International

চীনের বিরুদ্ধে এবার আমেরিকার নতুন জোট ‘স্কোয়াড’, কেন বাদ ভারত?

চীনকে ঠেকাতে আর কোয়াড নয়। এবার আরও শক্তিশালী জোট ‘স্কোয়াড’ তৈরি করল আমেরিকা। কিন্তু এই জোটে নেই ভারত। কেন দক্ষিণ চীন সাগর ও ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে লালফৌজের প্রভাব ঠেকাতে বন্ধু ভারতের উপর আস্থা হারাল আমেরিকা?

এই মুহূর্তে দক্ষিণ চীন সাগরে চোখ প্রভাব বাড়াচ্ছে বেইজিং। ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে কৃত্রিম দ্বীপে সামরিক ঘাঁটি তৈরি করছে লাল ফৌজ। ফলে বিপন্ন ‘ওপেন ট্রেড রুট’ বা মুক্ত বাণিজ্যপথ। অন্যদিকে, গত কয়েকমাস ধরে তাইওয়ান সীমান্তে সামরিক মহড়া তীব্র করেছে লাল ফৌজ। যা নিয়ে আমেরিকা ও চীনের মধ্যে সংঘাত তীব্র হচ্ছে। তাই কমিউনিস্ট দেশটিকে ঠেকাতে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে নয়া কৌশল নিয়েছে ওয়াশিংটন। মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিনের নেতৃত্বে গঠন করা হয়েছে স্কোয়াড। এই জোটে আমেরিকার সঙ্গে রয়েছে জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও ফিলিপিন্স। কিন্তু নাম নেই ভারতের।

আমেরিকার নেতৃত্বেই তৈরি হয়েছে কোয়াড বা কোয়াড্রিল্যাটারাল সিকিউরিটি ডায়ালগ জোট। যার অংশ ভারত। রয়েছে অস্ট্রেলিয়া, জাপানও। একাধিকবার এই জোটের সামরিক মহড়ায় সাগরে শক্তি প্রদর্শন করেছে নয়াদিল্লি। কিন্তু কোয়াডে থাকলেও সরাসরি চীনের সঙ্গে লড়াই যেতে চায় না ভারত। এমনকি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ আবহেও মস্কোর পাশে রয়েছে দিল্লি। যা খুব একটা ভালো নজরে দেখে না ওয়াশিংটন। এদিকে, নিজস্ব পররাষ্ট্রনীতির জন্য পশ্চিমা বিশ্বের সমস্ত সিদ্ধান্তে সায় দেয় না ভারত। তাই কোনওদিন যদি চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে সরাসরি সংঘাতে জড়ায় আমেরিকা, তাহলে ভারত কতটা পাশে থাকবে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, এই কারণে স্কোয়াডে ভারতকে রাখেনি আমেরিকা।

জানা গিয়েছে, সম্প্রতি হাওয়াইয়ে স্কোয়াড গঠনের জন্য় জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও ফিলিপিন্সের সঙ্গে বৈঠক করেছে আমেরিকা। আগামিদিনে চীনকে নজরে সাগরে চারটি দেশ যৌথ সামরিক মহড়া করবে। সাগরে নিরাপত্তা বজায় রাখতেও কাজ করবে এই জোট। এনিয়ে মার্কিন প্রতিরক্ষ সচিব লয়েড অস্টিন বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানান, ‘ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আমরা একত্রিত হয়ে এর বাস্তবায়ন করব।’

এদিকে, আমেরিকার এই নতুন জোট গঠনের কড়া বিরোধিতা করেছে চীন। এতে দক্ষিণ চীন সাগরে উত্তেজনা আরও বাড়বে বলে নিন্দা করেছে সেদেশের একটি সংবাদমাধ্যম। ফলে স্কোয়াড গঠন নিয়ে ফের একবার দুদেশের মধ্যে সংঘাত তীব্র হল। তবে আমেরিকার এই পদক্ষেপে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি ভারত। ফলে বন্ধুদেশের এই উদ্যোগ নিয়ে আগামিদিনে দিল্লি কী বলে সেদিকেই নজর রয়েছে কূটনৈতিক মহলের।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button