ভেঙে দেওয়া হলো কুয়েতের পার্লামেন্ট
সরকার ও সংসদের মধ্য মতবিরোধের কারণে অচলাবস্থার জেরে ভেঙে দেওয়া হলো কুয়েতে পার্লামেন্ট। গত শুক্রবার মধ্যপ্রাচ্যের দেশটির আমির শেখ মেশাল আল জাবের আল আহমাদ আল সাবাহ টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে এ ঘোষণা দেন। একইসঙ্গে সংবিধানের কিছু অনুচ্ছেদও স্থগিত করেছেন তিনি। খবর রয়টার্স ও আনাদুলু এজেন্সির
পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার পর এখন জাতীয় পরিষদের ক্ষমতা আমির এবং দেশটির মন্ত্রিসভার অধীনে থাকবে। আমির তাঁর ভাষণে বলেন, সংবিধানের কিছু অনুচ্ছেদ ৪ বছরের জন্য স্থগিত থাকবে। তবে এই সময়ে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াও অব্যাহত রাখা হবে।
আমির আরও বলেন, ‘কুয়েত সাম্প্রতিক সময়ে কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে গেছে। সরকার ও সংসদের মতবিরোধের কারণে অনেক অসুবিধা মোকাবিলা করতে হয়েছে। ফলে দেশকে বাঁচাতে ও দেশের সর্বোচ্চ স্বার্থ রক্ষায় সংসদ ভেঙে দেওয়ার মতো কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।’
কুয়েতে সব ধরনের রাজনৈতিক দল অবৈধ। যে কারণে নির্বাচনে দলীয় কোনো প্রার্থী থাকে না। স্বতন্ত্র হিসেবে ভোটে দাঁড়ান প্রার্থীরা। নির্বাচিত ৫০ জন সদস্য নিয়ে গঠিত হয় জাতীয় পরিষদ (সংসদ)। এরপর ওই ৫০ জন থেকে বাছাই করে ১৬ জনকে মন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত করেন আমির।