যে কারণে বিতর্কে অংশ না নেওয়ার সম্ভাবনা ট্রাম্পের: যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচন
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী ডিমোক্র্যাটিক প্রার্থী কমলা হ্যারিসের সঙ্গে আগামী মাসে নির্ধারিত একটি টেলিভিশন বিতর্কে অংশ নেওয়া নিয়ে দ্বিধা প্রকাশ করেছেন। যে টেলিভিশন চ্যানেল এ বিতর্কের আয়োজন করেছে, সেটির বিরুদ্ধে তিনি ‘ভুয়া সংবাদ’ প্রচারের অভিযোগ এনেছেন। আগামী ১০ সেপ্টেম্বর এ দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর এবিসি টেলিভিশনে মুখোমুখি হওয়ার কথা রয়েছে।
মঙ্গলবার দ্য গার্ডিয়ান অনলাইন জানায়, ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যাল নেটওয়ার্কে গত রোববার রাতে কমলার সঙ্গে বিতর্ক বয়কটের হুমকি দেন। এদিন এবিসি নিউজের উপস্থাপক জনাথন কার্ল আরাকানসাস অঙ্গরাজ্যের মার্কিন সিনেটর টম কটনের একটি সাক্ষাৎকার নেন। ‘দিস উইক’ নামের অনুষ্ঠানের সাক্ষাৎকারটির সমালোচনা করে ট্রাম্প এবিসি নেটওয়ার্কের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
ট্রাম্প লিখেছেন, ‘আমি আজ সকালে এবিসির ভুয়া সংবাদ দেখলাম। হালকাপাতলা (উপহাসের সুরে) উপস্থাপক জনাথন কার্লের পক্ষপাতিত্বমূলক সাক্ষাৎকার টম কটনের সঙ্গে; ট্রাম্পবিদ্বেষীদের তথাকথিত প্যানেল। আমার প্রশ্ন হলো– আমি কেন এ নেটওয়ার্কে বিতর্ক করতে যাব?’
আরেকটি ঘটনায় ‘দিস উইক’ অনুষ্ঠানের উপস্থাপক জর্জ স্টিফানোপৌলসের বিরুদ্ধে মানহানির মামলারও প্রস্তুতি নিচ্ছেন ট্রাম্প। স্টিফানোপৌলস বলেছিলেন, যৌন হেনস্তা নয়, ট্রাম্প ‘ধর্ষণের জন্য অভিযুক্ত’ হয়েছিলেন। রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ট্রাম্প যে শুধু এবিসি নিউজের সমালোচনা করেছেন, এমন নয়। এর আগে তিনি সিএনএনসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে ‘ভুয়া সংবাদ’ প্রচারের অভিযোগ তোলেন।
চলমান পরিস্থিতিতে জনমত জরিপে ট্রাম্পের চেয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন কমলা হ্যারিস। সর্বশেষ প্রায় সব জরিপেই তাঁকে এগিয়ে রাখা হয়েছে। গত ১৮ থেকে ২২ আগস্ট পর্যন্ত চালানো অ্যাঙ্গুস রেইড গ্লোবালের জরিপে ৫ শতাংশ এগিয়ে ছিলেন কমলা। ট্রাম্প যেখানে ৪২ শতাংশ জনসমর্থন পান, কমলা পেয়েছেন ৪৭ শতাংশ। ডিকিনসন ইউনিভার্সিটির জরিপে ৫০ শতাংশ ভোটার কমলার প্রতি সমর্থন জানান; ট্রাম্পকে সমর্থন দিয়েছেন ৪৩ শতাংশ মার্কিনি।