ইসরায়েলকে সামরিক সহায়তায় যুক্তরাষ্ট্রের রেকর্ড
ইসরায়েলকে তার ঘনিষ্ঠমিত্র যুক্তরাষ্ট্র অন্তত ১৭ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তা দিয়েছে। ব্রাউন ইউনিভার্সিটির কস্টস অফ ওয়ার প্রকল্পের প্রতিবেদনে এমনটি উঠে এসেছে। খবর আলজাজিরার।
দক্ষিণ ইসরায়েলে হামাসের নেতৃত্বাধীন হামলার বার্ষিকীতে সোমবার (৭ অক্টোবর) প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র/রকেট প্রতিরোধ ব্যবস্থা আয়রন ডোম এবং ডেভিড’স স্লিং মিসাইল প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পুনরায় শক্তিশালী করার জন্য ৪ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ের পাশাপাশি বন্দুক এবং জেট ফুয়েলের জন্য বিপুল পরিমাণের নগদ অর্থ সহায়তা রয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একই বছর গত এক বছরে মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন সামরিক অভিযানের জন্য অতিরিক্ত ৪ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলার তহবিল সরবরাহ করা হয়।
এই তহবিল লোহিত সাগর এবং এডেন উপসাগরে হুথি আক্রমণ দমন করার জন্য মার্কিন সামরিক অভিযানের সঙ্গে অতিরিক্ত খরচ হিসেবে যোগ করা হয়। এদিকে, ইয়েমেনভিত্তিক সশস্ত্র গোষ্ঠীটি তাদের এই হামলার পেছনে যুক্তি হিসেবে গাজার জনগণের প্রতি সংহতিকে উপস্থাপন করেছে।
এই হিসাবটি বের করেছেন হার্ভার্ডের জন এফ কেনেডি স্কুল অফ গভর্নমেন্টের অধ্যাপক লিন্ডা জে বিলমস। তিনি ১১ সেপ্টেম্বরের হামলার পর থেকে মার্কিন যুদ্ধের ব্যয়ের উপর নজর রেখেছেন। তার সঙ্গে রয়েছেন গবেষক উইলিয়াম ডি হার্টুং এবং স্টিফেন সেমলার।
এর আগে, গত ২৩ সেপ্টেম্বর এক ঘোষণায় ইসরায়েলকে আরও ৮ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তা প্যাকেজ দেয়ার ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্র এ প্যাকেজটি ইসরায়েলকে তার সামরিক কার্যক্রমের সহায়তা হিসেবে দেবে।
ইসরায়েল এই সহায়তা প্যাকেজটি এমন এক সময়ে পাচ্ছে, যখন দখলদার বাহিনী লেবানন ও গাজার নিরীহ জনগণের ওপর ধারাবাহিক হামলা অব্যাহত রেখেছে।
২০০৬ সালের লেবানন যুদ্ধের পর থেকে দেশটিতে এটিই ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় হামলা বলে বর্ণনা করা হচ্ছে।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তাদের প্রতিরক্ষা বিভাগের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এয়াল জামির ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা সম্পন্ন করেছেন।
ইসরায়েলের গাজা আক্রমণের পর থেকেই হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েল সীমান্ত সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছে। এ আক্রমণে গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় প্রায় ৪২ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।
এদিকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় অবশ্য লেবাননের ওপর ইসরায়েলি হামলা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। কারণ এ হামলা গাজার সংঘাতকে আঞ্চলিকভাবে ছড়িয়ে দেয়ার আশঙ্কা বাড়িয়ে তুলেছে। সেই সঙ্গে আঞ্চলিক সংঘাতটি আরেকটি বিশ্বযুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।