যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচন: আলাস্কায় ট্রাম্পকে পেছনে ফেললেন কমলা
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আলাস্কা রাজ্যে ডেমোক্রেটিক প্রার্থী কমলা হ্যারিস রিপাবলিকান মনোনীত প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের চেয়ে এগিয়ে আছেন। আলাস্কা এমন একটি রাজ্য, যেখানে ছয় দশক ধরে ডেমোক্রেটিক প্রেসিডেন্ট প্রার্থীরা জয়ী হতে পারেননি। ৬০ বছর আগে ১৯৬৪ সালে এ রাজ্যে ডেমোক্রেটিক প্রেসিডেন্ট হিসেবে লিন্ডন বি. জনসন জয়ী হয়েছিলেন। এর পর থেকে প্রতিটি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এ রাজ্যে জিতেছে রিপাবলিকান পার্টি।
২০১৬ এবং ২০২০ সালের মধ্যে আলাস্কায় ট্রাম্পের পয়েন্ট কমে যায়। হিলারি ক্লিনটনের বিরুদ্ধে তাঁর প্রথম নির্বাচনে, তিনি প্রায় ১৫ পয়েন্টে এগিয়ে ছিলেন। কিন্তু প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বিরুদ্ধে নানা অরাজকতায় অংশ নেওয়ায় তাঁর পয়েন্ট ১০ শতাংশ নেমে যায়। তবে ২০২২ সালের মধ্যবর্তী নির্বাচনে আলাস্কানরা ট্রাম্পের পছন্দের সিনেট এবং হাউস প্রার্থীদের সমর্থন করেছিল। এবিসি নিউজে কমলা ও ট্রাম্পের মধ্যে বিতর্কের পরে ১১ থেকে ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আলাস্কা সার্ভে রিসার্চ নতুন জরিপ চালায়। সেখানে দেখা যায়, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্যের সম্ভাব্য ভোটাররা ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলাকে ট্রাম্পের চেয়ে ৫ পয়েন্টে এগিয়ে রেখেছেন। এখানে কমলাকে সমর্থন জানিয়েছে ৫১ শতাংশ, অন্যদিকে ট্রাম্পের সমর্থন ছিল ৪৭ শতাংশের।
এদিকে নভেম্বরের নির্বাচনে জয়ী হলে তিনিই হবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম অশ্বেতাঙ্গ ও দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত নারী প্রেসিডেন্ট। তবে নির্বাচনী প্রচারণার সময় এ বিষয়গুলোতে তেমন জোর দিচ্ছেন না কমলা। বরং নিজের দক্ষতা-অভিজ্ঞতা ও পরিকল্পিত নীতিমালা নিয়ে কথা বলছেন। ভোটারদের মনোযোগ আকর্ষণে প্রেক্ষাপট বুঝে নিজের পূর্বপুরুষের কথা উল্লেখ করলেও, বিষয়টিকে কখনোই বক্তব্যে প্রাধান্য দেন না তিনি। বরং তাঁর পরিকল্পিত নীতিমালা, দক্ষতা ও ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিজের সাফল্যের বিষয়গুলো উল্লেখ করেন তিনি।
অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দেশটির ক্যাথলিক খ্রিষ্টান ভোটারদের ভোটদানের আহ্বান জানিয়েছেন পোপ ফ্রান্সিস। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সমালোচনা থাকলেও অপেক্ষাকৃত কম খারাপ প্রার্থীকে বেছে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। এ সময় তিনি দুই প্রার্থী কমলা হ্যারিস ও ডোনাল্ড ট্রাম্প উভয়কেই ‘প্রাণের বিরুদ্ধের’ মানুষ বলে আখ্যা দেন।