নিষ্প্রভ স্টারমার কি তবে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী: যুক্তরাজ্যে নির্বাচন
নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেই প্রচারণায় নেমে পড়েছেন যুক্তরাজ্যের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। লেবার পার্টির নেতা কেয়ার স্টারমারও থেমে নেই। দুই নেতাই ভোটারদের নিজ নিজ দলে ভোট দেওয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করছেন। দেশটির পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী কে হবেন– তা নিয়ে কোনো অনুমান করা না গেলেও, জনমত জরিপ দিচ্ছে চমকপ্রদ তথ্য। তবে কি নিষ্প্রভ কেয়ারই পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন?
যুক্তরাজ্যের বর্তমান সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার অন্তত ছয় মাস আগে আগাম জাতীয় নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। নানা জল্পনাকল্পনার পর বুধবার বিকেলে ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিট থেকে আগামী ৪ জুলাই জাতীয় নির্বাচনের এ ঘোষণা দেন তিনি।
লেবার পার্টি মনে করে, ব্রিটেনে এখন নির্বাচনের প্রয়োজন ছিল। আর ৬১ বছর বয়সী বাম নেতা স্টারমার নির্বাচনে জয়ী হওয়ার জন্য যোগ্য নেতা। স্টারমার বিরোধী নেতা হিসেবে গত চার বছর পার করেছেন। ভোটারদের কাছে তাঁর বার্তা হলো, লেবার সরকার দেশের পরিবর্তন আনবে আশ্বাসের সঙ্গে। শুধু তারাই দেশটিকে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অস্বস্তি থেকে বের করে আনতে পারবেন।
নির্বাচনে জয়ী হলে স্টারমার হবেন ২০১০ সালের পর প্রথম লেবার প্রধানমন্ত্রী। আইন ও বিচারের ক্ষেত্রে অবদানের জন্য ২০১৪ সালে নাইট উপাধি লাভ করেন তিনি। এ জন্য তাঁকে ‘স্যার কিয়ের স্টারমার’ ডাকা হয়। তবে তিনি নিজে এ উপাধি ব্যবহার করেন না।
স্টারমার ২০০৭ সালে ভিক্টোরিয়া আলেকজান্ডার নামে একজন সলিসিটরের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তিনি এক পুত্র ও এক কন্যার জনক।
লন্ডনের কুইন মেরি ইউনিভার্সিটির রাজনীতির অধ্যাপক টিম বেল বলেছেন, যদিও স্টারমার বিশেষ করে টনি ব্লেয়ারের মতো অনুপ্রেরণাদায়ক ব্যক্তিত্ব নন, তা সত্ত্বেও তিনি ঋষি সুনাককে পরাজিত করতে পারেন। তিনি দুর্দান্ত নন; তবে যথেষ্ট ভালো মানুষ।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক যখন আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দেন, তখন অনেক পর্যবেক্ষকই অবাক হয়েছেন। পরাজয় নিশ্চিত জেনেও সুনাক কেন নির্বাচনের ঘোষণা দিলেন, তা নিয়েই তাদের মধ্যে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ।