‘ভারতের ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে মার্কিন সরকারের প্রতিবেদন গভীরভাবে পক্ষপাতদুষ্ট’
ভারতের ধর্মীয় স্বাধীনতার বিষয়ে মার্কিন সরকারের একটি প্রতিবেদনের সমালোচনা করে এটিকে ‘গভীরভাবে পক্ষপাতদুষ্ট’ বলে উল্লেখ করলো বিদেশ মন্ত্রক। শুধু তাই নয়, দেশের সামাজিক কাঠামো সম্পর্কে আমেরিকার বোঝার অভাব রয়েছে বলে মনে করে ভারত সরকার। ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘অতীতের মতো, প্রতিবেদনটি গভীরভাবে পক্ষপাতদুষ্ট, ভারতের সামাজিক কাঠামো সম্পর্কে বোঝার অভাব রয়েছে এবং দৃশ্যত ভোটব্যাংক বিবেচনা ও একটি বিশেষ দৃষ্টিভঙ্গি দ্বারা চালিত হয়েছে। তাই আমরা তা প্রত্যাখ্যান করছি।’
জয়সওয়ালের কথায়, “এই রিপোর্ট তৈরির প্রক্রিয়া ত্রুটিপূর্ণ, একপেশে। আগে থেকে তৈরি করা একটি ভাষ্যকে মান্যতা দিতে আমাদের সাংবিধানিক নীতি এমনকি, দেশের আইনকেও ওরা নিজের মতো করে গড়ছে। কিছু কিছু জায়গায় রিপোর্টে আমাদের আইনের মান্যতা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে। ভারতীয় আদালতের কিছু রায়ের সততাকেও চ্যালেঞ্জ করেছে এই রিপোর্ট।”
বিশ্বব্যাপী ধর্মীয় স্বাধীনতার উপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বার্ষিক প্রতিবেদনে ভারতের ধর্মান্তর বিরোধী আইন, ঘৃণামূলক বক্তব্য, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাসস্থান ও ধর্মীয় স্থানগুলির ওপর হামলার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এন্টনি ব্লিঙ্কেন এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘ভারতে, আমরা ধর্মান্তর বিরোধী আইন, ঘৃণামূলক বক্তব্য, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্যদের বাড়িঘর এবং উপাসনালয় ধ্বংসের মতো ঘটনার বৃদ্ধি দেখতে পাচ্ছি।’
মার্কিন রিপোর্টকে প্রত্যাখ্যান করে জয়সওয়াল বলেন, ‘ভারত ২০২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রে সংঘটিত ঘৃণা অপরাধের একাধিক ঘটনা সে দেশের সরকারের নজরে এনেছিল। সন্ত্রাসবাদে উসকানি দেওয়ার অভিযোগও এনেছিল।’ তিনি বলেন, ‘এ ধরনের আলোচনার অর্থ অন্য দেশে নাক গলানোর অধিকার দেওয়া নয়।’ গত বছরও যুক্তরাষ্ট্রের ধর্মীয় স্বাধীনতাসংক্রান্ত প্রতিবেদনে ভারতের বহুত্ববাদী রাজনীতির ওপর আক্রমণ, ধর্মাচরণের অধিকার খর্ব করা, সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা হ্রাস নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছিল। তখনো ভারত বলেছিল, ওই প্রতিবেদন ভুল তথ্যের ভিত্তিতে তৈরি।
সেটিও পক্ষপাতপূর্ণ ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলা হয়েছিল। এবারও তেমনই প্রতিক্রিয়া দিল ভারত।