লোডশেডিংয়ের কবলে উত্তরের ১৭ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কোটি গ্রাহক, চাহিদার তুলনায় বরাদ্দ কম সঞ্চালন লাইনে ত্রুটি
লোডশেডিংয়ের কারণে উত্তরাঞ্চলের ১৭ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রায় ১ কোটি গ্রাহকের দুর্ভোগ চরমে। কয়েকদিনের বৃষ্টির পর তিন দিন ধরে প্রচন্ড তাপদাহ চলছে এ অঞ্চলে। এ অবস্থায় পল্লী বিদ্যুতের ঘন ঘন যাওয়া-আসার কারণে গ্রাহকের মাঝে চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। লোডশেডিংয়ের কারণে অনেকে কোরবানির মাংসসহ প্রয়োজনীয় জিনিস ফ্রিজে রাখতে পারছেন না। অনেকে অভিযোগ করছেন, লোডশেডিংয়ের কারণে ফ্রিজসহ অন্যান্য বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিগুলো বলছে, চাহিদার তুলনায় বরাদ্দ কম পাওয়ায় লোডশেডিং করতে হচ্ছে। এ ছাড়া প্রায়ই বৈদ্যুতিক লাইনে ত্রুটি দেখা দিচ্ছে। এসব কারণে ঠিকমতো বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যাচ্ছে না।
সূত্রে জানা গেছে, প্রতিটি সমিতির আওতায় গড়ে ৫ থেকে ৭ লাখ গ্রাহক এবং ৮ থেকে ১০ হাজার কিলোমিটারের বেশি বৈদ্যুতিক লাইন রয়েছে। প্রতিটি সমিতিতে বিদ্যুতের চাহিদা গড়ে ৭০ থেকে ১২০ মেগাওয়াট পর্যন্ত। কিন্তু চাহিদার আনেক কম বিদ্যুৎ পাচ্ছে সমিতিগুলো। রংপুরের শঠিবাড়ী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আওতায় গ্রাহক রয়েছে ৬ লাখের ওপর। এ সমিতিতে প্রতিদিনের চাহিদা ১১০ থেকে ১২০ মেগাওয়াট। কিন্তু বর্তমানে বরাদ্দ পাওয়া যাচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ মেগাওয়াট। ঘাটতি থেকে যাচ্ছে ৩০-৪০ মেগাওয়াট। একই অবস্থা উত্তরাঞ্চলের ১৭ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির। রংপুরের হারাগাছ এলাকার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির গ্রাহক রমজান আলী, রফিকুল ইসলাম, সিরাজুল ইসলাম; মিঠাপুকুরের হাবিবুর রহমানসহ অনেকে অভিযোগ করেন-প্রতিদিন গড়ে ১০-১২ বার লোডশেডিং হচ্ছে। বিদ্যুৎ না থাকায় ফ্রিজসহ বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ফ্রিজে রাখা বিশেষ করে কোরবানির মাংস নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এদিকে কয়েকদিন থেকে আবারও তাপপ্রবাহ শুরু হওয়ায় গ্রাহকের অস্বস্তি আরও বেড়েছে। সবচেয়ে বেশি সমস্যা হচ্ছে বয়স্ক ও শিশুদের। শঠিবাড়ী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার আবুল হাসান জানান, চাহিদার তুলনায় বরাদ্দ কিছুটা কম পাওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। বরাদ্দ ঠিকমতো পেলে গ্রাহকের আর সমস্যা থাকবে না।