ইউনূসের মামলা ‘শ্রম আইন অপব্যবহারের’ উদাহরণ হতে পারে মনে করছে যুক্তরাষ্ট্র সরকার
শান্তিতে নোবেলজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলাগুলো বাংলাদেশে শ্রম আইন অপব্যবহারের উদাহরণ হিসেবে ব্যবহার হতে পারে বলে মনে করছে যুক্তরাষ্ট্র সরকার। তারা এই মামলার অগ্রগতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এ মন্তব্য করেন মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার। প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন, ইউনূসের বিষয়ে, তার বিরুদ্ধে করা মামলার অগ্রগতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। অনেক দিন ধরে আমরা উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছি যে, এই মামলাগুলো ড. ইউনূসকে হয়রানি ও ভীতি প্রদর্শনের জন্য বাংলাদেশের শ্রম আইন অপব্যবহার হিসেবে উদাহরণ হতে পারে। উল্লেখ্য, প্রফেসর ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘন এবং কর্মীদের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে আদালতে মামলা চলছে। এর মধ্যে শ্রম আইন লঙ্ঘনের এক মামলায় জানুয়ারির শুরুতে গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনকে ছয় মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। আগামী ১৫ই জুলাই এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য তারিখ থাকার মধ্যে অভিযোগ গঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করেছেন প্রফেসর ড. ইউনূস।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, শ্রম ও দুর্নীতিবিরোধী আইনের অপব্যবহার হচ্ছে বলে ধারণা তৈরি হলে তা আইনের শাসনকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে এবং সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) কমিয়ে দিতে পারে বলে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক অংশীদার হিসেবে আমরা উদ্বিগ্ন।
ব্রিফিংয়ে স্টেট ডিপার্টমেন্ট করেসপন্ডেন্ট মুশফিকুল ফজল আনসারীর এক প্রশ্নের জবাবে মিলার বলেন, আমি মনে করি এটা নিয়ে আমার বলার মতো আদৌ কিছু নেই। আমি যেটা বুঝাতে পারছি সেটা হলো, এটা ১২ বছর আগের ঘটনা। ১২ বছর আগে হিলারি ক্লিনটন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন।
না, এটা নিয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই।
ব্রিফিংয়ে ড. ইউনূস ইস্যুতে অন্য এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে মিলার বলেন, ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাগুলো আমরা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। প্রায় সময়ই আমরা উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছি, বাংলাদেশের অন্যতম অর্থনৈতিক অংশীদার ড. ইউনূসকে হয়রানি এবং ভয় দেখাতে শ্রম আইনের অপব্যবহার করা হতে পারে। আমরা এটা ভেবে উদ্বিগ্ন যে শ্রম এবং দুর্নীতি দমন আইনের অপব্যবহার আইনের শাসনকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে এবং ভবিষ্যতে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত করবে।