International

ইন্টারনেট, মোবাইল সার্ভিস বন্ধ, ‘পাকিস্তানে ভোট চুরি শুরু হতে পারে’

বুধবার বিস্ফোরণে কমপক্ষে ২৬ জন নিহত হওয়ার পর আজ বৃহস্পতিবার কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে পাকিস্তানে। এরই অংশ হিসেবে মোবাইল ইন্টারনেট ও সংযোগ বন্ধ রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার সিকান্দার সুলতান রাজা। এমন সিদ্ধান্তে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা ও সমাজকর্মী। তারা বলছেন, নির্বাচনে এর মাধ্যমে ভোট চুরি শুরু হয়েছে। আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক বিশ্লেষক মাইকেল কুগেলম্যান বলেছেন, নির্বাচনের শুরুতে মোবাইল ফোন, ইন্টারনেট সার্ভিস বন্ধ রাখা অশুভ লক্ষণ। পাকিস্তান তেহরিকে ইনসাফের (পিটিআই) নেতা হাম্মাদ আজহার বলেন, মোবাইল সার্ভিস বন্ধ রাখার মাধ্যমে জনগণের তথ্য পাওয়ার অধিকারকে ডাকাতি করা হয়েছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন ডন। 

প্রধান নির্বাচন কমিশনার সুলতান রাজা বলেন, তিনি আশা করেন নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে। নিরাপদে শেষ হবে। তিনি গুরুত্ব দিয়ে বলেন, ইন্টারনেট বন্ধ রাখা বা চালু রাখা, মোবাইল সার্ভিস বন্ধ রাখা নির্বাচন কমিশনের এক্তিয়ারের মধ্যে আছে। আমরা বহুবার স্পষ্ট করেছি যে, আমাদের সিস্টেম ইন্টারনেটের ওপর নির্ভরশীল নয়।

বিজ্ঞাপন এতে আমাদের প্রস্তুতিতে কোনো ক্ষতি হবে না। প্রধান নির্বাচন কমিশনার রাজধানী ইসলামাবাদে নির্বাচন কমিশন অফিসের বাইরে সাংবাদিকদের সঙ্গে এসব কথা বলেন। তিনি জানান, ইন্টারনেট সার্ভিসের বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে কোনো নির্দেশনা দেয়নি নির্বাচন কমিশন। এটা হলো আইন শৃংখলা বিষয়ক এজেন্সিগুলোর সিদ্ধান্ত। এক্ষেত্রে আমরা শুধু আমাদের সুপারিশ দিতে পারি। তিনি আরও বলেন, যদি আমরা মোবাইল সার্ভিস খোলার নির্দেশনা দিই তাদেরকে এবং কোনো অঘটন ঘটে, তখন এর দায় কে নেবে? 

ওদিকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে, সারাদেশে অস্থায়ী সময়ের জন্য মোবাইল সার্ভিস বন্ধ রাখা হয়েছে। দেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতি অবনতির প্রেক্ষিতে এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছে। তাতে বলেছে, সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে মূল্যবান কতগুলো জীবন ঝরে গেছে। এতে দেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে নাড়া দিয়েছে। তাই এমন নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেয়ার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। ওদিকে পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) সাবেক সিনেটর মুস্তাফা নওয়াজ খোকার বলেন, নির্বাচনের দিনে মোবাইল সার্ভিস বন্ধ করে দেয়ার মাধ্যমে নির্বাচনে জালিয়াতি শুরু হয়েছে। তিনি বলেন, পাকিস্তানের ইতিহাসে নির্বাচনের পূর্বে পরিবেশ ছিল সবচেয়ে ন্যক্কারজনক পরিস্থিতির অন্যতম। নির্বাচনের দিনে প্রার্থীদেরকে তাদের এজেন্ট ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করা হচ্ছে মোবাইল সার্ভিস বন্ধ করে দিয়ে। এটা গ্রহণযোগ্য নয়। তিনি প্রশ্ন রাখেন, যদি কোনো অনিয়ম হয় তাহলে কোনো মানুষ কিভাবে তা চেক করবে এবং হাইলাইট করবে? এরই মধ্যে খবর আসছে যে, নির্বাচন চুরি করা হতে পারে।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button