রতিবেদন
সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল ফের পিছিয়ে আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি নির্ধারণ করেছেন আদালত। মঙ্গলবার এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। এদিন শেরেবাংলা নগর থানায় করা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র্যাবের অতিরিক্ত সুপার খন্দকার শফিকুল আলম কোনো প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকা মহানগর হাকিম শফি উদ্দিন পরবর্তী তারিখ রাখেন।
শেরেবাংলা নগর থানার সাব ইন্সপেক্টর আলমগীর হোসেন এসব তথ্য জানান।
২০১২ সালে ১১ ফেব্রুয়ারি এই হত্যাকাণ্ডের পর গত প্রায় ১২ বছরেও কোন প্রতিবেদন পাওয়া যায়নি। এ নিয়ে ১০৫ বার প্রতিবেদন দাখিল পেছানো হলো। প্রতিবেদন দিতে দেরি হওয়ায় এরআগে দুটি আদালত অসন্তোষ প্রকাশ করেন।
এর আগে ২০২০ সালের ২ মার্চ আলোচিত এ হত্যা মামলার অগ্রগতি প্রতিবেদন হাইকোর্টে জমা দেয় র্যাব। প্রতিবেদনে বলা হয়. এ হত্যাকাণ্ডে দুইজন অপরিচিত পুরুষ জড়িত ছিলেন। সাগর-রুনির ব্যবহ্নত কাপড়ের সঙ্গে তাদের ডিএনএ’র মিল পাওয়া গেছে। ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের বাসায় নির্মমভাবে খুন হন মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার এবং এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি। দুজনকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়। পরদিন ভোরে তাদের ক্ষত-বিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনার পর রুনির ভাই নওশের আলম রোমান শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। প্রথমে মামলাটি শেরেবাংলা নগর থানার মাধ্যমে তদন্ত শুরু হয়। এরপর চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলা হিসেবে এর তদন্ত ভার ঢাকা মহানগর ডিবি পুলিশকে দেওয়া হয়। দুই মাসেরও বেশি সময় তদন্ত করে ডিবি রহস্য উদঘাটনে ব্যর্থ হয়। পরে ২০১৪ সালের ১৮ এপ্রিল হাইকোর্টের নির্দেশে হত্যা মামলার তদন্ত ভার র্যাবের ওপর ন্যস্ত করা হয়। মামলায় রুনির কথিত বন্ধু তানভীর রহমানসহ মোট আসামি আটজন।