জনরোষে পালিয়েছেন শেখ হাসিনা ও রেহানা, বক্তব্য রেকর্ড করার সুযোগ দেয়া হয়নি: এএফপির রিপোর্ট
জনরোষের মুখে রাজধানী ঢাকা থেকে পালিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র এ খবর নিশ্চিত করেছেন বার্তা সংস্থখা এএফপির কাছে। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানসা প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণভবন থেকে নিরাপদে পালিয়ে গেছেন। পালানোর আগে তিনি একটি বক্তব্য রেকর্ড করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাকে সেই সুযোগ দেয়া হয়নি। ওদিকে কারফিউ উপেক্ষা করে লাখ লাখ প্রতিবাদী মানুষ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ দাবি করছিলেন। তারা জীবনমৃত্যুর ভয় উপেক্ষা করে রাজধানী ঢাকার রাজপথে নেমে আসেন। এমনকি প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণভবনে প্রবেশ করেছেন। ঢাকার রাস্থায় সেনাবাহিনী ও পুলিশের সাঁজোয়া যান আছে। প্রধানমন্ত্রী বাসভবন গণভবনের কাঁটাতারের ব্যারিকেট ভেঙে ফেলেন তারা।
বিজ্ঞাপন রাস্তায় জনতার ঢল নেমেছে।
স্থানীয় মিডিয়া বলেছে, ঢাকার রাজপথে অগণিত মানুষ নেমে পড়েছে। তাদের সংখ্যা গণনা করা সম্ভব না। রোববার কমপক্ষে ১০০ মানুষ নিহত হওয়ার পর সোমবার সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামান জাতির উদ্দেশ্যে বক্তব্য দেয়ার ঘোষণা দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষ রাস্তায় নেমে আসেন। এএফপিকে একজন সিনিয়র উপদেষ্টা বলেছেন, শেখ হাসিনার ক্ষমতা কেড়ে নেয়া বন্ধ করতে দেশের নিরাপত্তা রক্ষাকারীদের অনুরোধ করেছিলেন শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়। কিন্তু তার জবাবে কি বলা হয়েছে তা জানাতে পারেননি ওই সূত্র। শেখ হাসিনা পদত্যাগ করবেন কিনা এ বিষয়ে জানতে চাওয়ার পরই তার পদত্যাগের সম্ভাব্যতা ছড়িয়ে পড়ে। শেখ হাসিনা ২০০৯ সাল থেকে টানা ১৫ বছর ক্ষমতায় ছিলেন। এর মধ্যে গত মাসে সরকারি চাকরিতে কোটা বিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে ওঠে বাংলাদেশ। তা এতটাই ভয়াবহ আকার ধারণ করে যে, ৭৬ বছর বয়সী এই প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগে বাধ্য হন। প্রতিবাদ বিক্ষোভ এতটাই ভয়াবহ আকার ধারণ করে যে পুরো দেশকে তা গ্রাস করে। আন্দোলনে নেমে আসেন বাংলাদেশের সব পেশার মানুষ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে ব্যাঙ্গ করে র্যাপ গান।