International

ন্যাটো জোটের বিরুদ্ধে ‘যুদ্ধের হুঁশিয়ারি’ পুতিনের

ন্যাটো জোটের নেতাদের ‘যুদ্ধের হুঁশিয়ারি’ দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি বলেন, রাশিয়ার অভ্যন্তরে হামলার জন্য ইউক্রেনের দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার পদক্ষেপ ‘যুদ্ধ’ হিসেবে বিবেচিত হবে। বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে এসব কথা বলেন রুশ প্রেসিডেন্ট। খবর সিএনএনের।

ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, ‘ইউক্রেনের ওপর থেকে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার অর্থ হচ্ছে ন্যাটোভুক্ত দেশগুলো (যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় দেশ) রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত। তার জবাবে আমরা যথাযথ সিদ্ধান্ত নেব।

পুতিনের এই মন্তব্য এমন এক সময় এলো যখন রাশিয়ার সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার জন্য পশ্চিমা প্রদত্ত দূরপাল্লার অস্ত্র ব্যবহারে ইউক্রেনীয় বাহিনীকে অনুমতি দেওয়ার সম্ভাবনার তৈরি হচ্ছে।

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে আলোচনার জন্য আজ শুক্রবার ওয়াশিংটনে পৌঁছেছেন। ধারণা করা হচ্ছে, রাশিয়ার লক্ষ্যবস্তুতে পশ্চিমা অস্ত্র ব্যবহারের বিষয়টি তাদের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে।

সম্প্রতি কিয়েভ সফরে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন ন্যাটো অংশীদারদের মধ্যে কৌশলগত পরিবর্তনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে হোয়াইট হাউজ বিধিনিষেধ প্রত্যাহারের বিষয়টি বিবেচনা করছে বলে জানিয়েছেন।

ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রি সিবিহা এবং ব্রিটেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামির পাশে দাঁড়িয়ে ব্লিংকেন বলেন, প্রথম দিন থেকেই আপনারা আমাকে বলতে শুনেছেন, আমরা চাহিদার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছি এবং যুদ্ধক্ষেত্র পরিবর্তিত হয়েছে। আমার কোনো সন্দেহ নেই যে এ যুদ্ধ আমরা চালিয়ে যাব।

২০২৩ সালের অক্টোবরে যুক্তরাষ্ট্র প্রথম ইউক্রেনকে দূরপাল্লার আর্মি ট্যাকটিক্যাল মিসাইল সিস্টেম (এটিএসিএমএস) ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করে। যার সর্বোচ্চ পাল্লা প্রায় ১৮০ মাইল (২৯০ কিলোমিটার)। কিয়েভ দীর্ঘদিন ধরে তার পশ্চিমা সমর্থকদের অস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে যা রাশিয়ার ভূখণ্ডের অভ্যন্তরে পৌঁছানোর সুযোগ দেবে।

সম্প্রতি সিএনএনের অ্যালেক্স মারকোয়ার্ডকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রুস্তম উমেরভ বলেছেন, ইউক্রেনের শহরগুলোতে আঘাত হানার জন্য রাশিয়া যেসব বিমানঘাঁটি ব্যবহার করে সেগুলো ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সীমার মধ্যে রয়েছে। 

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button