নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা
৩৭ বিদ্যুৎকেন্দ্রের সম্মতিপত্র বাতিল দেশের জ্বালানি খাতে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে চীনা বিনিয়োগ গুরুত্বপূর্ণ : ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম হঠাৎ করে ৩৭ বিদ্যুৎকেন্দ্রের সম্মতিপত্র বাতিল করার সিদ্ধান্ত আত্মঘাতী : মোস্তফা আল মাহমুদ
ক্রমবর্ধমান শিল্পায়নের সঙ্গে দেশে প্রতিদিনই বাড়ছে জ্বালানির চাহিদা। কয়েক দিন পরেই শুরু হবে বোরো চাষের জন্য সেচ মৌসুম। এই সময়ে সাধারণত অন্যান্য সময়ের চেয়ে বিদ্যুতের চাহিদা ১০ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। এরপর রমজান মাস। এই সময়েও বিদ্যুতের চাহিদা বৃদ্ধি পায়। একই সঙ্গে এ সময়ে প্রয়োজনীয় পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে দরকার হবে বিপুল পরিমাণ তেল, গ্যাস ও কয়লা। হাসিনার ঋণ, লুটপাট ও অর্থপাচারে অর্থনীতি এমনিতেই টালমাটাল। পাশাপাশি চলমান ডলার সঙ্কট, গ্যাস সঙ্কট এবং আর্থিক চাপের মধ্যে এবার প্রয়োজনীয় জ্বালানি আমদানি করে চাহিদামতো বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব হবে কি-না তা নিয়ে শঙ্কা আছে। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ না মিললে কারখানার উৎপাদনেও বড় ধরনের প্রভাব পড়বে। যা বিপাকে ফেলতে পারে দেশের অর্থনীতিকে। এর মধ্যে নতুন করে শঙ্কা দেখা দিয়েছেÑ ৩৭টি বিদ্যুৎকেন্দ্রের সম্মতিপত্র (লেটার অব ইনটেন্ট) বাতিল হওয়া। এতে একদিকে এত দিন যারা সম্মতিপত্র নিয়ে বিনিয়োগ করেছেন এসব বিনিয়োগকারীদের মধ্যে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের হঠাৎ এমন সিদ্ধান্ত বিদ্যুৎ সেক্টরকে অস্থির করে তুলবে। এতে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগে উৎসাহ হারাবেন। দেশের উন্নয়ন উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ও অর্থনীতিবিদরা বলছেন, ৩৭ বিদ্যুৎকেন্দ্রের সম্মতিপত্র বাতিল করার সিদ্ধান্ত বিদ্যুৎ সেক্টরকে অনিশ্চয়তার মুখে ফেলবে। আদানি গ্রুপের সঙ্গে বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি অব্যাহত থাকলে এই ৩৭ বিদ্যুৎকেন্দ্রের চুক্তি অব্যাহত রাখতে অসুবিধা কোথায়। হঠাৎ করে এমন সিদ্ধান্ত বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে নিরুৎসাহিত করবে।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ সোলার অ্যান্ড রিনিউয়েবল এনার্জি অ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তফা আল মাহমুদ বলেন, ৩৭ বিদ্যুৎকেন্দ্রের সম্মতিপত্র বাতিল করার সিদ্ধান্ত আত্মঘাতী। ইতোমধ্যে এসব বিদ্যুৎকেন্দ্রে বিনিয়োগ হয়েছে, তাই সরকারের সিদ্ধান্ত পুনরায় বিবেচনা করা উচিত।
অপরদিকে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান নতুন করে প্রতিযোগিতামূলক দরপত্রের মাধ্যমে বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো নির্মাণের চিন্তা করেছেন। যা অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদের এত কম সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করা যাবে কি-না এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অথচ ভারতের স্বার্থে আদানির সঙ্গে বিদ্যুৎ চুক্তি রেখে দিয়েছেন তিনি। ইতোমধ্যে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল আগামী বছরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচনের ইঙ্গিত দিয়েছেন। অথচ দরপত্র প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে গেলে কমপক্ষে দেড় থেকে দুই বছর সময় প্রয়োজন হবে। যা আগামী দিনে দেশের সেচ কার্যক্রম, কারখানার উৎপাদন থেকে শুরু করে দৈনন্দিন কার্যক্রমে বড় ধরনের সঙ্কটের সৃষ্টি করবে। অথচ দেশে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য চিন্তিত খোদ প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। গত ২৫ আগস্ট বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েনকে দেশের প্রত্যন্ত এলাকাগুলোতে বিদ্যুৎ সুবিধা পৌঁছে দিতে চীনের কয়েকটি সোলার প্যানেল কারখানা স্থাপন করার আহ্বান জানিয়েছেন। অবশ্য বিশ্বের নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে চীনই বৃহত্তম বিনিয়োগকারী। তবে চীনা বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে হলে বাংলাদেশকে ব্যবসার অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে হবে বলে জানিয়েছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। একই সঙ্গে ৩৭টি বিদ্যুৎকেন্দ্রের সম্মতিপত্র (লেটার অব ইনটেন্ট) বাতিল করা থেকে বিরত থাকারও পরামর্শ দিয়েছে সংস্থাটি। এ ছাড়া জ্বালানি উপদেষ্টা বিদ্যুৎ সঙ্কট নিরসনে দ্রুত কিভাবে এ সমস্যা নিরসন করা যায় তা না ভেবে দেশজুড়ে নতুন কূপ খনন প্রকল্প হাতে নিয়েছেন। একই সঙ্গে গ্যাস, বিদ্যুতের ঊর্ধ্বমুখী চাহিদার জোগান দিতে সাগরে তেল, গ্যাস অনুসন্ধানের প্রক্রিয়াও চালাচ্ছেন। আর তাই নতুন করে খোঁজাখুঁজি না করে দেশের মানুষকে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে আগের ধারাবাহিকতা ধরে রেখে দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। এদিকে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদের দ্রুত অর্থছাড়ে বিদ্যুৎ খাত কিছুটা স্বাভাবিক থাকলেও গত দুই মাস ১০ দিনে বিদ্যুৎ খাতের অগ্রগতি নেই বললেই চলে। এর মধ্যে গতকাল বৃহস্পতিবার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্দোলনে সারা দেশ বিদ্যুৎহীন ছিল। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার বিজয়ের পর হাসিনা দেশ ছাড়লেও তার দোসররা এখনো কারো ভুলের সুযোগ নিয়ে দেশকে অচল করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এর আগে কক্সবাজারের মহেশখালীতে ৫৭ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত মাতারবাড়ী এক হাজার ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্রকে ‘প্রকল্প বিলাস’ বলে অভিহিত করেছেন মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। এর নির্মাণকাজ পাওয়া জাপান অবশ্য বিষয়টির প্রতিবাদ জানিয়েছে। এ ছাড়া বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বেরিয়ে নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্যও নেয়া হয়েছে ব্যাপক পরিকল্পনা। তবে সব ক্ষেত্রেই কাজ পেতে হলে প্রতিযোগিতা করতে হবে। প্রতিযোগিতামূলক দরপত্রের মাধ্যমেই বিদ্যুৎ ও জ্বালানির যেকোনো কাজ পাবে কোম্পানিগুলো। যা সময় সাপেক্ষ বলছেন সংশ্লিষ্টরা। তাই দেশের মানুষকে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের চাহিদা মেটাতে দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপ নিতেও বলেছে বিশেষজ্ঞরা।
সেচ মৌসুম ও রমজান থাকায় আগামীতে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের চাহিদা মেটানো বর্তমান সরকারের জন্য দুরূহ হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। এ ছাড়া এখনো বহাল রয়েছে হাসিনা সরকারের সময়ে বিদ্যুতের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা। এতে আশঙ্কা করা হচ্ছেÑ স্বৈরাচার শেখ হাসিনা বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেয়ার যে হুমিক দেশবাসীকে দিয়েছিলেন সেই ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকারকেও আগামী দিনে বিপাকে ফেলতে পারেন। কারণ হাসিনার দোসর ওই চক্রটি এখনো বিদ্যুৎ বিভাগে সক্রিয় আছে। তাই অন্তর্বর্তী সরকারকে দেশের মানুষের জন্য, ব্যবসা-বাণিজ্যকে গতিশীল করার জন্য নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের ব্যবস্থা করতে হবে এ জন্য কোনোভাবেই ৩৭টি বিদ্যুৎকেন্দ্রের সম্মতিপত্র (লেটার অব ইনটেন্ট) বাতিল করা যাবে না। একই সঙ্গে বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উদ্যোক্তা, জ্বালানি বিশেষজ্ঞ এবং অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন, বর্তমান বাস্তবতায় এ বছর নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে বড় চ্যালেঞ্জ। আর বিদ্যুৎ ছাড়া কোনো উন্নয়ন পরিকল্পনাই টিকবে না বলে মত তাদের। কারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবন ব্যবস্থা থেকে সার্বিক কার্যক্রম প্রতিটি ক্ষেত্রেই প্রয়োজন নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ। উদাহরণ হিসেবে তারা বলেন, বর্তমানে ডিম ও ব্রয়লারের দাম বেড়েছে এখানেও বিদ্যুৎ সরবরাহের ঘাটতির বিষয়টি আছে। বিদ্যুৎ না থাকায় জেনারেটরের ব্যবহার করা হয়। যা উৎপাদন খরচকে বাড়িয়ে দিয়েছে। আর যার প্রভাব পড়েছে ডিমের বাজারে। এ ছাড়া হ্যাচারি এলাকায় ২২০ ও ৪৪০ ভোল্টের নির্ভরযোগ্য ও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা থাকা দরকার। বিদ্যুৎ ব্যতীত একটি গলদা চিংড়ি হ্যাচারি বাণিজ্যিকভাবে পরিচালনা করা সহজসাধ্য নয়। কারখানার নিরবচ্ছিন্ন উৎপাদন তো আছেই।
সূত্র মতে, ২০৪১ সালের মধ্যে দেশের জ্বালানির চাহিদার ৪০ শতাংশ নবায়নযোগ্য ও দূষণমুক্ত জ্বালানির মাধ্যমে পূরণ করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। নবায়নযোগ্য জ্বালানি ইউরোপ-আমেরিকাসহ উন্নত বিশ্বের আগামী দিনের লক্ষ্য। বর্তমানে দেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে সাফল্য ২ শতাংশ। আইএমএফ, বিশ্বব্যাংকসহ দাতা সংস্থাগুলো গ্রিন এনার্জিতে গুরুত্বারোপ করলেও ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে ৫ শতাংশ অর্জন করতে পারবে কি-না এই নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। এর মধ্যে আগের অনুমোদিত নবায়নযোগ্য জ্বালানিভিত্তিক ৩৭টি বিদ্যুৎকেন্দ্রের সম্মতিপত্র বাতিল হলে এই লক্ষ্য অর্জনে বড় ধরনের বাধার সৃষ্টি হবে। এতে বড় ধরনের বিপাকে পড়বে আগের বিনিয়োগকারীরা। এসব বিদ্যুৎকেন্দ্র ইতোমধ্যেই জমি কেনাসহ আরো কিছু বিনিয়োগ করেছে। এ নিয়ে বিনিয়োগকারীরা উদ্বেগের মধ্যে আছে। নতুন করে দরপত্র আহ্বান করে এই কাজ সময়সাপেক্ষ যা দেশের নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থাকে বিপাকে ফেলতে পারে।
অবশ্য সিপিডি বলেছে, নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে ‘বিপরীত নিলাম’ পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করতে পারে সরকার। সাধারণত, দরপত্রে নিয়মানুযায়ী সর্বোচ্চ বা সর্বনিম্ন দরদাতা কাজ পেয়ে থাকেন। বিপরীত নিলামের ক্ষেত্রে সরকার একটি দর নির্ধারণ করে দেবে। এরপর যারা ওই দরের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে জয়ী হবে, তারা কাজটা পাবে। এতে চীনা বিনিয়োগসহ নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ৩৭টি কেন্দ্র এ দরপত্রে অংশ নিতে পারে। বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে মুদ্রা অদলবদলের সুযোগ, দেশীয় ব্যাংক থেকে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের ঋণের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। একই সঙ্গে ২০৪১ সালের মধ্যে দেশের জ্বালানির চাহিদার ৪০ শতাংশ নবায়নযোগ্য ও দূষণমুক্ত জ্বালানির মাধ্যমে পূরণ করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। এ জন্য বছরে ১৫০ কোটি ডলার থেকে ১৭০ কোটি ডলার প্রয়োজন হবে। বিশাল এই বিনিয়োগের জন্য সম্ভাব্য বিনিয়োগকারী হতে পারে চীন। কারণ বিশ্বের নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে তারাই বৃহত্তম বিনিয়োগকারী। তবে চীনা বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে হলে বাংলাদেশকে ব্যবসার অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে হবে।
সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, বাংলাদেশের আর্থিক খাতে বৈদেশিক বিনিয়োগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে দেশের আর্থিক খাত এখনো পরিণত না হওয়ায় সেখানে বিনিয়োগকারীদের জন্য বেশ কিছু ঝুঁকি রয়েছে। চীন নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বিশ্বের মধ্যে বৃহত্তম বিনিয়োগকারী। বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানির যে লক্ষ্যমাত্রা তা বাস্তবায়নে চীনা বিনিয়োগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
তবে চীনের বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য তাদের বিনিয়োগের ঝুঁঁকি হ্রাসের পদক্ষেপ নিতে হবে। বৈদেশিক মুদ্রার ঝুঁঁকি রোধে কাজ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে সরকারকে তহবিল গঠন করতে হবে। যা বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে গ্যারান্টি ও নিরাপত্তা বেষ্টনী দেবে বলেও জানান ড. গোলাম মোয়াজ্জেম। এ ছাড়া বিনিয়োগকারীদের কর প্রণোদনা ও ভর্তুকি দেয়াসহ জ্বালানি খাতে চীনের বিনিয়োগ আনতে বেশ কিছু পরামর্শ দেন ড. মোয়াজ্জেম। তিনি বলেন, সরকারি আর্থিক সহায়তায় সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বকে এগিয়ে আসতে হবে। পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রার ঝুঁঁকি মোকাবিলায় সরকারকে তহবিল গঠন ও দক্ষ কর্মী তৈরিতে বিনিয়োগ করতে হবে।