USA

সীমানা ইস্যু দিয়েই ভোটের সীমানা পাড়ি দিতে চান ট্রাম্প

ভোটের প্রচারের শেষ সময়ে এসে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প সীমান্ত ইস্যুকে ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা শুরু করেছেন। অভিবাসীরা বিভিন্ন অপরাধে যুক্ত এবং তাদের কারণে অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দাবি করে ভোটারদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করছেন তিনি। মূলত সাবেক এই প্রেসিডেন্ট সীমান্ত ইস্যুকে পুঁজি করে নির্বাচনের সীমান্ত পাড়ি দিতে চাচ্ছেন। খবর নিউইয়র্ক টাইমসের। 

গত সপ্তাহে জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের আটলান্টায় প্রচার সমাবেশে সমর্থকদের সামনে অভিবাসীদের বিভিন্ন অপরাধের সংবাদের ক্লিপ তুলে ধরেন ট্রাম্প। ভিডিও শেষে তিনি উচ্চ স্বরে বলে ওঠেন, ‘আমার দৃষ্টিতে অভিবাসনকে হ্যাঁ বলার সুযোগ নেই। আর এটি ২০২৪ সালের নির্বাচনে ১ নম্বর ইস্যু। অভিবাসন দেশের অর্থনীতিকে গ্রাস করছে। মূলত যুক্তরাষ্ট্র এখন একটি দখলকৃত দেশ। তবে আগামী ৫ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের মুক্তি দিবস হবে।

ট্রাম্প তাঁর সহযোগীদের বলেছেন, ২০১৬ সালে তিনি হিলারি ক্লিনটনকে সীমান্ত ইস্যু দিয়েই পরাজিত করেছিলেন। তবে করোনা মহামারির কারণে অবৈধ অভিবাসন নাটকীয়ভাবে কমে যাওয়ায় ২০২০ সালে ইস্যুটি তিনি ব্যবহার করতে পারেননি। 

কিন্তু সরকারি বা বেসরকারি কোনো সমীক্ষা ট্রাম্পের এই তত্ত্বকে সমর্থন করে না। ভোটাররা অর্থনীতি ও জীবনযাত্রার উচ্চ ব্যয়কে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে তুলে ধরেছেন। যদিও ট্রাম্প অর্থনীতি বা নাগরিকদের জীবনযাত্রার উচ্চ ব্যয় নিয়ে কথা বলার সময়ও অভিবাসনকে তুলে ধরেন। তিনি এগুলোর কারণ হিসেবে অবৈধ অভিবাসীদের দায়ী করেন।

ট্রাম্পের এই ইস্যু সামনে আসা নিয়ে তাঁর একজন মুখপাত্র ব্রায়ান হিউস বলেন, ট্রাম্প প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছেন যে প্রতিদ্বন্দ্বী কমলা হ্যারিসের অভিবাসন নীতি অনেক সমস্যার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। সেটি উচ্চ অভিবাসনের দাম, কম মজুরি কিংবা হাসপাতাল ও স্কুলে তীব্র চাপের ক্ষেত্রেও সত্য। উন্মুক্ত সীমান্তের অর্থ হলো করদাতাদের ডলার তাদের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর পরিবর্তে অবৈধ অভিবাসীদের পেছনে নষ্ট করা।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button