নিত্যপণ্যের দামে অস্থিরতা : এবারও সিন্ডিকেটের থাবা
আন্তর্জাতিক বাজারে দাম হ্রাস, এলসি মার্জিন শিথিল ও শুল্ক কমানোর প্রভাব নেই * কেউ কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি, অবৈধ মজুত গড়ে পণ্য সরবরাহে বাধা দিলে তাদের বিরুদ্ধে বিশেষ আইনে ব্যবস্থা-বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
আসন্ন রমজান ঘিরে বাজারে নিত্যপণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক ও দাম স্থিতিশীল রাখতে বহুমুখী উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে তিনটি মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো একসঙ্গে কাজ করছে। এর আওতায় রোজায় পণ্যের চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ বাড়ানোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। পণ্যের আমদানি বাড়াতে ডলারের জোগান দেওয়া হচ্ছে।
পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজারে কিছু পণ্যের দাম কমেছে। ৮ পণ্য আমদানির এলসি মার্জিন ও ৪ পণ্যের শুল্ক কমানো হয়েছে। তারপরও পণ্যের দাম কমছে না। উলটো বাড়ছে। অন্যবারের মতো এবারও সেই সিন্ডিকেটের থাবা পড়েছে রমজাননির্ভর পণ্যের ওপর। এতে ভোক্তার জন্য সরকারের দেওয়া ছাড়ের সুবিধা চলে যাচ্ছে অসাধু ব্যবসায়ীদের পকেটে। ফলে সরকারের বহুমুখী পদক্ষেপের সুফল পাচ্ছেন না ভোক্তারা।
সূত্র জানায়, এবারই প্রথমবারের মতো নিত্যপণ্যের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট তিনটি মন্ত্রণালয় ও দপ্তরগুলো সন্বয় করে পদক্ষেপ নিচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে-বাণিজ্য, কৃষি এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। ইতোমধ্যে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান ও বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু একটি বৈঠক করেছেন। ওই বৈঠকের ধারাবাহিকতায় রোজা সামনে রেখে চিনি, ভোজ্যতেলসহ কয়েকটি পণ্যের শুল্ক কমানোর প্রস্তাব করা হয়। ইতোমধ্যে সেটি কার্যকর করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
এ প্রসঙ্গে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু জানান, সব ধরনের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে পণ্যের দাম ক্রেতার সহনীয় পর্যায়ে আনার জন্য। আর কেউ কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি, অবৈধ মজুত গড়ে পণ্য সরবরাহে বাধা সৃষ্টি করলে তাদের বিরুদ্ধে বিশেষ আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তবু সক্রিয় সিন্ডিকেট : অন্য সময়ের তুলনায় রোজায় বেশকিছু পণ্যের চাহিদা ব্যাপক বেড়ে যায়। এগুলোর সরবরাহ বাড়াতে ও দাম কমাতে সরকার থেকে নানামুখী পদক্ষেপ নেওয়া হলেও এর সুফল ভোক্তা পর্যায়ে পৌঁছে না।
আন্তর্জাতিক বাজারে বেশকিছু পণ্যের দাম কমেছে, গত ২ মাস ধরে ডলারের দাম স্থিতিশীল রয়েছে, আমদানি বৃদ্ধিতে ডলারের জোগান বাড়ানো হয়েছে, বাকিতে পণ্য আমদানির সুযোগ দেওয়া হয়েছে, শিথিল করা হয়েছে এলসি মার্জিন, কমানো হয়েছে শুল্ক, জ্বালানি তেলের দাম কমায় পণ্যের পরিবহণ খরচ কমেছে।
তারপরও পণ্যের দাম কমছে না। বরং উলটো বেড়ে যাচ্ছে। এরই মধ্যে ভোজ্যতেলের পরিশোধনকারী কোম্পানিগুলো সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানোর জন্য প্রস্তাব করেছে ট্যারিফ কমিশনে।
ডলারের দাম বৃদ্ধিকে তারা যুক্তি হিসাবে দেখিয়েছে। অথচ গত ২ মাস ধরে ডলারের দাম বাড়েনি। গত দেড় বছরে আন্তর্জাতিক বাজারে সয়াবিন তেলের দাম ৪০ শতাংশ ও পাম অয়েলের দাম কমেছে ৪৮ শতাংশ।
অথচ দেশের বাজারে কমেছে খুবই সামান্য। এলসি মার্জিন কমানো হয়েছে প্রায় ১ মাস হচ্ছে। শুল্ক কমানো হয়েছে ৪ দিন হলো। এখনো এর কোনো প্রভাব পড়েনি বাজারে। একই সময়ে আন্তর্জাতিক বাজারে ছোলার দাম ১২ শতাংশ ও ডালের দাম কমেছে ১৫ শতাংশ। কিন্তু দেশের বাজারে এগুলো বেড়েই চলেছে।
ব্যবসায়ীদের একটি চক্র সিন্ডিকেট করে পণ্যের দাম বাড়াচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। যে কারণে ভোক্তাতে স্বস্তি দিতে সরকারের নানা পদক্ষেপের কোনো সুফল বাজারে পড়ে না। কমে না পণ্যের দাম। ডলার সংকটে পণ্যের আমদানি কমলেও এখন বেড়েছে। সব পণ্যের চাহিদার চেয়ে বেশি সরবরাহ রয়েছে। তারপরও দাম বেড়েই চলেছে।
চাহিদার তুলনায় জোগান বেশি : বাজারে চাহিদার তুলনায় সব পণ্যেরই জোগান বেশি রয়েছে। এছাড়া সরবরাহ লাইনে আরও পণ্য আমদানির অপেক্ষায় রয়েছে। পাশাপাশি দেশে উৎপাদিত পণ্যগুলো বাজারে আসছে। ভোজ্যতেলের চাহিদা প্রতি মাসে সাধারণত দেড় লাখ টন। রোজায় এর চাহিদা বেড়ে সাড়ে ৩ লাখ টনে পৌঁছায়। দ্বিগুণের বেশি বাড়ে চাহিদা। এই চাহিদা মেটাতে ইতোমধ্যেই এর আমদানি বাড়ানো হয়েছে।
রোজার চাহিদা মেটাতে ইতোমধ্যে ৫ লাখ ৩৫ হাজার টন ভোজ্যতেল আমদানি করা হয়েছে। যেগুলোর বড় অংশই এখন বাজারে রয়েছে। এছাড়া আরও ৪ লাখ ৫৫ হাজার টন ভোজ্যতেলের এলসি খোলা হয়েছে।
যেগুলো রোজার আগেই দেশে এসে পৌঁছতে শুরু করবে। ফলে রোজায় ভোজ্যতেলের চাহিদা ও সরবরাহে কোনো ঘাটতি নেই। প্রতি মাসে চিনির চাহিদা গড়ে ১ লাখ ৩৫ হাজার টন। রোজায় তা দ্বিগুণের বেশি বেড়ে ৩ লাখ টনে পৌঁছে। চিনির আমদানি হয়েছে ২ লাখ ৯৫ হাজার টন। আমদানির জন্য এলসি খোলা হয়েছে ৩ লাখ ৮০ হাজার টনের। রোজার আগে এগুলো বাজারে এসে যাবে। এর আমদানি শুল্ক কমেছে। তারপরও এর দাম বাড়ছে। তবে আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির দাম বেড়েছে ২৫ শতাংশ। যা স্থানীয় বাজারে আগেই সমন্বয় করা হয়েছে।
মসুর ডালের মাসিক চাহিদা ৩৮ হাজার টন। রোজার তা বেড়ে দাঁড়ায় ১ লাখ টনে। আমদানি হয়েছে প্রায় ২ লাখ টন। আরও ১ লাখ ৯০ হাজার আমদানির জন্য এলসি খোলা হয়েছে। চাহিদার চেয়ে সরবরাহ বেশি থাকলেও এর দাম বাড়ছে। ছোলার চাহিদা সাধারণ প্রতি মাসে ২ হাজার টন। রোজায় তা বেড়ে দাঁড়ায় ১ লাখ টনে। আমদানি হয়েছে ৭৩ হাজার টন। এলসি খোলা হয়েছে ১ লাখ ১১ হাজার টনের। আন্তর্জাতিক বাজারে দুটি পণ্যের দামই কমেছে। তারপরও দেশে এগুলোর দাম বাড়ছে।
পেঁয়াজের চাহিদা প্রতি মাসে ১ লাখ ৭৩ হাজার টন। রোজায় তা বেড়ে দাঁড়ায় ৫ লাখ টনে। পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে ১ লাখ ৮ হাজার টন। এলসি খোলা হয়েছে ১ লাখ ৫ হাজার টনের। এছাড়া দেশে উৎপাদিত পেঁয়াজ বাজারে এসে গেছে। আগামীতে আরও আসবে। এখন পেঁয়াজের ভরা মৌসুম চলছে। দেশে পেঁয়াজের বাম্পার ফলন হয়েছে। দেশে পেঁয়াজের নিট উৎপাদন গড়ে ২৫ লাখ টন। আমদানি হয় ৫ থেকে ৬ লাখ টন। বছরে চাহিদা ২৭ লাখ টন। ফলে চাহিদার চেয়ে সরবরাহ ৩ থেকে ৪ লাখ টন সরবরাহ বেশি রয়েছে। তারপরও পেঁয়াজের দাম হু হু করে বেড়েছে।
খেজুরের চাহিদা প্রতি মাসে ৪ হাজার টন। রোজায় তা বেড়ে দাঁড়ায় ৫০ হাজার টনে। ডলার সংকটের কারণে খেজুর আমদানি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। আমদানি হয়েছে ১৫ হাজার টন। এলসি খোলা হয়েছে ২১ হাজার টনের। আমদানি বাড়াতে শুল্ক কমানো ও ডলারের জোগান বাড়ানো হয়েছে।
আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমেছে ৩৫ শতাংশ। ফলে পণ্যের পরিবহণ ব্যয় কমেছে। এর কোনো প্রভাব নেই বাজারে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে লোহিত সাগরে অস্থিরতার কারণে জাহাজ ভাড়া বৃদ্ধির প্রভাব আমদানিতে ইতোমধ্যেই পড়েছে।
খুচরা বাজার : খুচরা বাজারের পণ্যমূল্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, নভেম্বরে প্রতি কেজি চিনি ১৩৫ টাকা বিক্রি হলেও ডিসেম্বরে বিক্রি হয়েছে ১৪৫-১৫০ টাকা। চলতি বছর ফেব্রুয়ারিতে ১৪০-১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি প্রতি কেজি ভালোমানের মসুর ডাল নভেম্বরে বিক্রি হয়েছে ১৩০ টাকা। ডিসেম্বরে বিক্রি হয়েছে ১৩৫ টাকা, আর ফেব্রুয়ারিতে বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা। প্রতি কেজি ছোলা নভেম্বরে বিক্রি হয়েছে ৮৫ টাকা। ডিসেম্বরে দাম বেড়ে বিক্রি হয়েছে ৯০-৯৫ টাকা। ফেব্রুয়ারিতে বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকা।
ভোজ্যতেলের মধ্যে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল নভেম্বরে বিক্রি হয়েছে ১৫০ টাকা। ডিসেম্বরে বিক্রি হয়েছে ১৫৫ টাকা, আর ফেব্রুয়ারিতে দাম বেড়ে ১৬০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। বোতলজাত সয়াবিন তেলের মধ্যে নভেম্বরে প্রতি লিটার বিক্রি হয়েছে ১৬৮ টাকা, ডিসেম্বরে দাম বেড়ে ১৭০ টাকা ও ফেব্রুয়ারিতে বিক্রি হচ্ছে ১৭২-১৭৪ টাকা।
এছাড়া পাম সুপার প্রতি লিটার নভেম্বরে বিক্রি হয়েছে ১৩৫ টাকা, ডিসেম্বরে লিটারে ৫ টাকা বেড়ে ১৪০ টাকায় বিক্রি হয়। আর ফেব্রুয়ারিতে আরেক ধাপ বেড়ে ১৪২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি কেজি তিউনেশিয়ান খেজুর নভেম্বরে ৩০০ টাকা বিক্রি হলেও ডিসেম্বরে বিক্রি হয় ৪০০ টাকা। আর সেই একই খেজুর ফেব্রুয়ারিতে বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকা কেজি। নভেম্বরে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ১৩০ টাকা বিক্রি হলেও ডিসেম্বরে ১৩৫ টাকায় বিক্রি হয়। তবে দেশি জাত বাজারে আসায় দাম কিছুটা কমে ফেব্রুয়ারির শুরুতে ৯০-১০০ টাকায় বিক্রি হয়। তবে ফের দাম বেড়ে বুধবার ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা, ডিসেম্বরে ছিল ১৭০ টাকা আর নভেম্বরে দাম ছিল ১৮৫ টাকা। পাশাপাশি নভেম্বর থেকে কমতে থাকে গরুর মাংসের দাম। সে সময় প্রতি কেজি বিক্রি হয় ৭০০ টাকা। ডিসেম্বরে দাম কমে বিক্রি হয় ৫৫০-৬০০ টাকা। নির্বাচনের পর দাম কিছুটা বেড়ে ৬০০-৬৫০ টাকা হয়। এরপর ফের ফেব্রুয়ারিতে প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭০০-৭৫০ টাকা।
খুচরা বাজারে নভেম্বরে প্রতি কেজি আদা বিক্রি হয় ২৮০-৩০০ টাকা। যা ডিসেম্বরে দাম কমে ২৪০-২৫০ টাকা হয়। তবে ফেব্রুয়ারিতে দাম বেড়ে ফের ২৫০-৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি কেজি রসুন নভেম্বরে বিক্রি হয় ২০০-২২০ টাকা। ডিসেম্বরে কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে সর্বোচ্চ ২৩০ টাকায় বিক্রি হয়। তবে ফেব্রুয়ারিতে প্রতি কেজি রসুন বিক্রি হচ্ছে ২৪০-২৬০ টাকা।
জানতে চাইলে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান যুগান্তরকে বলেন, বাজার নিয়ন্ত্রণের কথা শুধু মুখে বললে হবে না। এর জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। আগে সাশ্রয়ী মূল্যে মানুষের হাতে নিত্যপণ্য দিতে হবে। পণ্যের দামে লাগাম টানতে যেসব পদক্ষেপ নেওয়া দরকার, সেগুলো ঠিকমতো নেওয়া হচ্ছে না।
তিনি জানান, বর্তমানে নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে মানুষ যে খুব কষ্টে আছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। বিশেষ করে বর্তমান পরিস্থিতিতে সাধারণ ও নিম্ন আয়ের মানুষ বেশি কষ্টে রয়েছেন। তাই বাজার ব্যবস্থাপনা ঢেলে সাজিয়ে পণ্যমূল্য সহনীয় করতে হবে।
গোলাম রহমান আরও বলেন, বাজার ব্যবস্থাপনায় বিশৃঙ্খলার জন্য এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ীর কারসাজিতে বছরের পর বছর ভোক্তারা ঠকছেন। সংস্থাগুলো জানে কে বা কারা পণ্যের দাম নিয়ে কারসাজি করছে। একাধিকবার তারা সেটা চিহ্নিত করেছে। কিন্তু অসাধুদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে পারছে না।
এদিকে চলতি অর্থবছরে (জুলাই-ডিসেম্বর) চাল আমদানির এলসি খোলা হয়েছে ৭০ কোটি ডলার, আমদানি হয়েছে ৬৩ কোটি ডলার। গত অর্থবছরের একই সময়ে খোলা হয়েছিল ১৪০ কোটি ডলার ও আমদানি ১১৫ কোটি ডলার। চিনি এলসি খোলা হয়েছে ৪০ কোটি ডলার, আমদানি ৫৬ কোটি ডলার। গত অর্থবছরে ৩১ কোটি ডলার, আমদানি ৩৩ কোটি ডলার।
চলতি অর্থবছরে একই সময়ে দুধ ও দুগ্ধজাতীয় পণ্যের এলসি হয়েছে ২৮ কোটি ডলার, আমদানি ১৭ কোটি ডলার। গত অর্থবছরে এই পণ্যের এলসি হয়েছে ১৪ কোটি ডলার, আমদানি হয়েছে ১৮ কোটি ডলার। পরিশোধিত ভোজ্যতেলের এলসি ৬০ কোটি ডলার, আমদানি ৬২ কোটি ডলার। গত অর্থবছরে একই সময়ে এলসি ১১১ কোটি ডলার, আমদানি ১২৮ কোটি ডলার। অপরিশোধিত ভোজ্যতেল চলতি অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বরে এলসি ৬ কোটি ডলার, আমদানি ১৪ কোটি ডলার। গত অর্থবছরের ওই সময়ে এলসি হয়েছে ২৮ কোটি ডলার ও আমদানি ৩৫ কোটি ডলার।
ফলের এলসি ১৮ কোটি ডলার, আমদানি ১৩ কোটি ডলার। গত অর্থবছরে এলসি ১৫ কোটি ডলার, আমদানি ১৪ কোটি ডলার। ডাল এলসি ৯ কোটি ডলার, আমদানি ১০ কোটি ডলার। গত অর্থবছরে এলসি ১১ কোটি ডলার, আমদানি ১৩ কোটি ডলার। পেঁয়াজের এলসি ১৬ কোটি ডলার, আমদানি ১৪ কোটি ডলার। গত অর্থবছরে এলসি ৮ কোটি ডলার, আমদানি ৭ কোটি ডলার। মসলা এলসি ১৯ কোটি ডলার, আমদানি ২১ কোটি ডলার। গত অর্থবছরে ১১ কোটি ডলার, আমদানি ১৩ কোটি ডলার।
চলতি অর্থবছরের বাণিজ্যিক খাতে ভোগ্যপণ্যের এলসি হয়েছে ২০২ কোটি ডলার ও আমদানি ১৯২ কোটি ডলার। গত অর্থবছরের ওই সময়ে ১৭৩ কোটি ডলারের এলসি খোলা হয়েছে এবং আমদানি হয়েছে ২২৩ কোটি ডলারের।