অ্যাপলের নতুন এআই টুলে যা থাকবে
সম্প্রতি ডেভেলপার কনফারেন্স ইভেন্টে অ্যাপল ইন্টেলিজেন্স এআই টুলের ঘোষণা করেছে। ইতিমধ্যে চ্যাটজিপিটি ও গুগল জেমিনি এআই টুল নিয়ে কাজ শুরু করে দিয়েছে অ্যাপল। তবে অ্যাপল ইন্টেলিজেন্স দেরি করে শুরু করলেও দুই এআই টুলকে জোরদার টেক্কা দিতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। যার কারণ মূলত দুটি।
প্রথমত, অ্যাপল ইন্টেলিজেন্স প্রতিষ্ঠানের সমস্ত ডিভাইসে (আইফোন, আইপ্যাড ও ম্যাক) ডিফল্ট অ্যাপ হিসাবে পাওয়া যাবে। আর বিশ্বে আইফোন ও ম্যাকের ব্যবহারকারীর সংখ্যা কয়েক কোটি। ব্যবহারের দিক দিয়ে প্রথমেই চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেবে অ্যাপল।
দ্বিতীয়ত, ব্যবহারকারীদের প্রাইভেসিকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে অ্যাপল। অর্থাত্ ব্যবহারকারীদের থেকে যতটা সম্ভব কম তথ্য নিয়ে সর্বোচ্চ সেবা দেওয়া। কেননা পাওয়ার ক্লাউড কম্পিউট নামক এক সিস্টেম দ্বারা ব্যবহারকারীদের ডাটা সুরক্ষিত রাখবে প্রতিষ্ঠানটি।
অ্যাপল ইন্টেলিজেন্স দিয়ে যা যা করা যাবে
অন্য আর পাঁচটা এআই টুল যা যা করে অ্যাপল ইন্টেলিজেন্সে তাই করা যাবে। প্রাথমিকভাবে এআই রাইটিং, ইমেজ এডিটিং ইত্যাদি কাজ করা যাবে। চ্যাটজিপিটি, গুগল জেমিনির মতো এটিও জেনারেটিভ এআই দ্বারা তৈরি একটি লার্জ ল্যাঙ্গুয়েজ মডেল (এলএলএম) তবে প্রতিষ্ঠানটির দাবি, অ্যাপল ইন্টেলিজেন্স অনেক দ্রুত এবং উন্নত।
ব্যবহারকারীদের প্রাইভেসি নিয়ে অ্যাপল নানা দাবি করলেও ব্যবহারকারীদের বেশ কিছু ডাটা সংগ্রহ করবে প্রতিষ্ঠানটি। এর মধ্যে রয়েছে মেসেজ, লোকেশন, ক্যালেন্ডার, ম্যাপ, ফোন কল, ছবি ইত্যাদি। এই সমস্ত ব্যক্তিগত ডাটা বুঝেই ব্যবহারকারীকে তার চাহিদামতো সেবা দিতে পারবে অ্যাপল ইন্টেলিজেন্স। তবে সেসব ডাটা মনিটরিংয়ের কিছু নিয়ন্ত্রণ ব্যবহারকারীদের কাছেও থাকবে। যা তারা ডিজেবল করে রাখতে পারেন।
ব্যক্তিগত অ্যাসিস্টেন্ট
অ্যাপল ইন্টেলিজেন্স আইফোন, আইপ্যাড কিংবা ম্যাক ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত অ্যাসিস্টেন্ট হয়ে উঠবে। ইউজারের যা যা নোটিফিকেশন আসে এবং মেসেজগুলো প্রায়োরিটি অনুযায়ী লিস্ট করবে এবং সামনে উপস্থাপন করবে। এছাড়াও ব্যবহারকারীদের প্রোডাক্টিভিটি বাড়ানোর ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা থাকবে।