গাড়ি আমদানিতে অপরিবর্তিত শুল্কহার, বাড়বে না দাম
![](https://miprobashi.com/wp-content/uploads/2024/06/1717819342-e3f8abd05c5a2d8c6822a2ef59b736c6-780x470.webp)
প্রস্তাবিত বাজেটে রিকন্ডিশন্ড বা ব্যবহৃত গাড়ি আমদানির ওপর নতুন করে শুল্ক আরোপ ও কমানো—কোনোটাই করা হয়নি। আগের মতোই রাখা হয়েছে। ফলে দেশে গাড়ির দাম নতুন করে আর বাড়বে না। এদিকে গাড়ির কর অপরিবর্তিত থাকায় প্রস্তাবিত বাজেটকে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিকলস ইমপোর্টার্স অ্যান্ড ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বারভিডা)।
বারভিডার তথ্য মতে, মার্সিডিস বেঞ্চ, বিএমডাব্লিউ, প্রাডো, ল্যান্ড ক্রুজারের মতোই বিলাসী পণ্যের তকমা সেঁটে বিদেশ থেকে দেশের বাজারে আসে তুলনামূলক কম দামের এলিয়েন, করোলা, এক্সিওর মতো রিকন্ডিশন্ড গাড়ি। এসব গাড়ির মধ্যে ৬০ শতাংশ আমদানি করা হয় মোংলা বন্দর দিয়ে। বাকি ৪০ শতাংশ আসে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে। বাংলাদেশে আমদানি হওয়া গাড়ির প্রায় ৭৫ শতাংশ রিকন্ডিশন্ড বা পুরনো।
এক থেকে পাঁচ বছরের পুরনো এসব গাড়ি আমদানি খাতে কাস্টমসের শুল্ক বাবদ আয় হয় প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকা। আমদানির বাকি ২৫ শতাংশ গাড়ি ‘ব্র্যান্ড নিউ’। রিকন্ডিশন্ড গাড়ি আমদানি খাতে বিনিয়োগ রয়েছে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা। সাধারণত গাড়ি আমদানিতে ধরন অনুযায়ী মোট মূল্যের ওপর ১০০ থেকে ৫০০ শতাংশ পর্যন্ত সম্পূরক আমদানি শুল্ক দিতে হয়।
এর বাইরে গাড়ির ইঞ্জিনের ক্ষমতার ওপর নির্ভর করে দিতে হয় নানাবিধ সম্পূরক শুল্ক এবং ভ্যাট। গাড়ির দাম ও আমদানি শুল্কের যোগফলের ওপর পরে সম্পূরক শুল্ক বসে।
এদিকে বাজেটের আগে রিকন্ডিশন্ড গাড়ি আমদানিতে অবচয় সুবিধা ৩৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫০ শতাংশ করার প্রস্তাব করেছিল বারভিডা। একই সঙ্গে ১০ থেকে ১৫ সিটের মাইক্রোবাসের সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার করার দাবিও ছিল। এসবের কোনোটিই এবারের প্রস্তাবিত বাজেটে প্রতিফলিত হয়নি।
প্রস্তাবিত বাজেটে গাড়ির ওপর আরোপিত কর প্রস্তাবনা দেশের গাড়ি ক্রেতা, বিক্রেতা ও ব্যবহারকারীদের জন্য ইতিবাচক উল্লেখ করে বারভিডার সভাপতি হাবিব উল্লাহ ডন কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘এই অর্থবছরের বাজেট দেশের বিদেশি গাড়ি আমদানিকারকদের জন্য ইতিবাচক। গত অর্থবছরেও গাড়ির শুল্ক অপরিবর্তিত ছিল। এ বছরও গাড়ির শুল্ক অপরিবর্তিত রয়েছে। এ জন্য আমরা গাড়ি আমদানিকারক ও বিক্রেতারা আনন্দিত।’