মহাকাশের জানালা
![](https://miprobashi.com/wp-content/uploads/2024/05/1714810024-f3ccdd27d2000e3f9255a7e3e2c48800-780x470.webp)
মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির কেন্দ্রটি অত্যন্ত উজ্জ্বল। কিন্তু পৃথিবী থেকে এই উজ্জ্বল কেন্দ্রের বেশিরভাগ অংশই দৃষ্টিগোচর হয় না। কারণ এটি ঢাকা রয়েছে হাইড্রোজেনের ঘন মেঘে। এই মেঘের ঘনত্ব যেখানে একটু কম সেখানে ঐ উজ্জ্বল আলোর ছটা কিছুটা হলেও দেখা যায়।
মহাকাশের এই জানালার নাম হলো, বায়াড’স উইন্ডো (Baade’s Window)।
![মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির একাংশ। ছবি: লেখক](https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/online/2024/05/04/my1182/439941286_10228876058418957_987667726252017622_n.jpg)
গত শতাব্দীর চল্লিশের দশকের মাঝামাঝি সময়ে, মার্কিন জ্যোতির্বিজ্ঞানী ওয়াল্টার বায়াড মাউন্ট উইলসন অবজারভেটরির ১০০ ইঞ্চি টেলিস্কোপ দিয়ে মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির কেন্দ্রটি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করেন। তিনি দেখতে পান গ্যালাক্সির কেন্দ্রের বেশিরভাগ অংশ মহাজাগতিক ধূলিকণা এবং হাইড্রোজেন গ্যাসে আচ্ছাদিত থাকলেও, এর মাঝে কিছুটা খোলা জায়গা রয়েছে। এই খোলা জায়গায়, মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির কেন্দ্রের উজ্জ্বলতা সবচেয়ে বেশি। এ যেন বিশাল মিল্কিওয়ের ভেতর খোলা একটি জানালা।
কয়েক বছর আগে, নিশুতি এক মাঝ রাতে, শহর থেকে অনেক দূরে বিজন এক প্রান্তরে দাঁড়িয়ে মহাকাশের এই জানালা দিয়ে ছুটে আসা আলোর রশ্মি ক্যামেরায় কিছুটা ধরতে পেরেছিলাম।