সায়েন্স ফিকশনের অজানা সাত
রূপকথার গল্পের জায়গটা এখন অনেকটাই সায়েন্স ফিকশন বা কল্পবিজ্ঞানের দখলে। ভবিষ্যতের পৃথিবী, অবিশ্বাস্য প্রযুক্তি, এলিয়েনের আগ্রাসন, মহাকাশ ভ্রমণ কিংবা টাইম ট্রাভেলের পটভূমিতে প্রতিবছর সারাবিশ্বে হাজার হাজার কল্পবিজ্ঞান রচিত হচ্ছে। এর মধ্যে কিছু কল্পবিজ্ঞান তো নিখাদ সাহিত্যকেও হার মানিয়ে দেয়। কিছু কল্পবিজ্ঞান বিক্রি হচ্ছে মিলিয়ন মিলিয়ন কপি।
বেস্ট সেলার বইয়ের তালিকায় কল্পবিজ্ঞান থাকবে না, এ কথা এখন ভাবাই যায় না। কল্পবিজ্ঞান কীভাবে এলো, এর বিবর্তন নিয়ে রইল মজার সাত তথ্য।
১.বিদ্যুৎ প্রবাহিত করার ফলে মৃত ব্যাঙ নেচে উঠেছিল, তাতেই বিজ্ঞানী লুইগি গ্যালভনি ভেবেছিলেন মৃত ব্যাঙ বুঝি প্রাণ ফিরে পেয়েছে। গ্যালভনির এই ভুল ধারনাকে পুঁজি করে মেরি শেলি লেখেন ইতিহাসের প্রথম কল্পবিজ্ঞান ফ্রাঙ্কেনইস্টাইন।
২. কল্পবিজ্ঞানকে তুমুল জনপ্রিয় করে তোলেন ফরাসী লেখক জুল ভার্ন এবং বিট্রিশ লেখক এইচ জি ওয়েলস।
৩. সময় ভ্রমণের ধারণাটা আসে ১৯০৫ সালে প্রকাশ হাওয়া আইনস্টাইনের থিওরি অব রিলেটিভিটি থেকে। কিন্তু তার দশ বছর আগেই এইচ জি ওয়েলস লেখেন কালজয়ী কল্পবিজ্ঞান টাইম মেশিন।
৪. কল্পবিজ্ঞানে ভিন্ন ধারা যোগ করেন রুশ কল্পবিজ্ঞানী আলেক্সান্দার বেলায়েভ।
তাঁর বিখ্যাত কল্পবিজ্ঞা উভচর মানুষ ক্ল্যাসিক সাহিত্যের মর্যাদা পেয়ে গেছে। হাতির মাথায় মানুষের মগজ জুড়ে দিলে কী হতে পারে, তার এক শ্বাসরুদ্ধকর কাহিনি হলো বেলায়েভের ‘হৈটি টৈটি’ গল্প।
৫. সর্বকালের সেরা কল্পবিজ্ঞান আইজ্যাক আসিমভের নাইটফল।
৬. আইজ্যাক আসিমভের ‘ফাউন্ডেশন’ সিরিজটাকে সর্বকালের সেরা কল্পবিজ্ঞান সিরিজ বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। পিছিয়ে নেই আর্থার সি ক্লার্কের ‘অডিসি’ সিরিজও।
৭. আইজ্যাক আসিমভ, আর্থার সি ক্লাক আর রবার্ট হেইনলিনকে বল হয় কল্পবিজ্ঞানের বিগ থ্রি। আসিমভ হলেন কল্পবিজ্ঞানের গ্রান্ড মাস্টার।