যে ভাষণ বাইডেন কখনও দিতে চাননি
যখন সোমবার রাতে শিকাগোর ইউনাইটেড সেন্টারের দর্শক-সমর্থকরা উচ্চ স্বরে বলছিলেন, ‘তোমাকে ধন্যবাদ, জো!’, তখন প্রেসিডেন্ট বাইডেন মঞ্চ থেকে নিচের দিকে তাকিয়ে চোখের পানি ধরে রাখতে পারলেন না। ডোমোক্রেটিক পার্টির হাজার হাজার কর্মী-সমর্থকের সামনে তিনি কেঁদেছেন। বাইডেন নভেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর বয়স নিয়ে দলের অভ্যন্তরে বিরোধিতার মুখে সরে দাঁড়াতে বাধ্য হন।
দ্য নিউইয়র্ক টাইমস জানায়, সোমবার রাতে ডেমোক্রেটিক পার্টির জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধনী দিনে প্রায় এক ঘণ্টা ধরে বক্তব্য দেন বাইডেন। এতে তিনি রিপাবলিকান পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের কঠোর সমালোচনা করেন। পাশাপাশি তিনি দলের মনোনীত প্রার্থী কমলা হ্যারিসের প্রতি জোরালো সমর্থন দেন। এ সময় সম্মেলন কক্ষে নানা স্লোগান উঠতে থাকে।
ভাষণে বাইডেন বলেন, ২০২০ সালে কমলাকে ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে বেছে নেওয়াটা ছিল তাঁর পুরো রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের সবচেয়ে ভালো সিদ্ধান্ত। কমলা হবেন সেই ঐতিহাসিক প্রেসিডেন্ট, যিনি যুক্তরাষ্ট্রের ভবিষ্যতে তাঁর অবদান রেখে যাবেন। ভাষণে গাজা যুদ্ধের অবসান ঘটিয়ে জিম্মিদের ফিরিয়ে নেওয়ার অঙ্গীকার করেন বাইডেন। তিনি বলেন, ‘আমি জিম্মিদের বাড়িতে ফিরিয়ে আনতে, গাজায় যুদ্ধের অবসান ঘটাতে এবং মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ও নিরাপত্তা আনতে কাজ করে যাব।’ বাইডেন বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র, আমি তোমাকে আমার সেরাটাই দিয়েছি। সম্মেলনে ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন ও বাইডেন কন্যা অ্যাশলে বাইডেনও বক্তব্য দেন।
রয়টার্স জানায়, গাজা যুদ্ধে ইসরায়েলের প্রতি অব্যাহতভাবে সমর্থন জানানোয় ডেমোক্রেটিক পার্টির জাতীয় সম্মেলন চলাকালে শিকাগোতে বিক্ষোভ করেছেন হাজার হাজার ফিলিস্তিনি সমর্থক। সোমবার সম্মেলনস্থল ইউনাইটেড সেন্টারের পাশে ইউনিয়ন পার্কে তারা বিক্ষোভ করেন। প্রথমে শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ চললেও পরে কয়েকজন বিক্ষোভকারী নিরাপত্তাবেষ্টনীর কিছু অংশ ভেদ করেন। তবে নিরাপত্তায় বিপুল সংখ্যক দাঙ্গা পুলিশ মোতায়েন থাকায় তারা ভেতরে যেতে পারেননি। এ ঘটনায় অন্তত চার বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ২০০টির বেশি সংগঠন এ কর্মসূচিতে অংশ নেয়। বিক্ষোভকারীরা ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী কমলা হ্যারিসকে ‘খুনি কমলা’ বলেও স্লোগান দেন।