আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহারসহ নেওয়া হলো ৫ সিদ্ধান্ত: আইন মন্ত্রণালয়ে সভা
ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমন করার জন্য হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার ব্যবস্থা করাসহ পাঁচটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইন বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
আজ শনিবার আইন মন্ত্রণালয়ে আইন ও বিচার বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সভা করে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে অন্তর্বর্তী সরকারের শপথের পর আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল আজ প্রথম সচিবালয়ে আসেন।
গত ১ জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলন শুরু হয়। একপর্যায়ে এটি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পরিণত হয়। ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ করে পালিয়ে যাওয়ার মাধ্যমে শেষ হয়দ ছাত্র-জনতার আন্দোলন। এই আন্দোলনে সারাদেশে তিনশ’র বেশি মানুষ মারা যান।
সভায় নেওয়া বাকি চারটি সিদ্ধান্ত হলো-
১. গত ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমন করতে যেসব ফৌজদারি মামলা হয়েছে, সেগুলো আগামী ৩ কর্মদিবসের মধ্যে প্রত্যাহারের পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
২. শিশু-কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে যেসব শিশু-কিশোর মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলায় আটক রয়েছে, তাদের আগামী ৩ কর্মদিবসের মধ্যে ছেড়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
৩. সন্ত্রাস দমন আইন এবং সাইবার নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলাগুলো দ্রুত প্রত্যাহার করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
৪. আইন ও বিচার বিভাগের ১৬৪৩০ নম্বরে (সরকারি আইনগত সহায়তার টোল ফ্রি জাতীয় হেল্পলাইন নম্বর) মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলার ক্ষেত্রে সহায়তা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।