ইমরানের দলের নেতাদের বিরুদ্ধে রাতভর ধরপাকড় অভিযান
পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের বেশ কয়েকজন নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছ। তাদের মধ্যে আছেন দলের চেয়ারম্যান গহর আলী খান। মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) পিটিআইয়ের গণমাধ্যম সেলের এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। খবর ডনের।
পিটিআই জানিয়েছে, সোমবার রাতে দেশটির আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দলীয় নেতাদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চালায়।
এর আগে গত রোববার ইসলামাবাদের উপকণ্ঠে পিটিআই একটি বিক্ষোভ সমাবেশ আয়োজন করে। সমাবেশের শেষের দিকে পুলিশের সঙ্গে পিটিআই কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এই ঘটনার পরের দিন রাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পিটিআই কর্মীদের বিরুদ্ধে ধরপাকড় চালায়।
পিটিআইয়ের প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান গত বছরের আগস্ট মাস থেকে কারাগারে রয়েছেন। তার অবিলম্বে মুক্তির দাবিতে গত রোববার পিটিআই এই বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করেছিল, যেখানে সরকারকে ইমরান খানকে মুক্তি দিতে দুই সপ্তাহের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়।
সোমবার রাত ১১টার দিকে পিটিআই নেতা গহর আলী খান, শের আফজাল মারওয়াত, ওয়াজিরিস্তানের আইনপ্রণেতা জুবাইর খান, এবং আইনজীবী শোয়াইব শাহীনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আজকের বিবৃতিতে পিটিআই জানিয়েছে, এ পর্যন্ত ১২ জন নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গহর আলী খান ছাড়াও গ্রেপ্তার হওয়াদের মধ্যে আছেন আমির দোগার। এছাড়াও সুন্নি ইত্তেহাদ কাউন্সিলের প্রধান সাহেবজাদা হামিদ রাজাকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গহর আলী খান ও আফজাল মারওয়াতকে পার্লামেন্ট ভবনের বাইরে থেকে আলাদা আলাদাভাবে নিরাপত্তা হেফাজতে নেওয়া হয়। জাতীয় পরিষদের অধিবেশন শেষে বাইরে বের হওয়ার পর পুলিশ তাদের গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়।
শোয়াইব শাহীনকে পৃথক এক অভিযানে তার কার্যালয় থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, গ্রেপ্তার ঠেকাতে তার কার্যালয়ের কর্মীরা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন, তবে শেষ পর্যন্ত তাদেরও নিরাপত্তা হেফাজতে নেওয়া হয়।
পিটিআই নেতা জেইন কুরেশি, জারতাজ গুল, ওমর আইয়ুব, শেখ ওয়াকাস আকরাম, এবং সিমাবিয়া তাহিরকেও গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ খুঁজছে। গ্রেপ্তার আতঙ্কে তাদের মধ্যে কেউ কেউ পার্লামেন্ট ভবনে আশ্রয় নিয়েছেন।