ইসরায়েলের মূর্তিমান আতঙ্ক লেবাননের ‘ব্ল্যাক ইউনিট’
হিজবুল্লাহর ইউনিট ৯১০। বৈশ্বিক কার্যক্রম পরিচালনা করা এটি ‘ব্ল্যাক ইউনিট’ বা ‘শ্যাডো ইউনিট’ নামেও পরিচিত। লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠীটির প্রধান হাসান নাসরাল্লাহকে হত্যার পর তারা বিশ্বজুড়ে ইসরায়েল ও ইহুদি স্বার্থের জন্য তাৎক্ষণিক হুমকি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।
আলমা রিসার্চ সেন্টার জানিয়েছে, স্বল্প নোটিশে উল্লেখযোগ্য প্রতিশোধমূলক আক্রমণ চালাতে সক্ষম ইউনিটটি অতীতে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ, আফ্রিকা ও এশিয়ায় কাজ করেছে। প্রায় ৩২ বছর আগে সাবেক হিজবুল্লাহ নেতা আব্বাস আল-মুসাভিকে হত্যার পর ইউনিট ৯১০ সফলভাবে প্রতিশোধমূলক হামলা চালিয়েছিল। খবর জেরুজালেম পোস্টের।
ইউনিট ৯১০ হিজবুল্লাহর সবচেয়ে গোপন ও বিপজ্জনক শাখাগুলোর একটি। তাদের নেতৃত্ব দেন তালাল হামিয়া। যিনি আবু জাফর নামেও পরিচিত। ইউনিটটির সদস্যরা ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের সঙ্গেও ঘনিষ্ঠভাবে সংযুক্ত।
আলমা রিসার্চ সেন্টারের তথ্য অনুসারে, ইউনিটটি ১৯৯২ সালে বুয়েনস আয়ারসে ইসরায়েলি দূতাবাস ও ১৯৯৪ সালে আর্জেন্টিনায় ইহুদি কমিউনিটি সেন্টারে হামলাসহ বেশ কয়েকটি হাই-প্রোফাইল হামলায় জড়িত ছিল। ২০১২ সালে বুলগেরিয়ায় ইসরায়েলি পর্যটকদের বহনকারী একটি বাসেও হামলা চালিয়েছিল। সাম্প্রতিক দশকগুলোয় ইউনিট ৯১০-এর কার্যক্রম যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ ছাড়াও দক্ষিণ আমেরিকা, আফ্রিকা ও এশিয়াকে কেন্দ্র করে পরিচালিত হয়েছে।
আলমা রিসার্চ সেন্টারের গবেষক তাল ব্যারি আন্তর্জাতিক আক্রমণ পরিচালনায় ইউনিট ৯১০-কে হিজবুল্লাহর প্রাথমিক ‘অপারেশনাল হ্যান্ড’ হিসেবে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, ইউনিটটি পশ্চিমের বিরুদ্ধে ইরানের ছায়াযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। তারা যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের নিরাপত্তা এবং গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যদের লক্ষ্যবস্তু করে।
যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইউনিট ৯১০ নিউইয়র্কের জেএফকে বিমানবন্দরসহ গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোয় হামলার পরিকল্পনা করেছিল। যুক্তরাষ্ট্রে হিজবুল্লাহর আলী কোরানি গ্রেপ্তারের পর দেশটিতে এই ইউনিটের কার্যক্রম প্রকাশিত হয়। সে সময় যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলে হামলার জন্য গোষ্ঠীটির পরিকল্পনাও সামনে আসে।