সোনা পাওয়ার আশায় যত কাণ্ড
ঠাকুরগাঁওয়ের একটি ইটভাটায় স্তূপ করে রাখা মাটিতে সোনার খনি পাওয়ার আশায় রাতদিন মাটি খুঁড়ে চলছে হাজারো মানুষ। সোনা পাওয়ার আশায় সকাল থেকে গভীর রাত অবধি হাতে টর্চ নিয়ে কেউবা মোবাইলের আলোর সাহায্যে খুঁড়েই চলছে মাটি। তবে স্থানীয় প্রশাসনের দাবি-বিষয়টি গুজব। অন্ধকারে দূর থেকে দেখে মনে হতে পারে একঝাঁক জোনাকি উড়ছে আকাশে। তবে কাছে যেতে না যেতেই চোখে পড়ছে নারী-পুরুষ-শিশুরা মিলে খুঁড়ছে মাটি। গুপ্তধনের আশায় মাটি খুঁড়ে চলছে তারা। আর মাটির ভিতর সোনা মিলছে এমন খবর ছড়িয়ে পড়ায় দূরদূরান্ত থেকে প্রতিদিন মাটি খুঁড়তে ছুটে আসছে হাজারো উৎসুক মানুষ। ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার কাতিহার হাট এলাকার বাচোর ইউনিয়নের আরবিবি ইটভাটার পাকা সড়কের পাশে স্তূপ করে রাখা হয় ভাটার মাটি। আর সে মাটি খুঁড়লেই মিলছে সোনা। কিছুদিন আগে স্থানীয় বেশ কয়েকজন ব্যক্তি ফেসবুকে এমন একটি বিষয় আপলোড করলে সেটি ছড়িয়ে পড়ে। এরপর বিভিন্ন গণমাধ্যমে শিরোনাম হয় ‘মাটি খুঁড়লে মিলছে সোনা’। এমন খবর ছড়িয়ে পড়ায় জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রতিদিন ছুটে আসছে হাজারো উৎসুক মানুষ। অনেকে ফেসবুকে পোস্ট করেছে হাতে সোনার ছবি দিয়ে।
স্থানীয় বাসিন্দা জয়নাল, মহন্ত, আশামণি বলেন, ভাটার মাটির স্তূপে সোনা পেয়েছেন কয়েকজন। কিন্তু কে পেয়েছেন এ কথা স্বীকার করছেন না কেউ। তাদের দাবি-‘অনেকেই পেয়েছেন, তাই আমরাও খুঁড়ে দেখছি।’ আরবিবি ইটভাটার ব্যবস্থাপক লিটন আলী বলেন, কাতিহার সামরাই মন্দিরের পাশ থেকে মাটি খনন করে ইটভাটায় স্তূপ করা হয়েছে। গুজব উঠেছে-ওই মাটির স্তূপে সোনার জিনিস পাওয়া গেছে। এর পরই সাধারণ মানুষ দিনরাত ওই মাটির স্তূপ খনন করে বাছাই করছে। তবে কেউ সোনার কোনো অংশ পেয়েছে, এমন খবর তারা পায়নি। তার পরও প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ মাটি খুঁড়তে আসছে। এ বিষয়ে রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রকিবুল হাসান বলেন, ‘বিষয়টি এর আগেও জেনেছি। বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু দুই দিন ধরে জনতা আবার একই কাজ শুরু করছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’