ঘোষিত রায়ে বিলম্বে স্বাক্ষর বাড়াচ্ছে জট ও ভোগান্তি
বিচারক রায় দেন। ফৌজদারি মামলার রায়ে কারো কারাদণ্ড,অর্থদণ্ড হয়। কেউ বা পায় মুক্তি। মৃত্যুদণ্ডও হয় কারো কারো। দেওয়ানি মামলায় কেউ ন্যায্য অধিকার ফিরে পান। কেউ বা হন চিরবঞ্চিত। বিচারকের রায়ে ওলটপালট হয়ে যায় ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও সরকার। ক্ষুদ্র থেকে বৃহৎ পরিসরে ঘটতে পারে ব্যাপক পরিবর্তন। মানুষের অধিকার সমুন্নত রাখতে সব সভ্য জনপদেই একটি বিচার ব্যবস্থা রাখা হয়। ভালো বিচার ব্যবস্থা মানবসভ্যতার উৎকর্ষতার মানদণ্ড। আর যারা বিচার করেন তারাও সমাজেরই অংশ। তারাও মানবীয় বৈশিষ্ট্যে সমুজ্জ্বল। তফাৎটা হলো এই যে, একজন বিচারককে হতে হয়, প্রবল ধী শক্তি সম্পন্ন, নির্মোহ, নির্লোভ, অনুরাগ-বিরাগের ঊর্ধ্বে, নিরপেক্ষ, অবিতর্কিত এবং গ্রহণযোগ্য। এ কারণে বিচারকের মর্যাদা সাংবিধানিকভাবে অনেক উঁচুতে। কিন্তু অপ্রিয় বাস্তবতা এই যে, আমাদের বিচার ব্যবস্থার গুণগত মান ক্রমঃক্ষয়িষ্ণু। বিচারকের মর্যাদা অক্ষুণ্ন রেখেও এ প্রশ্ন তোলা যায় যে, বিচারপ্রার্থীরা কি ন্যায় বিচার পাচ্ছে ? ‘ন্যায় বিচার’ কথার অর্থ এই নয় যে, রায় পক্ষে আসতে হবে। মানুষ কতটা সহজে, কতটা দ্রুত, কতটা সুলভে এবং কতটা হয়রানিমুক্ত বিচার পেলেন এর সঙ্গে যুক্ত ‘ন্যায় বিচার’ বিষয়টি। দেশে ন্যায় বিচার আছে কি নেইÑ এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজে দেখা যেতে পারে বিচারাঙ্গনের মানুষদের জবানিতে।
চলতি বছর ১ মার্চের একটি অনুষ্ঠান। প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। বক্তৃতায় তিনি বলেন, যে পরিমাণ বিচারক সারা বাংলাদেশে থাকা দরকার সেই পরিমাণ বিচারক নেই। দেশে ৯০ থেকে ৯৫ হাজার মানুষের জন্য একজন বিচারক। এত কম বিচারক দিয়ে মামলাজট কমানো সম্ভব নয়। এই সংখ্যাটা বাড়াতে হবে। লজিস্টিক সাপোর্টসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে হবে। তিনি আরো বলেন, মামলাজট নতুন কিছু নয়। এটা পুরোনো ব্যাধি। মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। সেজন্য মামলাজট বাড়ছে। মানুষ লেখাপড়া যত শিখছে, এতে মনে হয় মানুষ এক ধরনের অস্থিরতায় ভুগছে। এ ব্যাপারে মানুষকে সচেতন করতে হবে, বোঝাতে হবে শুধু মামলা-মোকদ্দমাই সমাধান নয়। বিকল্প ব্যবস্থা আছে। আইন করে সমাধানের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সেটাকে যদি জনপ্রিয় করা যায়, তাহলে মামলাজট কিছুটা কমবে।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তরে জানিয়েছেন, দেশে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ৪০ লাখের বেশি। জট হ্রাসে নানা উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। জট হ্রাসের চেষ্টা চলছে।
আইনজ্ঞ ড. শাহদীন মালিকের মতে, দেশের বিভিন্ন পর্যায়ের আদালতে ১৮শ’ বিচারক রয়েছেন। স্বল্প সংখ্যক বিচারক দিয়ে ১৮ কোটি মানুষের দেশে বিচার করা অসম্ভব। এ অবস্থা থেকে বের হতে হলে বিচার বিভাগের জন্য বরাদ্দ বাড়াতে হবে।
এসব বক্তব্য এবং পরিসংখ্যান থেকে অন্ততঃ এইটুকুন বোঝা যায় যে, দেশের জনসংখ্যা ও মামলার তুলনায় বিচারক স্বল্পতা রয়েছে। বিচার বিভাগের পেছনে সরকারের বরাদ্দ কম। যার অনিবার্যতায় আজকের এই ‘মামলা জট’। কিন্তু বিচারক স্বল্পতা এবং বাজেট স্বল্পতাই মামলা জটের একমাত্র কারণ নয়। মামলা জটের অন্তর্নিহিত আরো কারণ আছে। সেই কারণগুলোর উৎকট প্রকাশ লক্ষ্য করা যায় সাম্প্রতিক অতীতের কিছু ঘটনায়।
সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল করে ২০১১ সালের ১০ মে বিভক্ত রায় দেন আপিল বিভাগ। এ রায়ের ভিত্তিতে একই বছর ৩ জুলাই সংবিধান সংশোধন করে আওয়ামীলীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার। এতে বিলুপ্তি ঘটে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা। কিন্তু পূর্ণাঙ্গ রায়টি প্রকাশিত হয় ২০১২ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর। তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বিলুপ্ত করে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হয়। এতে জয়ী হয় আওয়ামী লীগ। ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল সংক্রান্ত রায়টিতে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক স্বাক্ষর করেন অবসরে যাওয়ার অন্ততঃ ১৬ মাস পর। দলীয় সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের চার বছর পর ২০১৬ সালের ১৬ জানুয়ারি তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা (এসকে সিনহা) বলেন, বিচারপতিদের অবসরে গিয়ে রায় লেখা আইন ও সংবিধান পরিপন্থী। কোনো কোনো বিচারক রায় লিখতে অস্বাভাবিক বিলম্ব করেন। আবার কেউ কেউ অবসর গ্রহণের দীর্ঘদিন পর পর্যন্ত রায় লেখা অব্যাহত রাখেন। যা আইন ও সংবিধান পরিপন্থী।
বিচারপতি এসকে সিনহার বক্তব্যে আপিল বিভাগের একজন বিচারপতির দিকে একটি ইঙ্গিত ছিলো। আর তা হলো, আপিল বিভাগ থেকে অবসরে যাওয়া বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক তার দেয়া রায়ে স্বাক্ষর না করেই অবসরে যান। অবসর গ্রহণের অনেক পরে রায় লেখা শুরু করেন। এ কারণে তার অবসর ভাতা পর্যন্ত আটকে দেয়া হয়। অবসরে গিয়ে লেখা অন্ততঃ ৪২টি রায় তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা গ্রহণ না করে ফেরত দিয়েছিলেন। এ প্রেক্ষিতে বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বিচারপতি এসকে সিনহার অভিশংসন চেয়ে সে সময়কার প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদের কাছে চিঠি লেখেন। তাতে তিনি এসকে সিনহার বিরুদ্ধে সংবিধান লঙ্ঘন, শপথ ভঙ্গ ও অসদাচরণের অভিযোগ আনেন। সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক এবং আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের পৃথক দু’টি ঘটনার মধ্য দিয়ে রায় প্রদানের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বিচারালয়ের বহুল চর্চিত একটি বিষয় প্রতিষ্ঠা পেলো। তাহলো, রায় ঘোষণার অনেক পরে পূর্ণাঙ্গ রায় লেখা হয়। এমনকি বিচারপতিগণ অবসরে চলে যাওয়ার পরও রায়ে স্বাক্ষর করেন।
রায় ঘোষণার অনেক পরে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রদানের এই প্রবণতার সঙ্গে নীতি-নৈতিকতার প্রশ্ন জড়িত। কিন্তু এর চেয়েও বড় যে বাস্তবতা বিচার প্রত্যাশীদের ভোগান্তিতে ফেলছে, তাহলো রায় ঘোষিত হওয়ার পর পূর্ণাঙ্গ রায় হাতে না পাওয়া। মাসের পর মাস, এমনকি বছরের পর বছর পূর্ণাঙ্গ রায়ের সার্টিফায়েড কপির জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে বিচার প্রত্যাশীদের।
ফৌজদারি আইনসহ ব্রিটিশ সরকার আমলের অনেক রীতি-নীতির ওপর পরিচালিত হয় উচ্চ আদালত। বহুল চর্চিত অনেক বিষয় রয়েছে, যা ঐতিহ্যগতভাবে আদালতগুলোতে চলে আসছে। এসবের একটি হচ্ছে, দীর্ঘ অবকাশ (লং ভ্যাকেশন)। ব্রিটিশ শাসিত ভারত উপমহাদেশে উচ্চ আদালতের বিচারকদের দীর্ঘ ছুটি দেয়া হতো রায় প্রণয়ন, চূড়ান্ত রায় প্রকাশের আগে সংশোধন এবং পর্যালোচনার জন্য। এখনো অধিকাংশ বিচারক দীর্ঘ অবকাশের সদ্ব্যবহার করেন রায় লেখা, ত্রুটি-বিচ্যুতি সংশোধন করে। এর ব্যতিক্রম যে নেই তা নয়। কোনো কোনো বিচারক দীর্ঘ অবকাশে দেশ-বিদেশ ভ্রমণ, ব্যক্তিগত ও পারিবারিক কর্মকাণ্ডে ব্যস্ত সময় কাটান। যা বিচার প্রত্যাশীদের ভোগান্তি বাড়ায়।
রায় হওয়ার পরও পূর্ণাঙ্গ রায়ের কপি হাতে না পাওয়ার ভোগান্তি বহুমাত্রিক। প্রথমতঃ বিচারপ্রার্থীরা জানতেও পারছেন না পূর্ণাঙ্গ রায়ে কি আছে। ফলে ওই রায়ে তার ‘সংক্ষুব্ধ’ হওয়ারও সুযোগ থাকছে না। ফলে মামলাটি আপিলের মাধ্যমে পরবর্তী ধাপে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয় না। রায় পক্ষে এলেও এর সুফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বিচারপ্রার্থী। মামলাটি যদি দেওয়ানি হয় তাহলেতো কোনো প্রশ্নই নেই। এ বছর দেয়া মামলা রায়ে কোন্ বছর পূর্ণাঙ্গ রায়ের কপি হাতে আসবে-নির্দিষ্ট করে কেউ বলতে পারেন না। পূূর্ণাঙ্গ রায় হাতে আসতে কেন বিলম্ব হচ্ছেÑ এ প্রশ্নের জবাব লাভেরও আইনসঙ্গত প্রচলিত কোনো ব্যবস্থা নেই। বেঞ্চ অফিসার, কোর্ট কর্মচারী, অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড এবং মুহুরিদের কাছে কাতর মিনতি ছাড়া বিচার প্রত্যাশীদের কোনো পথ থাকে না। সময় গড়ায়। কোর্টের বারান্দায় ঘোরাফেরা করে জুতোর তলা ক্ষয় হয়। বিচারক পরিবর্তন হয়। বদলি হয়ে অন্যত্র চলে যান। পদোন্নতিও হয়। হাইকোর্ট বিভাগ থেকে আপিল বিভাগে নিয়োগ লাভ করেন। একপর্যায়ে অবসরেও চলে যান। আইনজীবীও ‘জুনিয়র’ থেকে ‘সিনিয়র’ হন। তার ফি বাড়ে। বাদী-বিবাদী-সাক্ষীগণের বয়স বাড়ে। মামলার খরচ যোগাতে নিঃস্ব হন তারা। পকেট ভারী হয় আইনজীবী, মুহুরী, কোর্ট কর্মচারীদের। এর মধ্যে জীবন অবসানও ঘটতে পারে বিচার সংশ্লিষ্ট যে কারও। এসব কিছু ঘটলেও পূর্ণাঙ্গ রায় সহসাই হাতে মিলবেÑ এমন নিশ্চয়তা নেই। রায় ঘোষণার পর পূর্ণাঙ্গ রায় হাতে আসেনি-এমন দৃষ্টান্ত রয়েছে বহু। রায় যদি জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট হয়- সেটির ক্ষেত্রেও ঘটতে পারে সুফল না পাওয়ার পরিণতি।
১৯৯১ সালে প্রণীত হয় ‘বাড়ি ভাড়া নিয়ন্ত্রণ আইন’। এছাড়া ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই এক অধ্যাদেশ বলে রাজধানীকে ১০টি রাজস্ব অঞ্চলে ভাগ করা হয়। ভাড়া নির্ধারণে করা হয় ৩টি ক্যাটাগরি। কিন্তু এসব বিধান কার্যকর হচ্ছিলো না। এমনকি কোন এলাকার ভাড়া কত হবে সেটি সুনির্দিষ্ট করে সরকার কোনো প্রজ্ঞাপনও জারি করেনি। এ প্রেক্ষাপটে সংশ্লিষ্টদের নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ এবং আইন ও বিধান কার্যকরের নির্দেশনা চেয়ে ২০১০ সালের ২৫ এপ্রিল জনস্বার্থে রিট করে ‘এইচআরপিবি’ নামের বেসরকারি সংস্থা। শুনানি শেষে ওইবছর ১৭ মে হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ বাড়ি ভাড়া নিয়ন্ত্রণ আইন ও বিধি-বিধান কার্যকর করতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না- এই মর্মে রুল জারি করেন। রিট ফাইলের ৫ বছর পর ২০১৫ সালের ১ জুলাই বিচারপতি বজলুর রহমান (ছানা) এবং বিচারপতি রূহুল কুদ্দুসের ডিভিশন বেঞ্চ রুল চূড়ান্ত করে রায় ঘোষণা করেন। তাতে এলাকাভেদে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন ভাড়া নির্ধারণে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিশন গঠনের নির্দেশ দেয়া হয়েছিলো। কিন্তু রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশের আগেই বিচারপতি বজলুর রহমান ইন্তেকাল করেন। পরে প্রধান বিচারপতি পুনরায় মামলাটি শুনানির জন্য বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে পাঠান। এর মধ্যে রিটকারী সংস্থা একটি সম্পূরক আবেদন দেন। ওই আবেদনের শুনানি শেষে ২০১৯ সালের ১ ডিসেম্বর বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ রুল জারি করেন। সেই রুল পাঁচ বছর ধরে ঝুলছে শুনানির অপেক্ষায়।
রায় ঘোষিত হলেও পূর্ণাঙ্গ রায় সহসাই প্রকাশ না হওয়ার বাস্তবতা স্বীকার করে সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ বলেন, প্রধান বিচারপতি সবসময়ই ওপেন কোর্টে রায় স্বাক্ষর না হওয়ার বিষয়ে কথা বলেন। এ বিষয়ে বিচারকদের নির্দেশনা দেন। কিন্তু যে বিচারপতি রায় দিচ্ছেন, দ্রুত পূর্ণাঙ্গ রায় স্বাক্ষরের প্রথম ইচ্ছেটি থাকতে হবে সংশ্লিষ্ট বিচারপতির। মানুষ সঙ্কটে পড়েই বিচারালয়ের দ্বারস্থ হন। বিচারক যদি উপলব্ধি করেন যে, আমি যে রায়টি ঘোষণা করছি সেটি মানুষের অধিকারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। জরুরি বলেইতো বিচারপ্রার্থী আদালতে আসেন। রায় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যদি রায় লেখা না হয় তাহলে আর্গুমেন্টের অনেক জরুরি বিষয় পূর্ণাঙ্গ রায়ে বাদ পড়ে যায়। অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ বলেন, যিনি রায় দিচ্ছেন তিনি যদি সেটি অনুধাবন করেন, তবেই এ বিড়ম্বনা থেকে বিচারপ্রার্থীকে বাঁচানো সম্ভব। আরেকটি হচ্ছে, প্রধান বিচারপতির কঠোর মনিটরিং। সংশ্লিষ্ট বিচারককে অন্যকোনো শুনানিতে না দিয়ে যদি তার দেয়া জাজমেন্টগুলো লেখার সময় বেঁধে দেন তাহলেও ভোগান্তি লাঘব হয়। কারণ কোনো কোনো বিচারকের অনেক মামলা থাকে। ফলে তার কার্যকালে সেগুলোর পূর্ণাঙ্গ রায় লেখা সম্ভব হয় না। সময়ে কুলোতে পারেন না। লজিস্টিক সাপোর্ট থাকার বিষয়টিও ভোগান্তির আরেক কারণ। একজন বিচারক যদি ২০/৩০টি রায় দিয়ে থাকেন, তার বেঞ্চ অফিসার কিন্তু একজনই। তারপক্ষে কি করে সম্ভব এতোগুলো রায়ের ডিক্টেশন নেয়া ? সুতরাং, লজিস্টিক সাপোর্টের অভাবও রয়েছে।