ইসরাইলের প্রতি অস্ত্র নিষেধাজ্ঞার আহ্বান করে মার্কিন ইহুদিদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসন ও গণহত্যার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটল হিলে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে ইহুদি ভয়েস ফর পিস (জেভিপি) সদস্যরা। মঙ্গলবার ক্যপিটলের ক্যানন হাউস ভবনের ভিতরে সমবেত লাল টি-শার্ট পরিহিত প্রতিবাদকারীদের তারা তাদের সেøাগান ছিল, ‹গাজাকে বাঁচতে দিন।›
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বিন্ইয়ামিন নেতানিয়াহু যুক্তরাষ্ট্রের উভয় প্রধান রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নীতি নির্ধারকদের আমন্ত্রণে কংগ্রেসে বক্তৃতা দেওয়ার এক দিন আগে এই বিক্ষোভ হয়। জেভিপি-এর নেতৃত্বে বিক্ষোভকারী লিভ কুনিন্স-বারকোভিটজ বলেন, ‹এটি ইতিহাসের একটি মুহূর্ত যেখানে আমাদের বলতে হবে যে আমরা ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার পক্ষে দাঁড়িয়েছি। আমরা এই গণহত্যার অবসান ঘটাতে দাঁড়িয়েছি।’
নেতানিয়াহুর সরকার নয় মাসেরও বেশি সময় ধরে গাজায় হত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে। রাজনীতি ও মানবাধিকার বিশেষজ্ঞরা ফিলিস্তিনি ভূখ-ে ইসরাইল কর্তৃক গণহত্যার সতর্কবার্তা দিচ্ছেন। গত ৭ অক্টোবরের পর থেকে এপর্যন্ত ইসরায়েলি আক্রমণে নারী ও শিশুসহ ৩৯হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। তা সত্ত্বেও, বাইডেন সরকার ইসরায়েলের সমর্থনে আপসহীন রয়ে গেছে। উল্লেখ্য, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন ইসরায়েলকে ১হাজার ৪শ’ কোটি ডলারেরও বেশি সামরিক সহায়তা অনুমোদন করার পাশাপাশি অস্ত্র ও বোমার একটি অবিচ্ছিন্ন সরবরাহ বজায় রেখেছে। এছাড়া, যুক্তরাষ্ট্র জাতিসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের যুদ্ধবিরতির আহ্বান সংক্রান্ত তিনটি প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছে।
অধিকার কর্মী রাবাই অ্যাবি স্টেইন বলেছেন যে, মার্কিন কর্মকর্তারা যেখানে যুদ্ধবিরতিকে ‹বুলি কপচানো সেবা’ দিচ্ছেন, বিক্ষোভকারীরা সেখানে যুদ্ধের প্রকৃত অবসান এবং ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অস্ত্র নিষেধাজ্ঞার আহ্বান জানাচ্ছেন। তিনি আল জাজিরাকে বলেন, ‹আমি জানি যে যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলে শত শত কোটি ডলারের অস্ত্র পাঠালে আমরা কেউই নিরাপদ থাকব না। এটি আমাদের চোখের সামনে উন্মোচিত হওয়া সবচেয়ে জঘন্যতম নৃশংসতার একটি। এটি বন্ধ করার জন্য আমরা যা যা করতে পারি, তা নিশ্চিত করতে আমরা আজ এখানে এসেছি।’