নিষিদ্ধ হতে পারে ইমরান খানের দল, বলছে বিরোধী শিবির
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান ও দলটির শীর্ষ নেতারা যদি গত বছরের ৯ মে দেশজুড়ে ঘটে যাওয়া সহিংস ঘটনায় যুক্ত থাকেন এবং ইমরান খান যদি তারবার্তা (সাইফার) মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন, তবে পিটিআইকে নিষিদ্ধ করা হতে পারে। পিটিআই–বিরোধী শিবির এসব কথা বলছে।
পাকিস্তানে আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। রবিবার ইমরান খানের ডাকে তার দল পিটিআই দেশজুড়ে তাদের শক্তি প্রদর্শন করেছে। পুলিশের ধরপাকড়ের মধ্যেই ইমরান খানের দল বিক্ষোভ সমাবেশ পালন করে। খবর অনুসারে, পিটিআই নিষিদ্ধ হওয়ার শঙ্কা ও প্রচারে বাধা দেওয়ার অভিযোগের মধ্যেই নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছে।
কয়েক বছরের অনুসন্ধান শেষে পাকিস্তানের বর্তমান নির্বাচন কমিশন (ইসিপি) সর্বসম্মতভাবে ঘোষণা দিতে পারে, পিটিআই ২০০৩ সালের আগস্ট মাসে নিষিদ্ধ তহবিল গ্রহণ করেছিল। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে পাকিস্তান ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট (পিডিএম) সরকার পিটিআইকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে দিতে পারে। ইতিমধ্যে ইমরান খানকে পার্লামেন্টে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে।
বিগত শাহবাজ শরিফের সরকারের একটি ঘনিষ্ঠ সূত্র দ্য নিউজকে গত শনিবার বলেছেন, ইসিপির রায় পিডিএম সরকারের জন্য পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টের সামনে পিটিআইকে নিষিদ্ধ সত্তা ঘোষণা করার জন্য প্রশ্ন উত্থাপন করার একটি সুযোগ তৈরি করেছিল। কিন্তু তারা উপযুক্ত সময়ে এটি কাজে লাগানোর জন্য অপেক্ষায় ছিল।
বিগত সরকারের আইন ও বিচারমন্ত্রী এবং সিনেটে সংসদ নেতা সিনেটর আজম নাজির তারার বলেন, পিডিএম সরকার তখন ঋণখেলাপির হাত থেকে দেশকে বাঁচাতে সংগ্রাম করছিল এবং বিষয়টি বিলম্বিত করার সিদ্ধান্ত নেয়। তিনি বলেন, পিটিআই নির্বাচনী আইনের বেশ কয়েকটি ধারা অমান্য করেছে। সরকারের পক্ষ থেকে পিটিআইয়ের বৈধ অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলার সুযোগ এসেছে, যাতে সর্বোচ্চ আদালত সুবিধামতো সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।
দলের চেয়ারম্যান গহর খান রবিবার ইসলামাবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচনী ইশতেহারে সামাজিক ও সাংবিধানিক সংস্কারের অঙ্গীকার করেছেন। একই সঙ্গে ঘোষিত ইশতেহারে মদিনার ইসলামি রাষ্ট্রের আদলে কল্যাণ রাষ্ট্র গঠনের প্রতিশ্রুতির কথা বলা হয়েছে।