ভোট না দেওয়ার ডাক আরব বংশোদ্ভূত আমেরিকানদের!
সেপ্টেম্বর মাসে পেনসিলভানিয়া প্রদেশের রাজধানী ফিলাডেলফিয়ায় আয়োজিত মুখোমুখি বিতর্কে ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, তিনি রাশিয়া-ইউক্রেন এবং পশ্চিম এশিয়ায় সামরিক সংঘাতেই ইতি চান।
প্যালেস্টাইন ভূখণ্ড গাজ়ায় ইজ়রায়েলি সেনার আগ্রাসন থামানোর পক্ষে সওয়াল করেছেন তাঁরা দু’জনেই। কিন্তু তাতে মন গলেনি আরব বংশোদ্ভূত আমেরিকান নাগরিকদের। তারা দু’জনকেই ‘ইজ়রায়েলের সমর্থক’ বলে চিহ্নিত, ভোট না দেওয়ার ডাক দিয়েছেন তাঁরা।
তাঁরা দু’জনেই আমেরিকার আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে যুযুধান প্রার্থী। এক জন, প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট তথা রিপাবলিকান পার্টির নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্প। অপর জন, ডেমোক্র্যাটিক পার্টির ভারতীয় বংশোদ্ভূত নেত্রী তথা বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস। ‘দ্য আরব আমেরিকান পলিটিক্যাল অ্যাকশন কমিটি’ (অ্যাপ্যাক)-এর তরফে প্রধান দুই প্রার্থীকে বয়কটের ডাক দেওয়া হয়েছে।
সেপ্টেম্বর মাসে পেনসিলভানিয়া প্রদেশের রাজধানী ফিলাডেলফিয়ায় আয়োজিত মুখোমুখি বিতর্কে (প্রেসিডেন্সিয়াল ডিবেট) ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, তিনি রাশিয়া-ইউক্রেন এবং পশ্চিম এশিয়ায় সামরিক সংঘাতেই ইতি চান। ওই বিতর্কে কমলা বলেন, ‘‘প্যালেস্টাইনের গাজ়া ভূখণ্ড যদি ইজ়রায়েল গায়ের জোরে দখল করতে চায়, তা কোনও ভাবেই সমর্থন করব না।’’
যদিও অ্যাপাকের তরফে মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘গাজ়া এবং লেবাননে গণহত্যাকারী ইজ়রায়েল সরকারকে ধারাবাহিক ভাবে সমর্থন দিচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং কমলা হ্যারিস। আমরা তাঁদের মধ্যে কাউকে সমর্থন জানাতে পারি না।’’ আরব বংশোদ্ভূত আমেরিকান মুসলিমদের এই সিদ্ধান্তে ট্রাম্পের তুলনায় কমলার ক্ষতির সম্ভাবনা বেশি বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের অনেকে। কারণ, ওই জনগোষ্ঠীর অধিকাংশই ধারাবাহিক ভাবে বিভিন্ন নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটদের সমর্থন করেন।