মহাকাশে হাঁটার অনুভূতি কেমন
যেমন হয়
মহাকাশে হাঁটা বা স্পেসওয়াকের বিরল এক অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন মার্কিন ব্যবসায়ী জ্যারেড আইজ্যাকম্যান। গত মাসে ইলন মাস্কের মালিকানাধীন স্পেসএক্সের ‘পোলারিস ডন’ মিশনে অংশ নিয়ে অপেশাদার মহাকাশচারী হিসেবে মহাকাশে হাঁটেন তিনি। পোলারিস ডন মিশনের আগে বিভিন্ন দেশের সরকারি মহাকাশ সংস্থাগুলোর মাধ্যমেই মহাকাশচারীরা মহাকাশে হাঁটার সুযোগ পেতেন। ফলে প্রশিক্ষিত মহাকাশচারীদের তুলনায় জ্যারেড আইজ্যাকম্যানের মহাকাশে হাঁটার অভিজ্ঞতা একটু ভিন্ন হয়েছে তা বলাই বাহুল্য।
ইলেকট্রনিক পেমেন্ট প্রতিষ্ঠান শিফট ৪-এর প্রতিষ্ঠাতা জ্যারেড আইজ্যাকম্যান নিজের মহাকাশ ভ্রমণের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন, ‘পৃথিবীর দিকে তাকানোর বিষয়টা স্পষ্টতই খুব বিশেষ ছিল; কিন্তু যখন আপনি পাশের দিকে তাকাবেন, তখন আপনি মহাকাশের অন্ধকার দিক দেখবেন। সেখানে বিপদ ও অনাকাঙ্ক্ষিত অনুভূতিকে কোনো প্রতিবন্ধকতা হিসেবে ব্যাখ্যা করা উচিত নয়। মহাকাশের পরিবেশ আসলে খুবই কঠিন। আর তাই মহাকাশে হাঁটার অভিজ্ঞতা তেমন শান্তিপূর্ণ ছিল না।’ মহাকাশ অভিযানকে আটলান্টিক মহাসাগর অতিক্রম করা অভিযাত্রীদের যাত্রার সঙ্গেও তুলনা করেছেন তিনি।
গত সেপ্টেম্বরে মহাকাশে পাঁচ দিনের মিশন শেষে নিরাপদে পৃথিবীতে ফিরে আসেন জ্যারেড আইজ্যাকম্যানসহ পোলারিস ডন মিশনের চার মহাকাশচারী। সেই মিশনে প্রথম অপেশাদার মহাকাশচারী হিসেবে মহাকাশে হাঁটেন জ্যারেড আইজ্যাকম্যান ও স্পেসএক্সের প্রকৌশলী সারাহ গিলিস।