International

মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন ডিটেনশন ক্যাম্পগুলোতে প্রবেশাধিকার চায় জাতিসংঘ

মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের আমন্ত্রণে বিদেশি কর্মীদের মানবাধিকার ও মানবপাচার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে মালয়েশিয়ায় আসা জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান (হাইকমিশনার) ভলকার তুর্ক, মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন পরিচালিত ডিটেনশন ক্যাম্পগুলোতে ইউএনএইচসিআর এর জন্য প্রবেশাধিকার চেয়েছেন।

গত মঙ্গলবার জাতিসংঘের এ হাইকমিশনার, মালয়েশিয়ায় তার মিশন শেষে মালয়েশিয়ার প্রশাসনিক রাজধানী পুত্রজায়ায় এক সংবাদ সম্মেলনে এমন আহবান জানালেন যখন মালয়েশিয়ার দিকে মানবাধিকার ভঙ্গের তির্যক তীর।

সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট ও বেনার নিউজ জানিয়েছে, তুর্ক মালয়েশিয়াকে আরো সতর্ক করে বলেছেন যে, ব্যবসার ক্ষেত্রে মানবাধিকারকে অগ্রাধিকার না দিলে ভবিষ্যতে বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার জন্য মালয়েশিয়ার উন্নয়ন প্রচেষ্টা বাধাগ্রস্ত হতে পারে।

তাছাড়া দেশটির আরো বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে প্রচারিত ও প্রকাশিত নিউজের জানা গেছে, মালয়েশিয়া সরকারের সঙ্গে আলোচনায় ব্যবসা এবং মানবাধিকার বিষয়কে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ব্যবসা এবং মানবাধিকার বিষয়গুলো আমাদের আলোচনার অংশ ছিল। কারণ আমরা জানি যে, ব্যবসায় যদি মানবাধিকার চর্চা করা না হয় তবে এটি ভবিষ্যতে (বিদেশি বিনিয়োগের) ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে।

জাতিসংঘ এর আগে মালয়েশিয়ায় বিদেশি কর্মীদের কর্মসংস্থানকে কেন্দ্র করে সংঘটিত অপরাধ এবং মানবপাচারের ঘটনায় জাতিসংঘের উদ্বেগ মালয়েশিয়াকে জানিয়ে দিয়ে বলেছিলো, বিদেশি কর্মীদের নিয়োগকারী সংস্থাগুলো মিথ্যা প্রলোভনে মালয়েশিয়ায় আনছে। যারা অভিবাসন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কর্মসংস্থানের আশা নিয়ে এসেছিলেন তারা দুর্দশাজনক পরিস্থিতিতে পড়েছেন। বিশেষ করে বাংলাদেশি কর্মীদের দুর্দশার দিকেও সম্প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।  

এ প্রসঙ্গে তুর্ক বলেন, অভিবাসন-সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে আলোচনা করার সময় মালয়েশিয়াকে ২০ বছর আগের তুলনায় অনেক বেশি উদারতা লক্ষ্য করেছেন। এবং তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন, মালয়েশিয়া এ সমস্যা সম্পর্কে সচেতন আছে এবং এগুলো মোকাবেলা করতে চায়।

তিনি আরো বলেন, আমি বেশ কয়েকজনের সঙ্গে আলাপ করে জেনেছি, এখানে বন্দিদের জন্য কঠোর ব্যবস্থা বিদ্যমান এবং তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয় যা বেশ উদ্বেগজনক। এসব বিষয়ে তদন্ত করা দরকার। মালয়েশিয়াকে অবশ্যই জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা এবং অন্যান্যদের জন্য ডিটেনশন ক্যাম্পগুলোতে প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে হবে যাতে তাদের উপর আনিত অভিযোগ (নির্যাতন ও দুর্ব্যবহার) পরীক্ষা করে দেখতে পারে।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button