বিশ্বে অস্থিরতার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করে চীন
বিশে^র বেশিরভাগ দেশই চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের চরম প্রতিদ্বন্দ্বীতার মধ্যে পক্ষ বেছে নিতে চায় না। কিন্তু এটা ক্রমেই স্পষ্ট হয়ে উঠছে যে, বর্তমান রাজনৈতিক অস্থিরতা, অর্থনৈতিক বাধা এবং বাণিজ্যে ক্রমবর্ধমান জটিলতার যুগে তাদের এটি করতে হতে পারে।
চীনের নেতা শি জিনপিংয়ের ২৬ এপ্রিল বেইজিংয়ে মার্কিন স্বরাষ্ট্র সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনকে অভ্যর্থনা জানানোর আগে চীনের শীর্ষ কূটনীতিক ওয়াং ই চীনের অর্থনীতি, বাণিজ্যের পাশাপাশি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকে দমন করার জন্য সীমাহীন ব্যবস্থা নিয়ে তার দেশকে আটকানোর চেষ্টা করার জন্য বাইডেন প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন।
অনেক দেশ চীন এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সংঘর্ষের আশঙ্কা করে। তবে শি বলেছেন যে, বিশ্ব আজ এমন পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে যা গত শতাব্দীতে দেখা যায়নি এবং আমরা একটি পরস্পরের ওপর নির্ভরশীল বিশ্বে বাস করি এবং একসাথে উত্থান ও পতনের মুখোমুখি। শি জিনপিং বলেন, ‘চীন ও যুক্তরাষ্ট্র একে অপরকে সাহায্য করা এবং কুটিল প্রতিযোগিতা এড়ানো উচিত।’
ন্যাটোতে মার্কিন আটলান্টিক অংশীদার এবং তার ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অংশীদার জাপান, ফিলিপাইন ও দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে প্রতিরক্ষা জোট বজায় রেখে বিশ^ শান্তি বিপন্ন করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে অভিযুক্ত করে থাকে। যুক্তরাষ্ট্রের বিষয়ে সমঝোতার সুরে কথা বল্লেও, শি উল্লেখ করেছেন যে, চীন কোনও প্রকার জোট গঠন করার এবং মার্কিন নেতৃত্বাধীন ছোট জোটগুলির বিরোধিতা করে।