ভারতে বিক্ষোভরত কৃষকদের বীজ, তুলা ও ডালে ভর্তুকির প্রস্তাব
ভারতে বিক্ষোভরত কৃষকদের বীজ, তুলা ও ডালে ভর্তুকির প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে কৃষকদের সংঘর্ষের সপ্তাহ-খানেক পর দেশটির অর্থমন্ত্রী পীযূষ গয়াল এ ঘোষণা দেন।
এর আগে কৃষকদের দিল্লি অভিমুখে জড়ো হওয়া ঠেকাতে টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ ও ব্যারিকেড দেয়া হয়। এমন এক সময়ে কৃষকদের বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়, যখন কিনা ভারতে জাতীয় নির্বাচনের আর মাত্র কয়েক মাস বাকি। আসন্ন মে মাসে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের মাধ্যমে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় থাকার পথ খুঁজছেন।
কৃষক ইউনিয়নগুলোর সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনার পর অর্থমন্ত্রী এ ঘোষণা দেন। কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য মূল্য দাবি করে নয়াদিল্লী থেকে ২০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান নিয়েছিলেন।
গয়াল বলেছেন, সরকার কো-অপারেটিং সোসাইটিগুলোর সঙ্গে পাঁচ বছরের চুক্তি করেছে। কৃষকরা যেন তাদের উৎপাদিত শস্যে বৈচিত্র্য এনে তুর ডাল, উরাদ ডাল, মসুর ডাল ও ভুট্টা উৎপাদন করতে পারে। সরকার ভর্তুকি মূল্যে এসব পণ্য ক্রয় করবে।
গয়াল স্থানীয় সংবাদকর্মীদের বলেন, এসব পণ্য ক্রয়ের ক্ষেত্রে কোনো নির্দিষ্ট সীমা থাকবে না। এ প্রস্তাব বিভিন্ন ফসল উৎপাদনকারী ও তুলার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে।
কৃষক ইউনিয়নগুলো বলেছে, সমঝোতায় পৌঁছার ক্ষেত্রে দুই একদিনের মধ্যে তারা তাদের সিদ্ধান্ত জানাবে।
উল্লেখ্য, কৃষিপণ্যের ন্যূনতম মূল্য নিশ্চিতের দাবির প্রতি সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে দিল্লি অভিমুখে ‘দিল্লি চলো’ আন্দোলনে নামেন ভারতের কৃষকেরা। কৃষকদের দুই শতাধিক সংগঠন এবং হরিয়ানা, পাঞ্জাব ও উত্তর প্রদেশের লক্ষাধিক কৃষক এই কর্মসূচি পালন করেছেন।
গত মঙ্গলবার দিল্লি অভিমুখে যাত্রার সময় পাঞ্জাব ও হরিয়ানার মধ্যবর্তী শম্ভু সীমান্ত পয়েন্টে তাঁদের ওপর দাঙ্গা পুলিশ কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করেছিল। রাজধানী থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরে ব্যারিকেড দিয়ে তাদের দিল্লি অভিমুখে যাত্রাও থামানোর চেষ্টা করেছিল পুলিশ। এরপর গত বৃহস্পতিবার কৃষক ইউনিয়নের সঙ্গে বৈঠকের ঘোষণা দেয় ভারত সরকার।